কাক সমাচার

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

আহমাদ মুকুল
  • ৯০
  • 0
মহাধাড়ি কাকের মন আজ বেজায় তিক্ত হইয়া আছে। কথা হইলো? এইভাবে শত শত কাক মরিবে, তদন্ত হইবে, কিন্তু কোন কাজের কাজ হইবে না! রমনা পার্কে কাক মৃত্যুর ঘটনায় শোক সম্মেলনে সে প্রধান অতিথি। বক্তা কাকগণ বিষোদগার করিয়াই যাইতেছে, কিছু কাক-নেতাদের বিরুদ্ধে, কিছু মনুষ্য সরকারের বিরুদ্ধে।

এক বক্তা গলা কাঁপাইয়া বয়ান করিতেছেন-‘‘মনুষ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নাকি তদন্ত করিয়াছে। তদন্ত রিপোর্টের একটা অনুলিপি তো আমরা পাইতে পারি? মন্ত্রণালয়ের জানালায় গিয়া কা.. কা.. করিলাম, সপ্তাহখানিক এই জানালা সেই জানালা ঘুরাইয়া অবশেষে জবাব আসিল- এই তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখিবে না। ইহাও যথারীতি শীতল প্রকোষ্ঠে প্রেরিত হইয়াছে। এই সমস্ত দলিল-দস্তাবেজে প্রাণিকুলের মধ্যে শুধু ইঁদুর আর উইপোকার অবাধ প্রবেশাধিকার রহিয়াছে। …সরকার তো শেয়ার বাজার তদন্ত রিপোর্ট মুক্ত করিয়াছে। ইহা শুনিয়া মুখপাত্র কর্মকর্তাটি এমন একটি জটিল হাসি দিলেন, যাহার মর্ম উদ্ধারে কোন পক্ষি কেন, মানবকুল তথা লিওনার্দো দা ভিঞ্চিও ভড়কাইয়া যাইতেন।’’

সম্প্রতি জানা গিয়াছে, দেশের সমস্ত আর্কাইভ আর রেকর্ড রুমসমূহ ইঁদুর উইসহ কাগজভূক প্রাণি/পতঙ্গের আপদকালীন খাদ্যভান্ডার এবং অভয়ারন্য ঘোষনার লক্ষ্যে ‘ইঁদুর-উই ঐক্য পরিষদ’ একটি দাবিনামা পেশ করিয়াছে। মনুষ্য সরকার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া দেখিতেছে। অথচ নিজেদের দাবি-দাওয়া লইয়া কাক-নেতৃবৃন্দের উদাসিনতায় একজন বক্তা হতাশা ব্যক্ত করিলেন।

বায়স জাতির অনেক দূরের হইলেও স্বজাতি মুরগীর বেলায় কিন্তু সরকারের চিন্তার কমতি নাই। বার্ড ফ্লু’তে মুরগী মরিয়া যাইতেছে শুনিয়া পুরা দুনিয়াতে তোলপাড় ঘটিয়াছে। বাংলাদেশেও তুল-কালাম। জাতীয় মুরগী সমিতি এই নিয়া সংবাদ সম্মেলনও করে। তৎপ্রেক্ষিতে সরকার এই রোগ নিধনে প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে। বেটা মুরগী নেতাদের আক্কেলের বলিহারী, তোদের এত চেচামেচি কেন? মানুষের উদর-পূর্তির জন্য ছুরির তলায় জান দিবে, তবুও অসুখ-বিসুখে মরিতে রাজী না। মনে মনে গজ গজ করে ধাড়ি কাক। আজ যদি মুরগীর মত কাকের মাংস ভক্ষণীয় হইতো, তাহা হইলে হয়তো এই ব্যাপারে মনুষ্য সরকারের সহায়তা পাওয়া যাইতো।

কাকের মাংস কাকেই খায় না, আর মানুষের রুচি হইবে! বিদ্যুৎ চমকের মতো একটা খবরের কথা তাহার মনে পড়িলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাকের মাংস কাকে খাইয়াছে!!! মানে হইলো গিয়া, একটি ছাত্র সংগঠনের ধাড়িরা নাকি নিজেরা নিজেরা মারামারি করিয়া এই প্রবচনের নবতর প্রয়োগ ঘটাইতেছে। এই খবরটাকে পুঁজি করিয়া মনুষ্য সমাজে কাকেদের গুরুত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা যাইতে পারে বলিয়া নেতার উর্বর মস্তিষ্ক জানান দিল।।

