অথচ বাসর রাত

রাত (মে ২০১৪)

আপেল মাহমুদ
  • ২০
  • ৬৪
সমস্ত স্বপ্নকে বনবাসে পাঠিয়ে আজ বাস্তবতার রাজত্বে এক তুচ্ছ প্রজা রূপে নিজেকে সপে দিতে হচ্ছে! হায় আবিদ! তোমাকে আমি দেবতার মানদণ্ডে মেপেছিলাম। চশমার কাঁচ ভেদ করা তোমার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আকাশের শুভ্র মেঘমালা কল্পনা করেছি। তোমার সরল(!) দুটি চোখে তাকিয়ে আর অবুঝ অবুঝ কথায় তোমার প্রেমে অন্ধ আমি আমার বলে তো কিছুই রাখিনি! অথচ আমাকেই মস্ত বড় বোকা বানিয়ে তুমি নির্বিঘ্নে সংসার পেতেছো! জানো আবিদ, তোমাকে নিয়ে আমি কতটা যে গর্ববোধ করেছি, তা আমি ছাড়া আরও একজন যিঁনি জানেন, তিঁনি অন্তরীক্ষে থেকে আমাকে বুঝি যারপর নাই তিরস্কার করছেন।

বহুবার ভেবেছি- নিভৃতচারী হবো;- সবাইকে ফাঁকি দিয়ে তোমার ফাঁকিকে স্মরণীয় করে রাখবো। কিন্তু ভয় হয়- পাছে তুমি যদি ফেঁসে যাও!
কি অদ্ভুত ভালোবাসা বলো? ভালোবেসে একজন নারী তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ দিয়েও কিঞ্চিত ভালোবাসা পেতে পারে না!
আমি এখন কি করবো বলো? আজ আমার বাসর - একটি স্বপ্নহীন বাসর। বলতে পারো দ্বিতীয় বাসর। একজন মানুষ কয়জনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে বলো? আমার জীবনের প্রারম্ভান্তে যাবতীয় ভাবনা- সমস্ত স্বপ্ন যে শুধু তোমাকে নিয়ে। অথচ সেই তুমি আমার সমগ্র স্বপ্নকে টুকরো টুকরো করে দিলে! আজ সে টুকরো স্বপ্নগুলিও চূর্ণ হতে চলেছে! রাজিবের বউ হয়েও আজকের এ বিশেষ রাতে তোমার মুখটিই বার বার ভেসে উঠছে বিচূর্ণ হৃদয়ের কোণে।

তুমি কিভাবে ভুলে গেলে বলো? তোমার-আমার কিছু আবেগী মুহূর্তের জন্য আমি মা হতে চলেছিলাম! অজানা শঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত এই অসতী নারীর দুটি স্বপ্নাতুর চোখ তবুও স্বপ্ন বুনেছিলো- ‘হয়তো তুমি সে সন্তানের স্বীকৃতি দিতে আমায় বউ করে নেবে’। কিন্তু তোমার চাতুর্যের রাজত্বে আমি যে ভিখেরীনি হবারও যোগ্য ছিলাম না, তা এখন ক্ষণে ক্ষণে টের পাই। তোমার নানান অজুহাতে আমাদের পাপের নিষ্পাপ ফসল নিশ্চিহ্ন করতে আরও একটি বড় পাপ করে ফেললাম! আর অমনি তুমি নিজেকে দায়মুক্ত ভেবে আমার এই কলঙ্কিত জীবন থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে জ্যোতিকে বিয়ে করে ফেললে! আমার মতো জ্যোতিও হয়তো তোমাকে দেবতার মতো পুঁজো করে। কিন্তু তোমার প্রকৃত তুমিকে যখন জানবে, তখন হয়তো ঘৃণার সারিতেও তোমাকে নিচু শ্রেণিতে রাখবে! কিন্তু বিশ্বাস করো- আমি এখনো তোমাকেই পুঁজো করি। যাকে ভালোবেসে নিজের সমস্তই দিয়েছি, তাকে ঘৃণা করে নিজেকে সান্ত্বনা দেবার মিথ্যে প্রষ্টোর আশাকেও ক্ষীণ করতে চাই না।

