এ দেশ একার নয়তো তোমার
নয়তো একা আমার।
এ দেশ হ’ল সব বাঙ্গালীর
জেলে, কৃষক, কামার।

এখন বেশ আছি আঁতুড় ঘর, ক্ষুধা আর শীত
শূন্য হাত সকরুণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
বাজখাই গলা বেসুরো হাঁকে
এ জীবনের নিবেদন; এখন মানুষগুলো
যেনো কেমন কেমন, কেউ তাকিয়েও দেখে না!

আমি স্বাধিনতা দেখিছি
মুক্ত পাখির ডানায়
নীল আকাশের মাঝে
ডানা মেলে বেরায়।

ষমতালোভী ইংরেজরা দিল বাংলায় হানা।
একথা কি আর বলব- তা যে সকলেরই জানা।
ভারতবর্ষ হল স্বাধীন দুই-শতকের সংগ্রামে;
তবু ভারতকে তারা ভাগ করে গেল ভিন্ন দুই নামে।

আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি
হে পৃথিবী
আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।

আমি বাঙালী! গর্বিত আমি তাই...
আমি বাঙলায় কথা বলি,
আমি বাঙলায় গান গাই!
আমি বাঙালী....

উড়াই ঘুড়ি নীল আকাশে লাল গোলাপ কুঁড়ি ফোটে
নতুন দিনের মন রাঙিয়ে রঙিন মাছ পাখনা মেলে
রং বেরং বেলুন ওড়ে রং তুলির আঁকে-বাঁকে
ক্যানভাসে শিল্পীর পোড়ামুখে জীবনের প্রতিচ্ছবি ভাসে।

ছেলে গুলো মারা গেল খাকি পাকি গুলিতে।
কেই বলে লেগেছে তা হাঁটুতে বা খুলিতে।
কেউ বলে লেগেছে তা একেবারে বক্ষে।
কেউ বলে লেগেছে তা সরাসরি চক্ষে।

রাজ বসন্তের এই ঋতু, ফাল্গুনে!
রজনীগন্ধার শুভাস মাখা দিনে।
পারবো কি আমি,
পারবো কি ফুঠাতে সেই ফুল।
যার গন্ধে ভীম-ভৌমরা মৌমাছিও
হবে ব্যকুল।

আমার শারিরীক অক্ষমতার পাশে
কীর্তন খোলা নদীতে সাঁতারের দাগ ক্ষয়ে যায় ।
ক্রমশ অস্পষ্ট হতে হতে
ডায়েরির পাতায় ঘুমন্ত ছায়া এসে ঢেকে দেয় ।

চিল আকাশে উড়ে যায় , মেঘের ছায়ায়
ইচ্ছে মতো বাড়ায় তার নিজের গতিবেগ
মানুষ ভাবে হায় ,চিলের আছে স্বাধীনতা,
তাই সে ওভাবে উড়তে পারে সাথে থাকে মেঘ ।

মা গো, কাঁদছ কেন তুমি?
জানই তো, গেছে বাবা
পাক সেনাদের ভয়াল থাবা
ছিন্ন করে মুক্ত করতে আমাদের এই ভূমি,
তবু কেন থেকে থেকে কাঁদছ গো মা তুমি?

রুধিরসিন্ধু মন্থন-জাত অমৃতসম হে স্বাধীনতা,
তুমি তো ছিলে শত-সহস্র বৎসরের শোষিত দলিত
বাঙ্গালির মনে বাষ্প-লাভার মত !
তুর্কি মোঘল পাঠান বর্গি ব্রিটিশ পাকি’ যত
তব সমাধি রচিতে সচেষ্ট ছিল অক্লান্ত-অবিরত !

স্বাধীনতা তুমি
রঙ্গীন প্রচ্ছদে
লেমিনেটিং কভার পেইজের
বুকসেল্পে সাজিয়ে রাখা
গণতন্ত্র রাষ্ট্রের সপ্নে ঠাসা
রাশভারী মানুষের ফাঁকা বুলি,

ছোট ছোট শিশু আর ছোট ছোট ফুল,
ছোটরাও বড়োদের, হয় সমতুল।
ছোট ছোট কচিপাতা, নব কিশলয়,
ক্রমে ক্রমে পর্ণ রূপে পরিণত হয়।