আরে ভাই গনী মিয়া,এত্ত বড় বোঝা নিয়া,
কোথায় চললে মশায়?
শোনো ভাই কাঠুরিয়া,কাইটোনা আর করাত দিয়া,
পরাণ বুঝি যায়!

আধারের মাঝে যে আলোর প্রদীপ জ্বেলেছিলে,
ছোট্ট সে শিখা নয়ত চন্দ্র সূর্য সম তবুও সে ছিল তা অনেক বড়
জীবনের অস্ত্বিত বুঝতে মরনকে ভুলে।

প্রপিতামহের কাছে নতজানু হতেই
ধমকে দিলেন;
বললেন-ঋজু হও,
মস্তক করো উন্নত,
মনে রেখো দাসত্বের বীজ
এভাবেই রোপিত হয়,

তোমাকে পাইনি কখনো
তবুও তোমার কাছে ঋণ আমার অন্তহীন-
তোমার জন্যই-
মেঘলা আকাশে বৃষ্টি নামে।

মানবতা আমি দেখে নিয়েছি
তোর শেষ বিন্দু,
তাই ইচ্ছে নেই, দেখাবার শুরু
তোর কাছে আমি শষ্য দানা সমেত দামী।

রাজ্য তোমারে উপহাস করে, নৃ’জাতি অবহেলায়,
শাসন শোষণ কোথায় চলিত,জাতি না চাহিলে ঠায় ।
ক্ষমতা তোমারে মুকুটে দিয়েছে, তুল্য ভাবিয়া ভ্রাতা
ভূখের রাত্রি কেমনে পোহায়,জানিতে দুঃখ কথা।

কালো মেঘের জল দিয়ে
তোমার ফুল ভেজাব না
নিছিদ্র মায়ায়।
প্রেম বাসনার পত্র নিয়ে
নাড়ব না কড়া তোমার
রঙ্গীন দরজায়।

হারিয়ে যাওয়া তোকে ই খুজি
আপন মনে সব খানে
ভালোবাসা মানে তুই বুজি
হারালি তুই কোন সে অভিমানে ।

তুমি আঁখিতে বিচরণ করিয়াছ
নিজের আঁখি ঢালিয়া,
তপ্ত সুখে হাসিয়া বেড়াইতে যেন
হৃদয় মোর ভাঙ্গিয়া।

ভালোই আছি, যেমন ছিলাম, শরীরে ও অন্তরে
একটুখানি বুড়িয়ে গেছি, কি যেন ফুস্ মন্তরে।
কতদিন তোমার পাইনি দেখা, অন্দরে বা বন্দরে
এবার কি আসবে বলো, পেলে বড় বন্ধরে?

ই মেইলের কাছে বেড়েই চলেছে ঋণ।
যে কোনও আপাত দুর্লঙ্ঘ
নদী করে দেবে পারাপার।

আমি ঋণী, হে পৃথিবী
আমি তোমার কাছে ঋণী।
আমি ঋণী,হে জন্মভূমি
আমি তোমার কাছে ঋণী।

নেতা হতে পারিনি তাতে কি হয়েছে সমাজের প্রতি আমারও দায়িত্ব আছে।
ধনী-গরীবকে সমান চোখে দেখা, তাঁদেরকে ভালোবাসা, গরীবের মুখে আহার তুলে দেওয়া আমারও বেশ অধিকার রয়েছে।

যা কিছু হারিয়ে যায়,
চিরতরেই যায়
ফেরে না কখনও; কোনদিন!

আজি মনের ভেতের বাজিতেছে বিষের বাঁশি,
কারণ,
মোর জীবন হয়ে উঠেছে দুঃখময়,
কল্পনা আর বাস্তবতা,