আজও নারীরা অসহায়,
স্বতীত্ব গে‌লে নারী মানহীন, পুরু‌ষের বেলা কিছু নয়।
ধ‌র্ষিত নারী সমাজ বিতা‌ড়িত, ধর্ষক সমাজপ‌তি
কাম তাড়নায় মাত‌লো পুরুষ, নারীর হ‌লো ক্ষ‌তি।

নারী,তোমার কাছে আমার জন্মের ঋণ
সেই ঋণ বেড়ে গেছে দিনের পর দিন।
জীবনে প্রথম তুমি এসেছিলে মায়ের রূপে
নারী,তোমার কাছে শৈশব রাখা চুপে চুপে।

সদ্য ফুটা বেলি ফুল
রূপে, গুনে, গন্ধে সে অনন্যা
সবাই তাতে আকুল,
কিন্তু, মা তার, বেকুল বিবাহের জন্যে ।।

চলমান গাছ,ধানক্ষেত পাশে ফেলে ছুটন্ত রেল,
আহ্লাদে আটখানা!লতার প্রথম অভিজ্ঞতা।
“শুভযাত্রা” বিদায়ী অভ্যর্থনা,শুভাকাঙ্ক্ষীর নির্দেশনামা গজ গজ..
বৃষ্টির ছিটেফোঁটা আপ্লুত লতার দৃষ্টি জানালায়।
মায়ের দুঃস্বপ্ন ঘিরে সেলফোনের নিস্তব্ধতা

তপতীকে নিয়ে আরও কিছু লিখতে ইচ্ছে করে খুউব!
বিষন্ন বিকেল গুলো এখন আর কাটতে চায় না;
চায়ের স্টলে, ফার্মেসীর কোণে বসে আর কতোটা সময়
কাটানো যায়?

কে বলেছে? নারীরা অবলা,
তুচ্ছ, নগন্ন, বঞ্চিতা, অতি সাধারণ,
মর্যাদা গেরেছেন নারীরা,
কেউ করেন নি দান তাকে শ্রেষ্ঠত্ব,
নারীরাই শ্রেষ্ঠত্ব করেছেন অর্জন ।।

স্বরে কেন তব নিস্তব্দতা
জাগেনা কেন সূর দোলা
ভুলেছি কবে ভেসেছি আমি
সূর দোলে উতলা।

পরিচয় তুমি স্নেহ ভালোবাসার
পরিচয় তুমি রাগিণীর
তুমি পরিচয়- বন্ধন অটুট
বিশ্ব মহা জয়ন্তীর।

পাখির পালকে রোদের ঝলকে
নিষ্ঠুর প্রাণ !
অচেনা পথিক অজানা মানব,
পরিচিতি সুমহান ।

আমরা আধুনিক জাতি,
সনোগ্রাফিতে দেখি; ভ্রুণটা পুরুষ নাকি নারী;
যদি হয় নারী, বোঝা মনে করি; নেই গর্ভপাতের প্লেন।

বিদঘুটে অন্ধকারে রোশনাই জ্বলে চাঁদের ,
যেন এক চিলতে আলোয়, কাজলা চোখে
অবাক করা সম্মোহনী চাওয়া।

যদি আর কোনোদিন না ফিরে শঙখভোর
যদি আর না ফিরে সেই অচেনা মনচোর?
উদাসী বাউলের একতারার মতো হারিয়ে যায়
আমার সকাল, সন্ধ্যা, দুপুর?

কষ্টের শতদল কচুরিপানা হয়ে ভাসে;
বেদনাগুলো কাঁদে নিভৃতে!
প্রত্যাশার খাতায় লেখা হলো সমাপ্ত।
প্রাপ্তির ফর্দটা আজ কোমল পানীয়
তৃষ্ণাগুলো গেছে নির্বাসনে
শ্রান্তিয় বিনোদিত মা নামীয় নারী

দিনের শেষে ঠিক করেছি খুজব আমি তারে
যেই মেয়েটি বেড়ায় বয়ে ভাগ্য হাতে করে
সেই মেয়েটি, যে কিনা ঝুকে দায়িত্ব ভারে
দিনের শেষে ঠিক করেছি রাখব বুকে তারে |

ছোট্ট বেলার দিনগুলি আজ আসতো যদি ফিরে
সময় দিয়ে বেধে রাখা শক্ত রশি ছিঁড়ে

সে সব দিনের টুকরো স্মৃতি হাওয়ার সুরে সুরে
বিকেল হলে নীল আকাশে মেঘ হয়ে যে উড়ে