তুমি তাকাও নি বলে
আমার আকাশে চাঁদ হাসে না বহুদিন।
তুমি এলে না বলে কলমের নিব
ভালবেসে কবিতার খাতায় খায় নি চুমু।

একাএকাদিন কেটে যায়
বন্ধু তোমারঅপেক্ষায়
কবেপাবো তোমার দেখা
সেইআশায়দিন যে যায়।

গল্প গুলো ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে ক্লান্ত হচ্ছি,
পিছলে পরছে শব্দের কোষ
পরিপূরক ইশারার অপেক্ষায়

বাতাস আসে দরজা ডিঙ্গিয়ে , গাছে গাছে শুকনো পাতা
শব্দ নেই ,শব্দ নেই সেই-তো এলো চাঁদের পিঠে
ছোটন পীসি রান্না ঘরে , মাছের গন্ধে বিষ্টি পড়ে
দুপুর তখন এককৌটো ,দুপুর এখন গরম ভাতে ।

কোথায় ছিলে এতদিন জ্ঞাননন্দিনী
কত খুঁজেছি তোমায়,
হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া কাঁশবনে;
লাল পদ্ম ফুটে থাকা লেকের ধারে।

পাগলা কুকুর করছে তাড়া
গ্রাম ধরেছে ঘিরে
পাচ্ছে যাকে কামড়ে দিয়ে
রক্ত ঝরায় চিরে

আমার সকাল
কবে আসবে আমার সকাল ?
বলতে কি পারো কঠিন একাল ?

হিম হিম করা সকাল আসল
বুকেতে হানল উঁচু আাঘাত
তবু,খুলল না দ্বার,কপাট পড়ল
বন্য হরিণী করে নিনাদ।

অপেক্ষার রাত আর কাটে না ।
বসে আছি চাঁদনি রাতের আলোয়,
খোলা আকাশের নিচে ।
কখন আসবে গগনের বুক চিড়ে,

জীবনের বায়ান্ন বছরতো কেটে দিয়েছি পথ চেয়ে
আর কত চলবে জীবন অলস ভাবে
বয়সের ভারে কাশির মাও চলে গেছে অনেক আগে
ধুলা বালির সাথে মিশে গেছে মিশ্রিত দেহ তার

প্রছন্ন গুধুলির দ্বার প্রান্তে নিভৃতে দন্ডায়মান
দেখছি কত শত বছরের মেঘনার এ বহমান।

কত শত ধ্বংসের মূলে তুমি, করেছ বিচরণ
কত সংস্কৃতি রেখেছ তুমার বুকে করেছ প্রণয়ন।

প্রতীক্ষায় কেটে গেছে নির্ঘুম রাত ;
প্রতীক্ষায় কেটে গেছে প্রশান্ত প্রভাত ;
দ্বিপ্রহরের সময়টাও কেটে গেছে চুপে-চুপে ;
ভাবছি তখন আসবে তুমি, গোধূলির রঙ্গিন রূপে।

আমার এক টুকরো
খোলামেলা আকাশ থেকে
তোমার দুঃখ মেঘের
উদাসী ঘুমটা খানা সরাও,

আলবদর,রাজাকার হয়ে যা হুশিয়ার,
আমরা বাঙ্গালি আর নয় পিছিয়ে
নিজেদের অধিকার আনবই ছিনিয়ে।
যুদ্ধের মাঠে মোদের নেই কোনো ভয়,

তোমার চোখে তাকিয়ে কতো রাত কেটেছে
আমার দুচোখ জানে সেই প্রতিক্ষার মানে
তোমার সাথে আমার দুচোখ জেগেছে
সেই তুমি আজ দূরে কোন সে অভিমানে ।