আচমকা দেয়াল ঘড়িতে এলার্ম বেজে উঠলো; সাথে মৌসুমির ভাবনাতেও ছেদ পড়লো। ঠিক এগারোটা বাজে। বিয়ে বাড়ি বলে বাইরে এখনও খানিকটা কোলাহল রয়েছে। বাসর ঘরে সুসজ্জিত খাটের উপর বধূবেশে বসে আছে মৌসুমি। বিবেক মহোদয় বারবার খোঁচা দিচ্ছে- এ পবিত্র রাতে সে এক অপবিত্র নারী! রাজিব অনেক ভালো ছেলে। অথচ তাকেই সে ঠকাচ্ছে! প্রত্যেক স্ত্রীই তার স্বামীর জন্য যুগ যুগ ধরে যে অমূল্য সম্পদটি আগলে রাখে, তা যে সে মরীচিকায় বিভ্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলেছে, সে কথা নিশ্চয় রাজিব জানে না। জানেনা ভেবেই নিজেকে আরও বেশী অপরাধী মনে হচ্ছে।

দরজা খোলার শব্দ কানে এলো। মৌসুমি চোখ দুটো মুছে নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। রাজিব ঘরে ঢুকে পাগড়ী খুলে টেবিলের উপর রাখলো। অতঃপর ড্রিম লাইটটা জ্বালিয়ে দিয়ে এনার্জি লাইট বন্ধ করলো।

ঘরটা বেশ পরিপাটি। এটাচ্ড বাথ। ঘরের একপাশে একটি টেবিল ও বুক সেল্ফ। সেলফে অনেকগুলো বই সাজানো। তার বেশীর ভাগই শরৎচন্দ্রের, কিছু ডাক্তারী বইও। অন্যপাশে একটি আলনা, তাতে যত্ন করে কাপড় গোছানো। বিছানাটা দরজার একদম বিপরীতে। ফুলে ফুলে সাজানো। নানান রকমের ফুল, তবে বেশীর ভাগই গাঁদা। সবুজ আলোতে ঘরের ভিতরটা অদ্ভুত সুন্দর লাগছে!

রাজিব বিছানায় এসে বসলো। মৌসুমীর হৃদস্পন্দন হঠাৎ-ই বেড়ে গেলো। লজ্জ্বায় মাথা নিচু করে রইলো। রাজিবও দ্বিধাগ্রস্ত কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। এতোক্ষনে বাড়ির অন্য সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। টিক্ টিক্ টিক্ টিক্ - ঘড়ির কাটার শব্দ ক্রমেই স্পস্ট হয়ে উঠছে।

রাজিব কোন ভাষা না পেয়ে মৌসুমীর একটি হাত নিজের হাতে পুরে নিলো। চম্কে উঠলো মৌসুমি। শিহরনে ওষ্ঠাধর কেঁপে উঠলো! এ যেনো আবিদের স্পর্শ! ড্রিম লাইটে রাজিবের মুখে আবিদকে খুঁজে ফেরে মৌসুমি। নির্বাক রাজিব নববধূর অমন সুন্দর মুখপানে অবাক তাকিয়ে রইলো;- কল্পনার চেয়েও যেনো আজ বেশী সুন্দর লাগছে! দু’চোখের মায়ায় হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে! কম্পিত ওষ্ঠাধর অজানা পথে চলার আহ্বান করছে!

আবারও ঘড়িটা এলার্ম দিলো- বারোটার এলার্ম। দু’জনের ভাবনা ভঙ্গ হলো। রাজিব মৌসুমির হাত আরও শক্ত করে ধরে ডাকলো - “সুমি!”
- “সুমি নয় মৌসুমি।”
- “কেনো?”
- “আমার ভালো লাগে তাই।”
- “আচ্ছা ডাকবেন।”
- “ডাকবেন নয়, বলো- ডাকবে।”
- “পারবো না।”
- “পারতেই হবে তোমাকে।”
আচমকা রাজিব মৌসুমিকে জড়িয়ে ধরলো। মৌসুমি নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করলো, কিন্তু রাজিবের সুঠাম দেহের সাথে শক্তিতে কুলোলো না। প্রণয়ের গভীরতায় দু’জনে দু’জনাতে হারিয়ে গেলো।

মাঝরাতে খুব পানি তৃষ্ণা পেলো দু’জনের। টেবিলে রাখা পানি ভর্তি গ্লাস হতে দু’ চুমুক খেয়ে বাকিটা স্বামীকে দিলো মৌসুমি। রাজিব ইতস্ততঃ করতে করতে বললো - “কিছু মনে করো না সুমি, আসলে আমি এটো জিনিস খেতে পারি না।”

