তোমার কানে পরিয়ে দিবো অগ্নিজবা,পাহাড়িফুল
একটু তোমায় দেখবো ছুঁয়ে নাহয়ইবা হলোই ভুল।
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে হাতটি আমি ধরবো হাতে
সকল পাওয়া পূর্ণ হলে ভিজবো দু'জন জলপ্রপাতে।

আর কতদিন মনের সাথে করবে তুমি যুদ্ধ
ইট পাথরের চার দেয়ালে থাকবে তুমি রুদ্ধ
আর কতদিন পুড়বে তুমি সমাজ দেয়া ফতোয়ায়
এক খাটেতে শোয়েও স্বামীর জানবেনাতো কত আয়
আর কতদিন পিঠুন খাবে কারন ছাড়া, অযথা

নারী তুমি পিতার কোলে
ছোট্ট সোনামনি,
ভাইয়া তোমার সকাল বিকাল
চুলে করে বেণী ।

বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি " নারী "
সে নারী আমার মা জননী
সে নারী আমার বোন ভগিনী ৷
নারীরূপী বিশ্বময়ীর গর্ভে

আমরা আধুনিক জাতি,
সনোগ্রাফিতে দেখি; ভ্রুণটা পুরুষ নাকি নারী;
যদি হয় নারী, বোঝা মনে করি; নেই গর্ভপাতের প্লেন।

রজনী কহিল রাতের ওই
আকাশে আধার কেন আসে?
আমি কহিলাম মানুষের মতো
হয়ত দুঃখ তোমারো আছে ।

ছোট্ট বেলার দিনগুলি আজ আসতো যদি ফিরে
সময় দিয়ে বেধে রাখা শক্ত রশি ছিঁড়ে

সে সব দিনের টুকরো স্মৃতি হাওয়ার সুরে সুরে
বিকেল হলে নীল আকাশে মেঘ হয়ে যে উড়ে

নারী,আজ তুমি মুক্ত,ভেঙ্গেছ শৃঙ্খল
রনক্ষেত্রে তুমি পুরুষের বল,
নারী,আজ তুমি মুক্ত,ভেঙ্গেছ শৃঙ্খল।
তোমার উৎসাহে পুরুষের জয়,

কাননে সারি সারি পাখির মেলা
সবাই করছে কতো কলরব!
তোমার মাঝেই কিছুটা স্বস্তি
নিলীমা এ যে নিয়তির খেলা।

তপতীকে নিয়ে আরও কিছু লিখতে ইচ্ছে করে খুউব!
বিষন্ন বিকেল গুলো এখন আর কাটতে চায় না;
চায়ের স্টলে, ফার্মেসীর কোণে বসে আর কতোটা সময়
কাটানো যায়?

হে সুন্দরী
মুগ্ধ সবে তব রূপ লাবণ্যে
করছে তারিফ প্রাণভরি,
মানবি নওতো তুমি
যেন স্বর্গ পুরের হুর-পরী

আমার চো‌খের জল মু‌ছি‌য়ে
সারাক্ষণ মধুময় ছায়া দি‌য়ে
‌যে কর‌লো বড় মো‌রে
‌সে আমার জননী।

জানো,
আজ আকাশে কালো মেঘে ভরা ছিল;
কিন্তু বৃষ্টি নামে নি।
জানো,
দক্ষিণের জানালাটা খুলে রেখেছিলাম
কিন্তু দমকা বাতাস বয় নি।

দিনের শেষে ঠিক করেছি খুজব আমি তারে
যেই মেয়েটি বেড়ায় বয়ে ভাগ্য হাতে করে
সেই মেয়েটি, যে কিনা ঝুকে দায়িত্ব ভারে
দিনের শেষে ঠিক করেছি রাখব বুকে তারে |

ছোট্ট মেয়ে পুতুল নিয়ে
খেলার ছলে দিচ্ছে দেখো
কনে সাজিয়ে পুতুল বিয়ে,
মিথ্যার ছলে কাদছে বসে
পুতুলটাকে জড়িয়ে বুকে।