দুঃখ গুলো আজ
দৄত্য হয়ে নিত্য খেলছে,
রিক্ত মনে সিক্ততা বাড়িয়ে
ধরাধম কুলুসিত হচ্ছে

সারা দিন শ্রম খুঁটে খুঁটে সংগ্রহ করা ঘাম
লিখে রাখা আছে অন্য নামে হিসেব খাতায়
সেই সব লুটেপুটে খাওয়া দেয় নি কোন দাম
তাকেই কষ্ট বলে বাবুদের বিলাস জমানায়।

আছে কষ্ট শুধু অল্প
আসার পথে ছিলেম বসে
শূন্য মনে এলেম ফিরে
যারি জন্যে সে নয় পাষাণ
মনের বনের আমি যে কৃষাণ

গভীর শীতে শীতল বাতাস,
একটি চাদর সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে আমি হতাশ ।
কুণ্ডলী পাকিয়ে ঘুমাই আমি কুয়াশায় মোড়া চাদরে,
শীতল রাতে অচেনা পথে ।

আমি দূরেই থাকি না হয়, তুই তো বেশিই চাইছিস
কিইবা আর দেয়ার আছে আমার, না প্রেম না ভালবাসা;
নিজের হৃদয়টা তো সেই যুগ আগে থেকেই ফুটো,

দিনের শুরুতে যখন ভাঙে মোর ঘুম,
ভোরের পবিত্র আলোয় তোমায় খুঁজে মোর চোখ।
হারায় দিগন্তে, হয় যেন দিশাহীন।
হৃদয়মাঝে যেন অনুভূত হয় অন্যরকম কষ্টসুখ।

কষ্ট-জয়ের মন্ত্র যদি একটু জানা থাকে
তবে বন্ধু সাড়া দিয়ো আমার ডাকে।
কষ্ট সয়ে জীবনটা যে যাচ্ছে ভুগে-ভুগে,
কষ্ট-জয়ের মন্ত্র আছে এই আধুনিক-যুগে ?

এতটা নির্লিপ্ত না হলেও পারতে তুমি,
এতটা অসহায় না করলেও পারতে এই আকাশকে।

পরাজিত স্বপ্নের কাছে এতবার কেন ডাকছো আকাশ?
গোধূলির ঐ নেশা ধরানো রঙ
মুছে যাবে একদিন।

অনুভুতির প্যাকেট সিলগালা করে দিয়েছি,
চাইলেই তুমি আর আমাকে যখন তখন, ,
কষ্টের বৃষ্টিতে ভেজাতে পারবেনা।

তোমার অস্তাচলে তাকিয়ে
আচলের সুদীপ্ত বলিরেখাটি বিলাপ করে,
আমি তা সহ্য করি;
ভস্মতূল্য স্মৃতিপদক বসনখানি রিক্ত বলে
শক্ত করে হুমকি দেয় বারবার,
আমি তাও সহ্য করি।

"হ্যাঁ,অনন্ত,আমি বাড়ি ফিরছি।
আমার প্রথম বাড়ি ফেরা,হয়তো এবারই শেষ।"।
এই পর্যন্ত পড়ে মনে হলো,যা জানার ছিলো,তা জানা হয়ে গেছে।
এখন সন্ধ্যে, এবার আমাকেও বাড়ি ফিরতে হবে।

কষ্ট মানে-
বাবার হাই প্রেসার,হার্ডের অসুক
অবলা মায়ের দুর্দশার অভাবের সংসার।
যৌতুকের দায়ে বিয়ে ভাঙ্গা বোনের
চোখের কোণে জমানো জল ছল ছল।

টের পাওনি কখনই তুমি-
কেমন নিঃশব্দে ভেঙেছ আমার বুকের পাঁজর
প্রবল স্রোতে যেমন ভাঙে নদীর দু-কূল!

আমার শার্টটা আজ মাস্টার্সে উঠলো
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে
শরতের একদিন তোর সাথে দেখা
পাশে আমার বাড়ি
তুই কাছে এসে দাঁড়ালি
আমি তখনও আনাড়ি

পৃথিবীটা হইতো যদি এমনতর
রইতো সিমানা কারো মালিকানা অধিকার
বিধাতার জমিনে সবে মোরা ভাগিদার
নহে কেউ পর অধীন