কথাটা শুনে দু’ চোখের কোণে জল নেমে এলো মৌসুমির। যে মানুষ কোন দিন এটো খায়নি, সেই সরল বিশ্বাসী মানুষটির বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছে! কি করবে সে? রাজিবকে তো কখনোই বলতে পারবে না যে, সে অনেক আগেই এটো হয়ে গেছে!
মৌসুমির গাল বেয়ে দু’ ফোটা জল গড়িয়ে রাজিবের হাতে পড়লো। নতুন বউয়ের কান্না রাজিবকে যার পর নাই ব্যথিত করলো। বউকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগমাখা কন্ঠে বললো - “বিশ্বাস কর সুমি, আমি সত্যিই এটো খেতে পারি না;- বমি বমি লাগে। কিন্তু তোমাকে ছুঁয়ে বলছি- আজ থেকে সব এটো খাবার খাবো। তবুও তোমার চোখে জল সহ্য করতে পারবো না।”

মৌসুমির কান্নার বেগ দ্বিগুন হলো। নতুন বউয়ের এমন কান্নায় রাজিব নিজেও আর আবেগ ধরে রাখতে পারলো না। মধুর রাতে মধুর চেয়ে যেনো তেঁতোর পরিমান-ই বেশী হলো!

ভোর বেলা বউয়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো রাজিবের। ভেজা চুলে অসাধারন লাগছে মৌসুমিকে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে প্রভাতের অপ্সরীর দিকে তাকিয়ে রইলো রাজিব। মৌসুমি লজ্জ্বা পেয়ে জোর করে রাজিবকে টেনে তুলে বাথরুমে পাঠিয়ে দিলো।

বিছানা গোছাতে গিয়ে বালিশের নিচে রাজিবের ফোন পেলো মৌসুমি। সাদা রংয়ের স্যামসাং ব্র্যান্ডের স্মার্ট ফোন। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলো সুইচ অফ্। কৌতুহল বশতঃ পাওয়ার অন করতেই একটা মেসেজ এলো -


FROM SHILA
19/04/2014 05:36 AM
RAJEEB, TUMI AMAI AVABE THOKATE PARLE? SARA RAAT PHONE-A TRY KORESI, TOMAR PHONE OFF. TOMAR VODRO CHEHARAR MAJHE EMON KUTSIT MANOSIKOTA SILO, VABTEO GHRINA LAGSE. AMI JODI PREGNANT HOYE JETAM, TOBE KI KORTE? JANI, KISUI KORTE NA! AMAKEI HOYTO MORTE HOTO. ETO KISUR POREO TOMAR OFFICE-A AR JOB KORA SOMVOB NOY. VALO THEKO, SHUKHE THEKO. AMAR MOTO TOMAR BOUKE ABAR THOKAIYONA.
---(SHILA)---


মৌসুমির দু’ চোখ জুড়ে আবারও বৃষ্টি নামলো। কি পোড়া কপাল ওর;- প্রতারনা ছাড়া যেনো কিছুই ভাগ্যে নেই!

বাথরুমের দরজা খোলার শব্দ হলো। তড়িঘড়ি করে ফোন বন্ধ করে আবারও বালিশের নিচে রাখলো। রাজিবের মুখে চেয়ে চেহারার সাথে ভিতরটা মেলাতে চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুতেই মিলছে না- বিস্তর তফাত! চোখে দেখে ভিতরটা চেনা গেলে পৃথিবীতে কেউ আর প্রতারিত হতো না।

নিজেকে হঠাৎই হালকা মনে হলো মৌসুমির। অন্ততঃ অপরাধ বোধের দায়টা যেনো বহুলাংশে লোপ পেয়েছে! ধন্যবাদ রাজিবকে! সে এমন না করলে বিবেক মহোদয় মৌসুমিকে সারা জীবন জ্বালিয়ে মারতো। দু’ ঠোটের কোনে ফুটে উঠা মৃদু হাসি হঠাৎই স্বশব্দে বেড়িয়ে এলো। রাজিব বললো - “পাগল হয়ে গেলে নাকি?” মৌসুমির হাসি তবুও থামলো না। অন্তরীক্ষে থেকে সে হাসির সাথে বুঝি আরও একজন হাসছিলেন!

