আমার চো‌খের জল মু‌ছি‌য়ে
সারাক্ষণ মধুময় ছায়া দি‌য়ে
‌যে কর‌লো বড় মো‌রে
‌সে আমার জননী।

অস্ফুট স্বরে চিৎকার করছিল আহত মুক্তিযোদ্ধা
পাশে পড়ে ছিল তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন পা,
আকাশ ভাঙ্গা বর্ষণেও মুছেনি সে তাজা রক্ত
সেদিনও আমার চোখেমুখে ছিল নিঃস্পৃহতা।

তুমি থেক দ্বিধা হয়ে
কাছে থেক কখনোবা দুরে
আকাশ হয়ে বিশালতা দেখো
পাখী হয়ে খুঁজো স্বাধীনতা
ভাবছ তুমি, আমি স্বপ্ন লিখি
তুমি দেখো বাস্তবটা ।।

আমি চাই
বসন্তের মাতাল হাওয়া
পাগল করে দিক তোমায়
চাই, তোমার চোখের তারা হয়ে উঠুক
ফাগুন পূর্ণিমার চাঁদ,

নারী যেন ঠিক কবিতার মতো
হাজারটা রূপ তার,
ঘটনার সাথে, সময়ের সাথে
বদলে বারংবার।

পাখির পালকে রোদের ঝলকে
নিষ্ঠুর প্রাণ !
অচেনা পথিক অজানা মানব,
পরিচিতি সুমহান ।

আমি যেন পথ হারিয়েছিলাম
কোটি বৎসরের ক্লান্ত সে পথ,
সারি সারি শালিকের ভিড়ে
অর্ধনমিত এক সুর্যালকে
যেখানে এক হয়ে সহস্র রঙ
মেলেছিল ডানা সীমান্তের পর।

এক নারীতে জীবন যাবে
এমন কোনো কথা আছে?
এই জীবনে নত হবো
হাজার হাজার নারীর কাছে।

ফেরার পথে অনুর জন্য একটা
শাড়ি কিনে আনবো।
অনুটা সেই কবে থেকে অপেক্ষায় আছে
একটা লাল শাড়ির;
যা আমি প্রতিবার গায়ে জড়িয়ে দেই
মাটির পুতুলের।

জেগে ওঠো,জেগে ওঠো,জেগে ওঠো হে নারী,
তোমরাই মুক্তির অস্ত্র,তোমরাই মুক্তির তরবারী ।
হে নারী তোমরাই আমাদের সম্মান,
তোমরাই এ ধরনীর প্রান ।

সেই দাগ আজও যায়নি,
সমাজ ভুলেনি সেই কথা,
চোখের পলকেই কেটে গেল ১৪ বছর,
এ যেন গায়ে আঁচড় কেটে দেয়া,
কলঙ্কের দাগ ।

কোথায় আছ কত দুরে
হৃদয় অন্তর অচিন পুরে,
পড়ে আছে নিথর এক হৃদয়
সেউ বুঝি নিতেছে আজি বিদায়।
এই যদি হয় তোমার খেলা
তবে কেন মনের সাথে মন মিশিয়ে কাটালে সারা বেলা?

এসেছ এই ভুবনে স্রষ্টাকে সন্তুষ্টি করিতে
করছ সাধনা দিন-রাত অবিরাম স্বর্গ সুখে যেতে
সময়মত না করিলে নারীকে গ্রহন
নিমিষেইই যে হবে সব সাধন- ভজনের ছন্দপতন

আজ সকালে ঘুম ভেঙ্গেই দেখি পাশে তুমি শুয়ে
অনেক দিন পর তোমার দেখা ।
এলোমেলো চুল, লিপিষ্টিকে গালেদাগ
শান্ত চেহারাটায় কোমলতা ভরা

পুজার থালার মত পরিপাটি
কী আশ্চর্য মোহোময় মুখ !
শঙ্খকণ্ঠী নারী
পরানের গহন গহীনে উৎসারিত উচ্ছাস
ছড়িয়ে দাও বাতাসে কী অবলীলায় !