পত্র-পত্রিকা আর মিডিয়ার নাকি আজকাল অলৌকিক ক্ষমতাযোগ ঘটিয়াছে। তাহারা নাকি তিলের মতো ক্ষুদ্র শস্যকণাকে অবলিলায় তাল বানাইয়া ফেলিতেছে। সংবাদের গুনাগুন নিয়া কাক সম্প্রদায়ের খুব একটা মস্তিষ্ক-পীড়ন নাই। তবে তাল ফলটির ব্যাপারে তাহারা অতি সংবেদনশীল। কবে কোন এক পণ্ডিত গাছ হইতে পতিত তাল ফল দ্বারা এক ভাগ্যপীড়িত কাকের পিষ্ট হওয়ার দৃশ্য দেখিয়া ‘কাকতালীয়’ শব্দটি উচ্চারণ করিয়াছিলেন। সেই হইতে কাকগোষ্টি তাল ফলের দ্বারা অতি জর্জরিত। যখনই এই শব্দটি কোথাও উচ্চারিত হয়, তখনই কোথাও না কোথাও তাল গাছের আশেপাশে কোন কাক থাকিলে তাল দ্বারা পিষ্ট হইয়া আহত/নিহত হইতেছে। ইহা ছাড়া খবরের কাগজের ‘তিল’গুলি ‘তালে’ পরিণত হওয়ায় ‘তাল হইতে দূরে থাক’ সাধারণ নিয়মের আওতায় পত্রিকা পাঠ হইতে বিরত শিক্ষিত কাকগণ সমসাময়িক দুনিয়া হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িতেছেন।

অধুনা কাকদের অতি সচেতনতার কারণে অবশ্য হতাহত হওয়ার ঘটনা কমিয়াছে। মোক্ষম সময়ে উড়াল দেওয়ার যথেষ্ট প্রস্তুতি রাখিয়া তাহারা তাল গাছ এবং খবরের কাগজের আশেপাশে বিচরণ করিয়া থাকে। তদাপিও তালের আঘাতে পাখনা পুচ্ছ ঠ্যাং খোয়ানোর ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটিতেছে।

পঙ্গু কাক পূনর্বাসন কেন্দ্র সি.আর.পি (ক্রো রি-হ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম) হইতে সপ্তাহে দুই/তিনশ ক্র্যাচ সরবরাহের দাবী আসিতেছে। এই ক্ষেত্রে প্রস্তাব করা হইয়াছে যে, এখন হইতে কবি/সাহিত্যিক/সাংবাদিক যাহারা কাকতালীয় শব্দটি উচ্চারণ করেন, কিংবা তিলকে তালে পরিণত করেন, তাহাদেরকে শত্রু ঘোষনাপূর্বক কাক বাহিনী তাহাদের চশমা ছিনতাই করিবে। চশমার ডাটি রি-সাইকেল করিয়া উন্নতমানের কাকোপযোগী ক্র্যাচ বানানো হইবে। আর সাথে সাথে শত্রু জ্ঞানী/জ্ঞানপাপীগণ সাময়িক দৃষ্টি হারাইয়া বিদিশা থাকিবে।

ইহার সাথে কিছু সম্পূরক দাবীও উঠিয়াছে। কাক নিয়া অনেক প্রবাদ-প্রবচন-গল্প ব্যবহার করিয়া মনুষ্যগণ তাহাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা প্রদান করিতেছে। একই সাথে কিছু লেখক-সাহিত্যিক দুই পয়সা অর্জনও করিতেছে। এইজাতীয় কার্যক্রমে কাক সমাজের রয়্যালটির বিধান রাখিতে হইবে। তবে গল্প-কবিতার মতো সাইটকে ইহার আওতার বাহিরে রাখা যাইতে পারে মর্মে মত আসিয়াছে। জানা গিয়াছে, তাহারা নাকি লেখকদিগকে কোন সম্মানী দেয় না, পুরস্কার হিসাবে যৎসামান্য অর্থ দেয়। সেই পুরস্কারের জন্য প্রথম দ্বিতীয় হইতেও নাকি লেখকগণকে অনেক ফন্দি-ফিকির করিতে হয়।

