সন্ধে বেলা দ্বারের বাহির
হতে পারে ভয়
এইনা হলে তারে কি আর
মেয়ে মানুষ কয়!

আকাশ যদি ভালোবেসে
তার রং ছড়িয়ে দিতে পারে,
বাতাস যদি ভালোবেসে
তোমার চুল নাড়াতে পারে,

বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি " নারী "
সে নারী আমার মা জননী
সে নারী আমার বোন ভগিনী ৷
নারীরূপী বিশ্বময়ীর গর্ভে

তোমায় করি আনারকলি,
তোমায়ই মমতাজ,
সম্রাজ্ঞী হও এ হৃদয়ে,
নিজকেই করি দাস!

সেই দাগ আজও যায়নি,
সমাজ ভুলেনি সেই কথা,
চোখের পলকেই কেটে গেল ১৪ বছর,
এ যেন গায়ে আঁচড় কেটে দেয়া,
কলঙ্কের দাগ ।

নারী,সবটুকু তুমি আমার
যাহা দৃশ্যমান, যাহা অদৃশ্যে থাকা টান।
চুম্বনে যদি ভাঙ্গিয়া আসে চোখ,
উষ্ণ অধর জড়িয়া করিব সে মুহূর্ত উপভোগ।
ঘুমের শরীরে যতটা শিশুর ভান,

নারী তুমি বহুরূপি,আছে নানান রূপ,
তোমায় নিয়ে লিখতে আমার,ইচ্ছে আছে খুব।
কভু তুমি মাতৃরূপি,মায়াবিনী মা- জননী,
তাইতো তোমার আরেক নাম গর্ভধারিনী।

ভ্রুকুটির আভিজাত্যে তুমি নারী
চাবুক তুলে নাও
আমি লাগাম নিলেম।
তোমার বিরক্তি প্রলয়ের মত;
ভয়ংকর

নারী মানেই বিভিন্ন সময়
কখনও মা,কখনও স্ত্রী,
কখনও মেয়ে, কখনও ভাজতি।

খুব একটা আসো না তুমি এ হৃদয়ে যুক্ত থাকা পশমি মেঘের দ্বীপপুঞ্জে
তবে আজও সন্ধ্যের বেলকুনিতে দাড়িয়ে দেখি,
কসমিক শূন্যতার সিড়ি বেয়ে ঢলে পড়েছে মায়োপিয়া।

বৃষ্টি পড়ে ধুলো ঝেড়ে, যেমন ভুবন জাগে
তোমায় পাব কাছে আমার, হৃদয় অনুরাগে
মেঘের আড়ে বারে বারে, সূর্য নেভে জ্বলে
তেমনি তুমি মনের ঘরে, একাই যাও খেলে।

মুখোশধারী আমি মুখোশধারী,
ধ্বংস করি তাঁদের সকল বাড়ী
পোড়াইয়া দেই তাঁদের গাড়ি
যারা আছে সমাজে দুষ্কৃতিকারী
আমি মুখোশধারী।

অতৃপ্ত অস্থিরতায় কাটে মাগো
আমার প্রতিটা দিন,
কি দিয়া হায় করিবো শোধ
মাগো তোমার ঋণ।।
তুমি যে মা মহীয়সী নারী
তুমিই মোর কোরআন,

মনে ছিলো যত্নে রাখা হাজারো ছন্দ ভাষা,
হৃদয়ে পুষে ছিলো কোনও এক জীবনানন্দ দাস,
চোখের ভাষায় খুঁজেছিলো তাকে, আশার পথ অভিমুখে।
কাজল এঁকেছে চোখে, ঠিকই লাল টিপ পড়েছে কপালে
নীল শাড়ী জড়িয়েছে তার অপরূপ অঙ্গে।

আমি না হয় অমানুষ রয়ে গেলাম।
মানুষ হওয়ার তীব্র বাসনা নিয়েই
আজ থেকে শত শতাব্দী পূর্বে
পৃথিবীর বুকে পা রেখেছিলাম,