গল্প গুলো ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে
ধীরে ধীরে ক্লান্ত হচ্ছি,
পিছলে পরছে শব্দের কোষ
পরিপূরক ইশারার অপেক্ষায়

ব্যাস্ত সকাল ব্যাস্ত দুপুর ব্যাস্ত সারাদিন
সন্ধ্যা বেলা বেরিয়ে দেখি বিকেলটা প্রাচীন
রাত্রি হল, ভোর হল, সকাল হল কই?
অন্ধকারেই ব্যাস্ত নগর করছে হই চই।

এই প্রতীক্ষা শুধুই কি প্রতীক্ষা?
ব্যস্ত সড়কে চলন্ত ট্রেনে জানালার পাশে বসে থাকার প্রতীক্ষা,
লেপটে যাওয়া এক জোঁড়া কাজল কালো বাকাঁ চোখের চাওয়ার প্রতীক্ষা।
কাধেঁ মাথাঁ রেখে অচেনা জোছনা পথে চলার প্রতীক্ষা,

এখন তড়িঘড়ি করি, এতোটুকুন বোতলে ভরি
ইপিল ইপিল দীর্ঘশ্বাস, আমার সামনেই বাতাসে লীন
হয় সমস্ত রঙিন আশ্বাস; এ যেনো একটা ডকুমেন্টারি
ফিল্ম, যার সবকিছু আগে থেকেই ছিলো ঠিক করা;

চলে গেছে প্রাণপ্রিয় আমার আপন ...,
থেমে গেছে সব হাসি
স্মৃতির মধুসূধা হয়ে যাচ্ছে বাসি ।

দক্ষিনাহাওয়ায় খোঁলা কেশতাঁর-
দুষ্টামিতে ওঠে মেতে,
সহস্র কমল এক হয়ে ওই-
কাজল চোখে ফোটে।

এক ঝাঁক গাড়ির মাঝে
সাইরেনের মাঝে
ভীষণ ঝামেলার মাঝে
ভুলে যাওয়া রোগের মাঝে
সবদিকে হতাশা ঘোরের মাঝে;

অপেক্ষায় আছি আমি,
তোমার প্রতিটি কণার মাঝে, উদ্দাম ছুটে চলার
তোমার বুকচেরা রূপালী জলে, জলকেলি খেলার,
বহুকাল ধরে তোমার চিঠির, আমি অপেক্ষায় আছি।

তুমিতো কখনো আমাকে একটি চিঠিও লেখোনি
কাঁচুলিতে লুকানো কাঙ্খিত প্রেমপত্র আমাকে ছোড়োনি-
যেখানে থাকে তিনটি শব্দ শিহরণ জাগা কাহিনী
'আমি তোমাকে ভালবাসি'।

আষাঢ়ের পালা শেষ
কদমের ডালে নেই ফুল
কাশের শুভ্রতা মেখে
এখানে সূর্য দেয় উঁকি

পাগলা কুকুর করছে তাড়া
গ্রাম ধরেছে ঘিরে
পাচ্ছে যাকে কামড়ে দিয়ে
রক্ত ঝরায় চিরে

ইদানিং সন্ধ্যা না হতেই কষ্টরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়
এ গলি ও গলি করে আমার বুকে বাসা বাঁধে
কি পরম তৃপ্তিতে রক্ত খেয়ে যায় ঘুমের ঘোরে ।

আলবদর,রাজাকার হয়ে যা হুশিয়ার,
আমরা বাঙ্গালি আর নয় পিছিয়ে
নিজেদের অধিকার আনবই ছিনিয়ে।
যুদ্ধের মাঠে মোদের নেই কোনো ভয়,

আমি তোমার কথা ভেবে ভেবে
এখন আর কষ্ট পাইনা-
তোমার সৃতিগুলোর নির্মম উপহাস দেখে
এখন আর চোখে জল আসেনা,

কত রাত জেগে ছিলাম আমি
শুনিতে তোমার মুখের বাণী
হয়নি তোমার বলার সময়
জেগে আমি তার সময় গুনি।