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আপেল মাহমুদ সকল সমালোচক ভাই-বোনদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
আপেল মাহমুদ ভোট করার জন্য সকল পাঠককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপেল মাহমুদ নির্বাচিত ২৫ জন লেখককে অভিনন্দন জানাই।
ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী ) হুমমম পড়ে গেলাম, বেশ সুন্দর গল্প লিখেছেন আপেল ভাই। ভালো লাগলো গল্প। শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ শিল্পী আপু।
Salma Siddika ভালো লেগেছে, শেষের কথা গুলো ভালো লাগলো
অসংখ্য ধন্যবাদ সালমা আপু।
শিউলী অনেক ভাল লাগলো। শুভেচ্ছা।
আবিদ আজাদ খান অন্তরীক্ষে থেকে সে হাসির সাথে বুঝি আরও একজন হাসছিলেন......ভালো লাগলো আপেল ভাই।.....শুভকামনা রইলো
অনেক ধন্যবাদ জানবেন আবিদ ভাই।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ মন দিয়ে পড়লাম আপেল ভাই ----- । আমার খুব ভাল লেগেছে । সাবলীল ভাষায় আপনি চমৎকার লিখেন । অশেষ শুভ কামনা --- ।।
প্রথমতঃ ধন্যবাদ এ জন্য যে লেখাটি মন দিয়ে পড়েছেন। ২য়তঃ আপনাদের নিন্দাও যেখানে সুধার মতো লাগে, সেখানে আপনার এতো প্রশংসা আমাকে আবেগাপ্লুত না করে পারলো না। আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো।
আখতারুজ্জামান সোহাগ আসলে মানুষের ভিতরে আর বাহিরে বিস্তর ফারাক। আপনার গল্পের প্রধান তিনটে চরিত্রই তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বাসর রাত, সে রাতে অজানা দু’টো মানুষের কাছে আসা, আবার এই অচেনা মানুষদু’টোর মধ্যে আবিষ্কৃত সাদৃশ্য, সব মিলিয়ে বেশ লেগেছে গল্পটা। ধন্যবাদ।
আপনাকে বার বার পেতে চাই সোহাগ ভাই। অনেক ধন্যবাদ আর শ্রদ্ধা জানবেন।
প্রজ্ঞা মৌসুমী গল্পের শুরুতেই নারীর দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখাটা আগ্রহ তৈরি করেছিল। ভাবছি- ঘৃণা না হোক ভালবাসায় অপমানবোধতো থাকে অথবা প্রচণ্ড অভিমান। সেখানে দেবতার মতপূজো করা যায় না আর যদি যায়ও তবে দেবতার থেকে পাওয়াটা কি 'পাপ' বা পাপের ফসল হয়? আবার বিয়ে মানেই কি রেডিমেইড ভালোবাসা? অনেকটা অচেনার সাথে ভালোবাসাহীন বাসররাতের মিলন- ঐটাইতো এক ধরনের ঠকানো, ছেলে ভুলানো...সে যাক, ভালোবাসার অন্যপিঠ তুলে এনেছেন ভালোভাবে, শেষ টুইস্টটা বেশ ছিল। কিন্তু মৌসুমি যেটা করেছে সেটাতো ছিল ভুল, অন্যায় নয়। সে যেন শাস্তির উপর শাস্তি পেল। এটাতো পাওনা ছিল আবিদের- ওর একজন প্রতারক স্ত্রী হলে হয়ত বেশ হতো। শিলার ট্যাক্স বাংলা ফন্টেও দিলে আরো স্বচ্ছন্দ্যে পড়া যেত (রোমান হরফে একটা ম্যাসেজ ম্যানশান করে)... সবমিলিয়ে গল্পটা আমার ভালো লেগেছে, ভাবিয়েছে... অনেক শুভ কামনা
আমরা প্রতিনিয়ত ঠকছি, ঠকে ঠকে ঠকানো শিখছি। কখনো কখনো ঠকাতে গিয়ে নিজেরাই ঠকছি! এই চক্র থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই মুলত লিখেছি। সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ দিদি। আপনার নামের সাথে মিলে যাওয়া কাকতালীয় ব্যপার মাত্র। সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

২৯ ডিসেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