এতটা নির্লিপ্ত না হলেও পারতে তুমি,
এতটা অসহায় না করলেও পারতে এই আকাশকে।

পরাজিত স্বপ্নের কাছে এতবার কেন ডাকছো আকাশ?
গোধূলির ঐ নেশা ধরানো রঙ
মুছে যাবে একদিন।

এক স্বস্তির ঘুমের অপেক্ষায়,
জীবনের বহুবেলা কেটে গেলো হেলায়-অবহেলায় ।
আর কত পারা যায়...?
মানব তো আমি,
অনুভূতিতে বাঁচি, অনুভূতিতেই মিশে থাকি।

গভীর রাতে প্রায়ই শোনা যায় এক নিশাচর পাখির ডাক
একদিন তাকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি কাদছ কেন ?’
সে যদি কথা বলতে পারত আমার ভাষায়
হয়তো বলত, ‘তুমি হলে কি করতে ?’

মৃত্তিকার বুক চিড়ে শুঁকে দেখি
রক্ত -রক্ত ঘ্রাণ।
' তাজা ' রক্তের গন্ধে ওঠে __
রক্তে মহাঝড়, মহাপ্রাণ ।

হয়ত কেউ হারিয়ে যাবে
ছলছল চোখের অশ্রু বিন্দু
স্মৃতির পাতায় বাঁধা রবে
তবুও কেউ হারিয়ে যাবে।

নাম না জানা ওই বৃদ্ধ লোকটি
গোপন করে তার অনুক্ত শোকটি
আছে ঘুমিয়ে থাকা পুকুরঘাটে বসে
নিঝুম জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে-
আলতো একটা করুণ হাসি হেসে।

জ্বলন্ত মোমশিখা,

আপনারে রেখে অন্ধকারে,

বিলিয়ে দেয় আলোকধারা।

পুর্ণ জীবন নি:শেষ করে,

মেরুদন্ড যখন যায় ভেংগে,

যখন আর দাড়াতে পারে না।

সেই যে গেলে আমায় ফেলে
দুখ নদীর ঐ ঘাটে ;
ছুটছি দিবানিশি ওগো
স্বপ্ন বীজের হাটে।

তুমি কী আমায় ভালবাসা?
• হু !
কেন ভালবাস ?
• কেন;তাজানিনা,শুধু জানি ভালবাসি।

বর্গা চাষার ছেলে আমি
ভেন্না পাতার চাউনি ঘরে,
ছেঁড়া চটে শয়ন মোদের,
সুখের নিদ্রা নয়ন ভরে ।

আমার হাতে বিষাদের কলম
সামনে তবুও সাদা কাগজের স্তুপ
আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেট জ্বলে
পুড়ে হয় শেষ, তবুও
কষ্টতো হয় না শেষ!

আমার আশার কলিরা হতেছে নষ্ট
মনের কোনায় দহন করে সে কষ্ট
এখন ও কথা বলছে চাই যে স্পষ্ট
তুমিই কেবল নেভানোর জল তার।

বিষাক্ত কষ্টের আলিঙ্গনে সেবার নিথর হয়েছিল
শরীর। অহেতুক রাত হয়েছিল গভীর।
বিষণ্ণ আলোয় জেগেছিল চোখ
বেড়েছিল চুল-দাড়ি।পুড়েছিল হৃদয়ের আলেপ্পো নগরী।

মা! ওমা!! মাগো!!! কোথায় তুমি?
মা! ওমা!! তুমি কি শুনছো আমায়?
মা! তুমি কোথায় চলে গেছো আমায় একলা করে ?
আমি আর পারছিনা মা! নর হয়ে থাকতে পুরে ৷

বিবিধ আদরগুলো রেখেছিলাম; অতি গোপন প্রকোষ্ঠে
একাকী গভীর রাতে, অতি সঙ্গোপনে সে সব ছুঁয়ে দেখেছি বহুবার।
ভেবেছিলাম কানামাছি খেলার ছলে-