আরো অনেক ইস্যু রহিয়াছে অদ্যকার সম্মেলনে। দাবিনামা তৈরি হইতেছে। কতিপয় ঘটনায় কাকেদের মধ্যে মহা আলোড়ন সৃষ্টি হইয়াছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার একটি পদে নাকি তিন/চারজন পদস্থ হইয়াছেন। দেশের নগর পিতাগণকে কি চোখে আঙুল দিয়া দেখাইয়া দিতে হইবে, তাহারা নগর পরিচ্ছন্নতার কোন কর্মটি করিয়া থাকে? এই মহান দায়িত্বটি তো কাককুলই অসীম আন্তরিকতার সহিত করিয়া আসিতেছে। সেই মতে সবচাইতে যোগ্য দাবীদার হিসাবে চাঁটগাইয়া কোন ধাড়ি কাক পদটি পাইতে পারিত না? তাহা হইলে ন্যায়বিচারও হইতো এবং নগর পরিস্কারের দায় হইতেও কর্তৃপক্ষ খানিকটা রেহাই পাইতো না?

সকল সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভায় এই পদগুলোতে কাক-কোটা সংরক্ষণ করার জন্য একটা স্মারক লিপি প্রেরণ করা যাইতে পারে মর্মে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ হইল।

পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন বিভাগ ওয়াসা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তাহারা কাকের জলপানের ধ্রুপদি কাহিনীর চরম ক্ষতির কারণ ঘটাইতেছে। পানি সংকটে দিশাহারা মানুষই পানি পায় না, আর কাকদের জন্য পাত্রে কী রাখিবে? এদিকে ডেঙ্গু মশার ভয়ে ডাবের খোসা, ভাঙ্গা বোতল কোন কিছুই অশুষ্ক রাখে না ভীতু বাঙালী। নুড়ি পাথর মুখে নিয়া বিদগ্ধ কাকেরা ঘুড়িয়া বেড়ায় ঐরূপ জলপানের আরেকটি দৃশ্য সৃষ্টি করার আশায়, আর ইতি-উতি তাকায় বেসরকারী টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার খোঁজে। ক্যামেরা যত্র-তত্র মিলে, কিন্ত জলপাত্র মিলে না। কী আর করা! ঐতিহ্যহারা প্রবীণেরা বুড়িগঙ্গার কাকবর্ণ জলের দিকে তাকাইয়া দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়ে।

ভুরিভোজনে অভ্যস্ত মনুষ্যগণ ভুড়ির অত্যাচারে নাকি দিনে দিনে নিরামিষের দিকে ঝুঁকিতেছে। বঞ্চিত কাকসকলের স্বাস্থঝুঁকি কে দেখিবে? তাহাদের ক্ষেত্রে ঘটিতেছে উল্টা। সবাই জানে কাক পচা জিনিস খায়। আরে… এখন পচা জিনিস পাইলে তো খাইবে? ফরমালিন নামক কী এক আরকের গুণে ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ এখন আর পচে না। জিনজিরা হইতে ‘মেইড এজ জাপান’ পচন যন্ত্র সংগ্রহপূর্বক কাকগণের খাদ্যগুদামে সংস্থাপন করা হইয়াছিল। উক্ত যন্ত্রে এইরূপ পচনশীল দ্রব্যাদি মাসের মাস ফেলিয়া রাখিয়াও পচাইতে ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা ঘটিয়াছে। উহারা দিনে দিনে নাকি আরো সবুজ সতেজ হইয়া ধীরে ধীরে প্লাস্টিকের মতো বস্তুতে পরিণত হয়। সিনথেটিক/কাগজের কৃত্রিম ফুল-ফল শৌখিন মানুষের ড্রইংরুমের শোভা বর্ধন করিত। এখন নাকি উক্তস্থলে ফরমালিন মাখাইয়া ‘ওরিজিনাল’ প্রাকৃতিক দ্রব্যাদি রাখা হইতেছে। এইদিকে উড়ুক্কু কাকেরা নাড়ি-ভুড়িজাতীয় কোলেস্টেরলযুক্ত আমিষ অধিক পরিমানে খাইয়া ঝিমাইন্যা পক্ষি খেতাব পাইতেছে।

