কার্তিক রোদেলা সকালে তোমার আগমন।
দূর্গতিনাশিনী দশভূজা বধিতে অসুর।
মন্ডপে মন্ডপে বেজে চলে ঢাক মন্দিরা।
ফুল ফলে নতুন কাপড়ে সজ্জিত তোমার ভূষন।

উঁচু-নিচু বিল্ডিং দেখো
মাথার উপর খাড়া
ছোট-বড় পাকা বাড়ি
এপাড়া ওপাড়া।

তোমায় চাইনি একটুও
কিন্তু বড্ড নাছোড়বান্ধা তুমি সেই যে পিছু নিলে আর ছাড়লে না !
ভাবছিলাম একেবারে চাকু ঢুকিয়ে দেই… যাবে সব ঠেলা চুকে,
না থাকবো আমি না থাকবে তোমার আনাগোণা—হলো না কিছুতেই!
মৃত্যু যে বড় বেশী ভয়ঙ্কর, বড় বেশী অচেনা ।

শৈশবেরই মেলা বসে
প্রজাপতির ডানায়
কাছে ডাকে যেন আমায়
আজও ইশারায়

কখনো চাই নি ,ভাবিনি, ডাকিনি
ছোট আকাঙ্খায় স্বপ্নে দেখিনি তেপান্তরের অশ্বপদধ্বনি,
তবুতো এসেছো,পাটি পাতা মন জুড়ে বসেছো ,

আমি এমনই এক বৃক্ষ যার
ডালপালা বেয়ে ছড়িয়ে আছে
কাঁচা সবুজের রোদ
আর ইতিহাস হয়ে পড়ে আছে
নামগোত্রহীন শিকড় বেয়ে বীজ।

কেন পরশিলে ও গো প্রাণো রায়!
তব বিরাহনলে হল মম চিত্ত ছাই।

মায়ের মত মমতা
কে দিতে পারে
অফুরন্ত ভালোবাসা
শুধু মা-ই দিতে পারে।

ছিন্ন মলিন কদকায় শ্রমিক-মজুর
আপন তরে গাহি সাম্যের গান
উচ্চবৃত্তে মত্তে শুরায় আপন বলয়
কেতাদুরস্ত বেঢ়বের লহন
পূজ্জনী পূজারী সদা ভগবান
রুধিবে কে তারে সাধ্য কার?

মা-মাগো!!
দূর দেশেতে পাড়ি জমিয়ে
তোমার স্নেহ-মমতা হারিয়ে,
এলাম এ কোন দেশে?

কবিতা, আমায় দাও গো ছুটি এবার, আমৃত্যু!
কলম ধরলে, মহাকাপুনি আজকাল ভর করে আঙ্গুলের ডগায়
স্মৃতি জমে রাখা স্নায়ুগুলো হয়ে যায় গাঢ় বৃত্ত
ফাঁস লেগে যায় পারাপার সেতুর ধূসর সাদা পাতায়!

জানিনা পৃথিবীটার জন্ম হয়েছিলো কেন ?
হয়ত শিশুর মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য,
নয়ত জননীর জন্মভূমীকে করতে ধণ্য।

মায়া মমতা নেই দেশে
আমরা কোন পথে হাটঁছি দিন দিন
খুন গুম শিশুহত্যা থামছে না
যেনো হত্যার মহোৎসব চলছে

তৃতীয় মৃত্যুর পর!
ক্ষুধা, তৃষ্ণা, স্পৃহা, সংকোচ; সংশয়-
আশা, স্বপ্ন-সাধ, জর-জড়তা-ভয়
চাহিদা, কামনা, বাসনা সব করেছি জয়!

ভালোবাসি ভালোবাসিগো তোমায়
তাইতো যখন নামাজে যাই
দুহাত তুলে চক্ষু ভিজাই
তোমার কোমল হাতের পরশ