একটা পাখি। সন্ধ্যে ঘনালে প্রতিদিন একটা পাথরে বসতো। পাথরটা ছিল পর্বত শীর্ষের কাছাকাছি। দিনের শেষ আলোটা বোধ হয় ওখান থেকে ভালো দেখা যেত। নিশ্চল পাথরটা পাখিটার আনাগোনা তার বুকে অনুভব করতো। পাখিটা খেলতো, হাসত, গান গাইত, আর মাঝে মাঝেই দুর-দিগন্তে তাকিয়ে থাকতো। কার জন্যে যেন সীমাহীন অপেক্ষা তার। একদিন পাথরটা অস্ফ’টে বলে উঠলো, আমি এখানে! পাখি বলল, কে তুমি ? - আমি। যার বুকে তুমি নির্ভয়ে দাড়িয়ে আছ। - তুমি কথা বলতে পার? - বুকে ভালবাসা জন্মালে পাথরও কথা বলে! - মানে? তুমি....... - হ্যাঁ পাখি, আমি...... - থামো, আজই সব বলে ফেলো না। আগে প্রমাণ করো- তোমার হৃদয় আছে। এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। পাখি বুঝল না-ওটা শিশির জল, নাকি পাথরের কান্না। পাথর মনে মনে বলল, যার হৃদয় থাকে তার চোখেই কান্না আসে। পাথরের কান্নাকে তোমরা সবাই ঝর্ণা বলে ভুল করো। সেই অনাদি কাল থেকে। পরের দিন। পাখি এসে বসলো। পাথর বলল-পাখি, আমি তোমাকে ভালবাসি! পাখি বলল- চিৎকার করে বল, সবাই শুনুক! পর্বতের গহীন থেকে গুরুগুরু আওয়াজ এলো। চরাচর প্রকম্পিত হল। ঐ বুঝি জেগে উঠলো ঘুমন্ত অগ্নিগিরি! পাখি উড়ে গেল ভয়ে। অনেক দিন পর। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সকালের সূর্য দেখা দিল। পাথরের অপেক্ষার শেষ হল। পাখি আসলো। পাথর বলল-পাখি, অপেক্ষার প্রহর কষ্টে কেটেছে। পাখি বলল-জানি। শীত এসেছে, দেখ নি? আমি আজই যাব...দক্ষিণে....নীল সরোবরে। জানো না, পরিযায়ী পাখি আমি? - ফিরবে আবার? - জানি না। হয়তো। - দেখা হবে না আর? - চলে এসো নীল সরোবরে....গ্রীষ্ম পর্যন্ত ওখানেই আছি! জলবায়ুর নীরব শিকার পাখি-উড়াল দিল দক্ষিণে-সমতলের দিকে। পাখি টের পায়নি, নিশ্চল পাথর বলে উঠেছিলো- আসছি আমি। ছোট্ট একটা নুড়ি খসে পড়লো। বয়ে চলল সমতলের পানে। প্রতিদিন লক্ষ কোটি নুড়ি পাথর খসে পড়ে পর্বত থেকে....গড়িয়ে যায় নীল সরোবরের দিকে। পরিযায়ী পাখি! আছে ওখানে !!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।