আমি ভয় পাই আজ বাঙালীরে
যে জাতি এক পতাকা তলে

হালকা মেঘের মিলনে স্যাঁতসেঁতে কাঁদা মাঠি
সেখানে দ্যাখো উদ্ভিদের জন্মাতে সময় লাগে না,
একটু ঢিলে মিলল আর অমনি তাদের সহবাস!
কিছু প্রহর তারপর হৈচৈ লেগে যায় ঠাশ ঠাশ।

শত বছর ধরে রয়েছি আটকে জনমানবহীন ওই দালানাটায়,
এখানে আমি আপন মনে কখনও হাসি আবার কখনও বা কাঁদি,কিন্তু জানো প্রাণহীন ওই হাসি—কান্নায় আওয়াজ কেবল আমাকেই শুনায় ৷
আমি অতৃপ্ত আত্তা

শীতের কুয়াশা ঢাকা গভীর রাতের বুকে
এক গুচ্ছ ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছি-

এই সমাজে একটা শ্রেণী করছে ভয়ের চাষ,
বাকিরা সব ভয়ে ভয়ে করছে বসবাস।

ঘুমের ঘোরে
ডুগরে কাদি,
চিৎকারে ভাবি
ছাতি ফাটে
ছটফট করে হাত পা ছুড়ি ।

তুই ফের ছুটে এসে ছিঁড়ে দিলি আরূঢ় মগ্নতা
বোধের ভেতরে ক্রমে এসেছিল বিস্মরণ

আমার ভীষণ ভয় করে
সবাই যদি ভূল ধরে

স্বাধীনতা আজ
ক্ষুদার্থ ওদন যোগাবে কে?

মাতৃজঠরে ছিলে। সে এক প্রাক স্বর্গ। সে স্মৃতি কি মনে তোমার আছে?
কিছুই মনে নেই? মা খেলে খাওয়া হতো। মা ঘুমালে ঘুমানো হতো।

পড়ন্ত রোদের আলোয়
পশ্চিমের আকাশে লাল সুরমা দিগন্ত ছোঁয়

সময় বলেছে- আমি হারিয়ে যাবো,
আগুন বলেছে- ছাই হয়ে উড়ে যাবো।
সময়ের ব্যবধানে:আমি নাই হব,
তুমি,তোমরা, আপনিরা আর আমাতে মিলবেনা।

আমাকে অন্য দৃশ্যে দেখবে হয়তো আবার--
আমি চলে গেলে অদৃশ্যপ্রিয়ার সাথে

সন্ধ্যা তখন, বৃষ্টি ছিল
যে যার মত ছুটছিল

সব প্রসংশা যৌবনতার বার্ধক্যের নয়
যৌবনে তার সাহসপূর্ণ বার্ধক্যে ভয়