নারী,সবটুকু তুমি আমার
যাহা দৃশ্যমান, যাহা অদৃশ্যে থাকা টান।
চুম্বনে যদি ভাঙ্গিয়া আসে চোখ,
উষ্ণ অধর জড়িয়া করিব সে মুহূর্ত উপভোগ।
ঘুমের শরীরে যতটা শিশুর ভান,

আকাশ যদি ভালোবেসে
তার রং ছড়িয়ে দিতে পারে,
বাতাস যদি ভালোবেসে
তোমার চুল নাড়াতে পারে,

দুঃখের সাগর যে দেয় পাড়ি
সে নারী, সে নারী, সে নারী।
ক্লান্তি কভু না ছোঁয় তাঁকে
পাথর হয়না অধিক শোকে
পরিবারে যে হয় সুখের তরবারি

সদ্য ফুটা বেলি ফুল
রূপে, গুনে, গন্ধে সে অনন্যা
সবাই তাতে আকুল,
কিন্তু, মা তার, বেকুল বিবাহের জন্যে ।।

দিনের শেষে ঠিক করেছি খুজব আমি তারে
যেই মেয়েটি বেড়ায় বয়ে ভাগ্য হাতে করে
সেই মেয়েটি, যে কিনা ঝুকে দায়িত্ব ভারে
দিনের শেষে ঠিক করেছি রাখব বুকে তারে |

জাগো গো ভগিনী, মুছে ফেলো মূর্খতার যত গ্লানী,
সব বাধা পেরিয়ে করো জ্ঞানাহরণ, হও জ্ঞানী।
গড়তে সুশীল সমাজ, দেখিয়ে শিক্ষা ওজস্বিতা,
ভেঙ্গে-চুড়ে গুড়িয়ে দাও, অজ্ঞতা থাকার কুপ্রথা।

ওগো নারী, তুমি মন জুড়ি দিয়েছো বাঁধন এক
সুখের ছোঁয়ায় হারায়ে মন, দূর গগনের শশীতে হাসিছে
তারার গাঁথন গাঁথি।

নারী,আজ তুমি মুক্ত,ভেঙ্গেছ শৃঙ্খল
রনক্ষেত্রে তুমি পুরুষের বল,
নারী,আজ তুমি মুক্ত,ভেঙ্গেছ শৃঙ্খল।
তোমার উৎসাহে পুরুষের জয়,

আমার চো‌খের জল মু‌ছি‌য়ে
সারাক্ষণ মধুময় ছায়া দি‌য়ে
‌যে কর‌লো বড় মো‌রে
‌সে আমার জননী।

আমরা আধুনিক জাতি,
সনোগ্রাফিতে দেখি; ভ্রুণটা পুরুষ নাকি নারী;
যদি হয় নারী, বোঝা মনে করি; নেই গর্ভপাতের প্লেন।

সৌন্দর্যের প্রতিমা তুমি নারী
সুন্দরের পূজারী কবি ।
সুন্দরের পূজা করি
সব সুন্দর চোখে ভরি।
যে সুন্দরে দৃষ্টি কাড়ে
তার জন্য প্রেম বাড়ে।

নারী তুমি বহুরূপি,আছে নানান রূপ,
তোমায় নিয়ে লিখতে আমার,ইচ্ছে আছে খুব।
কভু তুমি মাতৃরূপি,মায়াবিনী মা- জননী,
তাইতো তোমার আরেক নাম গর্ভধারিনী।

নারী!তুমি কী ? মানুষ! না অন্য কিছু ?
তোমার আগমনে বাবা-মা করে কেনো মুখ নিচু ?
নারী! আছে কি তোমার পরিচয় ?

আমি যেন পথ হারিয়েছিলাম
কোটি বৎসরের ক্লান্ত সে পথ,
সারি সারি শালিকের ভিড়ে
অর্ধনমিত এক সুর্যালকে
যেখানে এক হয়ে সহস্র রঙ
মেলেছিল ডানা সীমান্তের পর।

জোৎস্নায়ব বদন তোমার , রোদন আমার অঙ্গে
এলোচুল যদি খুলে দাও আজ , মিশব হাওয়ার সঙ্গে।
ঘড়ঋতু নয়কো তুমি , মেঘের রংয়ে সাঁজ
রংধনুর ঐ রংয়ের কোনায় , পাইনি তোমায় আজও।