চলে গেছে প্রাণপ্রিয় আমার আপন ...,
থেমে গেছে সব হাসি
স্মৃতির মধুসূধা হয়ে যাচ্ছে বাসি ।

দক্ষিনাহাওয়ায় খোঁলা কেশতাঁর-
দুষ্টামিতে ওঠে মেতে,
সহস্র কমল এক হয়ে ওই-
কাজল চোখে ফোটে।

জানি একদিন শেষ হবে আমার এ প্রণয়ের প্রতীক্ষা,
যেদিন ধূলিসাৎ হবে পৃথিবীর এ উষ্ণ রঙ্গমঞ্চতা।
সকল কোকিলের মোহনীয় কন্ঠ একই সাথে হবে রুদ্ধ,
কবির মনের কাগজে লেখা হবেনা আর কোন কবিতা আবৃত্য।

মেয়েরা সুন্দরগুলো আঁচলে নিত;আর ছেলেরা রাখত বুক পকেটে
শীতের সকালে আড্ডা চলতো পিঠা উৎসবে,নরম রোদে অথবা
সুন্দর গায়ে মাখতো বিকেলে গোল হয়ে বসা আড্ডার মাঝে আগুনের হল্কায়।

অপেক্ষার সময় ফুরিয়ে গেছে
সামনে হয়ত কোন ভাল দিন আছে।
সুসময়ের আশায় দিন গুনে
সেই আশায় নতুন করে আবার বীজ বুনে।

কাচের ঢিঁবির মতো পরাগের রেণু। ভ্রমর ছোঁবে সে ফুল বেশেখের বেণু
সেদিন ঘরের পাশে বসে আছে মেঘবতি আকাশের কেশ। জলের আদলে রেখে
কুহুকর্ণ চোখ,
বিভ্রমে নদী ভাঙে, জেলেপাড়া মেতে ওঠে আশ্বিনের দেশ।

গল্প গুলো ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে ক্লান্ত হচ্ছি,
পিছলে পরছে শব্দের কোষ
পরিপূরক ইশারার অপেক্ষায়

স্বপ্ন দেখায় ভীষণ অনীহা মেয়েটির..
অথচ প্রথম যেদিন ছেলেটি
দেখা দেয় তার মধ্যরাতের স্বপ্নে,
তারপর থেকে সব অন্যরকম..

কোথায় ছিলে এতদিন জ্ঞাননন্দিনী
কত খুঁজেছি তোমায়,
হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া কাঁশবনে;
লাল পদ্ম ফুটে থাকা লেকের ধারে।

সেই মেয়েটা ছিন্ন বাঁধন আলতো রাগে হাঁটত যখন
পদ্ম পাতার ব্যস্ত কাঁপন একটা নূপুর বাজতো;
অবুঝ মনে বৃষ্টি নেমে মুষল ধারের শব্দ নীরে
দূরের দোয়েল পথ হারিয়ে ডালিম ডালে বসত;

তুমি তাকাও নি বলে
আমার আকাশে চাঁদ হাসে না বহুদিন।
তুমি এলে না বলে কলমের নিব
ভালবেসে কবিতার খাতায় খায় নি চুমু।

আমার সকাল
কবে আসবে আমার সকাল ?
বলতে কি পারো কঠিন একাল ?

আমি প্রতীক্ষায় থাকি,
সুন্দর দিনের -
আলোকিত চারিধার।

পাগলা কুকুর করছে তাড়া
গ্রাম ধরেছে ঘিরে
পাচ্ছে যাকে কামড়ে দিয়ে
রক্ত ঝরায় চিরে

বাতাস আসে দরজা ডিঙ্গিয়ে , গাছে গাছে শুকনো পাতা
শব্দ নেই ,শব্দ নেই সেই-তো এলো চাঁদের পিঠে
ছোটন পীসি রান্না ঘরে , মাছের গন্ধে বিষ্টি পড়ে
দুপুর তখন এককৌটো ,দুপুর এখন গরম ভাতে ।