চিরশত্রু শৃগালসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণিদের প্রতি সরকারের অতি আহলাদ দেখিয়া বেশকিছু আবেগপ্রবণ কাকের গাত্রদাহ হইয়া প্রাণহানি ঘটিয়াছে। তাহাদের দেহের অগ্নিতে কয়েকটি বৃক্ষেরও ক্ষতিসাধিত হইয়াছে। পরিবেশ প্রতিবেশ জীববৈচিত্র্য নামের নানাবিধ ফন্দির কথা আওড়াইয়া ‘সাদা’ চামড়াদের নিকট হইতে অর্থ আনিয়া ‘বাদামী’ বাঙালী ‘কালো’ কাকদের সর্বনাশ ঘটাইতে পাঁচ পায়ে দৌঁড়াইতেছে। ইহা বর্ণবাদ কীনা সুধিসমাজ ভাবিয়া দেখিতে পারেন। এইদিকে বনে-বাদারে উৎফুল্ল ঘুড়িয়া বেড়ানো দুষ্ট শিয়ালদের হাত হইতে মাংস খন্ড রক্ষার জন্য কাকেরা গলদঘর্ম হইতেছে। বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে তাহারা এখন মাংসের সাথে সুতলি বাধিয়া গলায় ঝুলাইয়া ওড়া-উড়ি করে, আর শৃগালদের কা-কা গান শোনায়।

কাকদের ব্যাপারে মনুষ্য পণ্ডিতদের অন্যায়ের নিদর্শন বলিয়া শেষ করা যাইবে না। প্রত্যুশে কা কা আওয়াজ শুনিয়া ঘুম হইতে উঠিলেন এক প্রাচীন কবি। কবিতা লিখিলেন- কাকসব করে রব রাতি পোহাইল, কাননে কুসুম কলি…। কি মনে করিয়া, হয়ত কাকের প্রতি স্বভাবজাত বিতৃষ্ণায়, কাকের জায়গায় লিখিলেন ‘পাখি’। তর্ক করিলে হয়ত তিনি বলিতেন, কাক তো পাখিই। তাহা হইলে কোকিল গান গাইলে তো লিখেন না, পাখি গান গাইল?

কাক হইবে এই দেশের জাতীয় পাখি। এই দাবীর সমর্থনে বক্তব্য দিতে দিতে বায়সসমাজ বিতশ্রদ্ধ হইয়া গিয়াছে। ফল, ফুল, মাছ, পাখি নির্বাচনের সময় কাঁঠাল, শাপলা, ইলিশ ও কাক চূড়ান্ত ছিল। পশুর ব্যাপারে ব্যাপক মতভেদ থাকায় ঐটি স্থগিত রাখিয়া বাকী চারটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত হয়। দফতরে আসার পথে এক নাদান কাকের বেখেয়ালী কর্মে নির্বাচন কমিটি সভাপতির ন্যাড়া মস্তক মাখামাখি হয়। ব্যাস, কাক জাতির কপাল পুড়িল। সভায় সিদ্ধান্ত হইল- বাকী তিনটি নাম যেহেতু তিন অক্ষরের, সেইহেতু দুই অক্ষরের কাক বাতিল, তিন অক্ষরের দোয়েল গৃহীত। অথচ পরবর্তিতে পশুর ব্যাপারে এই নিয়ম পালিত হয় নাই, সেইটা তো সর্বমহল অবগত।

লেখকের কথাঃ এইভাবে কাক সম্মেলনের বক্তব্যসমূহ হইতে একটি কার্যবিবরণী বানাইতে বানাইতে ভাবিতে বসিলাম, ইহাকে গল্প-কবিতায় কীভাবে পোস্ট করা যায়। আগামী সংখ্যাটি বন্ধু বিষয়ক। অথচ এই রচনায় বন্ধুত্বের লেশমাত্র নাই। আমার ভাবনা টের পাইয়া শ্রুতিলিপি দাতা বৃদ্ধ কাক কহিলেনঃ- ইহাতে ‘কাক-কোকিল’ সম্পর্কটি ঢুকাইয়া দাও। তাহার পরামর্শের সারমর্ম হইল এই- কাক এবং কোকিল স্বভাবজাত বন্ধু। কোকিল প্রায়শই কাকের বাসগৃহে তশরিফ রাখে। কোকিল তাহার দেশভ্রমণের গল্প শুনায়, আর কাকের নিকট হইতে দেশের হাল-হাকিকত জানে। এইরূপ আসা-যাওয়ার ফাঁকে এক সময় কাকের অলক্ষ্যে কোকিল ডিম্ব প্রসব করিয়া যায়। ধূর্ত কাক মনে করে কোকিল বুঝি উহা ভুলে ফেলাইয়া গিয়াছে। আত্মসাতের মনুষ্যগুণ নকল করিয়া উহা নিজের করিয়া লয়।

