আমায় যখন পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে স্লো মোশনে ল্যান্ড করানো হয় , মনে হল শক্ত কিছু পায়ের নিচে ঠেকছে । কালো কুচকুচে আঁধারে হতভম্ব আমি , বিব্রত এবং ভীত ! অনেকক্ষণ বাদে আমি আকাশ ও তারকারাজির দিকে তাকালাম।

ছুড়ে ফেল্লাম ছাতা
এই বংশদণ্ড, আর এক টুকরো ত্যানা… প্রতিবন্ধ
আমার আর আকাশের সম্পর্ক
বর্ষাধারা গায়ে বসলো, হয়ে অনুভূতির রংহীন বর্ষাতি।

পরন্ত বিকেল। রুপা বিষন্ন একাকী এলোচুলে জানালার গ্রিল ধরে বাহিরের স্থির দৃষ্টি মেলে পথ পানে চেয়ে আছে। মনের ভিতর এক শূন্যতা নিয়ে অনাকাঙ্খীত ভাকে কাউকে আশা করছে।

সূর্য যেমন নিয়ম করে পূর্ব আকাশে উঠতো। ঠিক তেমনি আমিও নিয়োম করে যেতাম সেই রাস্তার ধাওে, শুধু একটি আশায় এক নজর বিন্দু কে দেখার জন্য। কিন্তু কোন লাভ নেই আমার এ দেখা শুধু চোখের দেখা।

তার সাথে দেখা হল সময়ের কাঁটা বলছে প্রায় দশ বছর হয়ে গেলো। ঘড়ির কাঁটায় সময়টা হিসেব করলে দাঁড়ায় ৮৬৪০০ ঘণ্টা। এত তাড়াতাড়ি কিভাবে এতোটা সময় হারিয়ে ফেললাম??

অফিসে হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে গেলো। সকাল বুঝতে পারলো আজ লাঞ্চ করতে একটু দেড়ি হবে । ঠিক তাই হলো। বিকালে কাজে মন বসাতে পাছিলো না। প্রিয় মোবাইলটা হাতে নিয়ে কাকে কল করবে ভেবে পাচ্ছে না।

দু-তিন দিনের টানা ট্রেন যাত্রা ব্যাঙ্গালুরুর পথে; অথচ লোকটার নাকি কিছুই মনে হয়নি। হয়তো মেঘের আড়ালে, পাহাড়ের আড়ালে সে নতুন সূর্য দেখেছিল, জীবনে ফিরে আসার! হাটুভেঙ্গে আমিও জায়নামাজে দুহাত তুলে চাই চেয়েছি আল্লাহর কাছে

ভেতরে তোর মায়ের… ইয়ে শেষ হোক, ততক্ষণ পর্যন্ত চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক আমার সাথে, উইথ নো দুস্টামি…

বর্ষাকাল আসলেই তিন গাছ ভর্তি চালতা নিয়ে রাহেলা বেগম মহা ঝামেলায় পড়ে যান। এখানে চালতা ওখানে চালতা। সারা বাড়ি তখন চালতাময় হয়ে যায়।

আজ কতদিন হয়ে গেছে, তাই না? তিন বছর? চার বছর? নাকি এরও বেশি? আমার তো হিসাব রাখা হয়নি । তুমিও নিশ্চয়ই রাখনি?

কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের (প্রথম-বর্ষ)-এৱ ছাত্ৰী ছিল নিতু।
সারাক্ষণ হৈ-চৈ হাসি-আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটাতে পছন্দ করত

১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই বোঝা যায় ভাষা কত স্পর্শকাতর বিষয় হতে পারে মানুষের কাছে! আর এই

রাজনীতি মানে আমরা বুঝি বোধয় বিশাল কিছু। সংগঠন,নেতা,অনেক সদস্য আর তাদের অধীনে আপামর জনতা।

ছোট সেলটার এককোণায় দুহাঁটুকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে গুঁটিসুটি মেরে বসে আছে রুবি। চোখে উদাস দৃষ্টি। চোখের কোণা থেকে গাল পর্যন্ত শুকিয়ে যাওয়া চোখের পানির সাদা দাগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।