এক সময় বাচ্চা ফুটিলে কোকিলের ছাওকে খাওয়াইয়া দাওয়াইয়া বড় করে এবং পক্ষিকূলের গানের সারগাম ‘কা কা’ তালিম দেয়। এইখানে বলিয়া রাখা প্রয়োজন, মানুষের বুলিতে সঙ্গীতের প্রাথমিক সারগাম হইল সা রে গা মা…। পক্ষিগণের ক্ষেত্রে উহা কা কা কা কা- সরল সারগাম। পরবর্তিতে খাদ্য সংকট হেতু কাক কোকিলের ছাওকে খেদাইয়া দিতে বাধ্য হয়। কিছু দুর্মুখেরা এই পরম্পরাকে কাক-কোকিলের বৈরিতা হিসাবে রটাইয়া পক্ষিকূলে বিভেদ সৃষ্টি করিয়া ফায়দা লুটিতেছে।

পরামর্শটি মনে ধরিল। তথাপি আশ্বস্ত হইতে পারিলাম না। এই সংযোজনটুকু গল্প-কবিতার নির্বাচন কমিশন যদি না মানিয়া লয়? যদি মিথ্যা বিবৃতির দায়ে নমিনেশন ক্যানসেল করিয়া দেয়? ইহা শুনিয়া ভুষণ্ডি মহাশয় বলিলেন- সেইক্ষেত্রে তাহাদের বলিবা, তাহাদের জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় মিথ্যা বিবৃতি দিয়া বহুত নামী ব্যাক্তি পার পাইয়া যায়। গন্ডমূর্খ লোক বিএ/এমএ পাস বলিয়া দিব্যি নির্বাচনে পাশ করিয়া পদে আসীন হইয়াছে। শিক্ষা সনদ দাবী করিলে উল্টা কমিশনের এখতিয়ার নিয়া প্রশ্ন করে, আর খ্যাক খ্যাক করিয়া হাসে।

তাহার কথায় কিঞ্চিত ভরসা পাইলাম এবং বায়স গুরুর নাম লইয়া এইটি দাখিল করিয়া দিলাম।

এক্ষণে আপনারা বলিতে পারেন, আমি কাকের ভাষা বুঝিলাম কীভাবে? এই ভাষা অতি সহজ, একটাই বর্ণ। আপনারা ছাব্বিশ হইতে শতাধিক বর্ণের ভাষা শিখিতে পারেন, আর আমি এইটে পারিব না? সাথে সাথে ইহাও বলিয়া রাখি। আমি উহা কিছুটা বলিতেও পারি। কা কা কা…..
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমাদ মুকুল ধন্যবাদ আকাশ।
Akther Hossain (আকাশ) এক্ষণে আপনারা বলিতে পারেন, আমি কাকের ভাষা বুঝিলাম কীভাবে? এই ভাষা অতি সহজ, একটাই বর্ণ। আপনারা ছাব্বিশ হইতে শতাধিক বর্ণের ভাষা শিখিতে পারেন, আর আমি এইটে পারিব না? সাথে সাথে ইহাও বলিয়া রাখি। আমি উহা কিছুটা বলিতেও পারি। কা কা কা….. সুন্ধর সুন্ধর ............
আহমাদ মুকুল ধন্যবাদ দেহলভি।
উপকুল দেহলভি রম্য রচনাটি চমৎকার হইছে, খুব ভালো লাগলো. এগিয়ে যান আলোকিতি আগামীর পথে. শুভ কামনা রইলো.
আহমাদ মুকুল অবশেষে আমার লেখায় তোমাকে পেলাম, লুতফুল বারি পান্না। তোমার কবিতার ভক্ত আমি। আমার আরেকটি রম্য আছে এ সংখ্যায়, পারলে দেখো।
Lutful Bari Panna আপনি তো চমৎকার রম্য লেখেন ভাই...
আহমাদ মুকুল ধন্যবাদ তুহিন ও সেলিনা, আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সেলিনা ইসলাম রম্য রচনার মাঝে বেশ বড়সড় একটা খোঁচাও অনুভব করলাম বিশেষত কিছু প্রাণীর প্রতি । ভাল কিছু ঘটনা ঘটা আমাদের দেশে এখন সত্যিই কাক-তালীয় । "কথায় বলে গাছে বেল পাকিলে তাতে কাকের কি-ও কাকের কা কা ডাকে যদি একে একে গাছের বেল ঝরিয়া যায় তাতে দোষের কি" ......ভাল লিখেছেন ।ধন্যবাদ
মোঃ মিজানুর রহমান তুহিন আমি উহা কিছুটা বলিতেও পারি। কা কা কা......................রম্য রচনাটি অসাধারন...
আহমাদ মুকুল হা হা হা...ভালই বলেছ। ধন্যবাদ তোমাকে, মিজানুর রহমান রানা।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী