ফজর নামাজের আযান ভেসে আসে পাশের মসজিদ থেকে । তারই সাথে ঘুম ভেঙ্গে যায় শরিফার । গতকাল তাকে খুব ভোরে প্রস্তুত থাকতে বলেছিল - তাদের গ্রামের সলিম মিয়া, সকালের ট্রেন ধরতে হবে বড়াল ব্রিজ স্টেশনে । চলন বিলের এই সুবিধা বঞ্ছিত মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ট্রেন। সলিম মিয়া ঢাকার এক গারমেন্সে চাকরি করে । ছয় ভাই বোনের মধ্যে শরিফা বড় । গায়ের রঙ কাল হাওয়ায় তার তেমন বিয়ের সমন্ধ আসে না । অভাব অনটনের ঘরে একটু সচ্ছলতার আশায় শরিফার এই ঢাকা যাত্রা , আবার বিয়ের জন্য ও তো টাকা পয়সা প্রয়োজন আছে । কারখানার পাশেই গারমেন্স কর্মীদের মেসে থাকে সে । তার মত হাজার হাজার কর্মীদের সাথে কাজ করতে ভালই লাগে শরিফার । গ্রামের মেয়ে হিসেবে কঠিন কাজ করা তার রক্তে মিশে আছে । নদীতে সাঁতার থেকে শুরু করে গাছে উঠা পর্যন্ত সব করতে পারে সে।অল্প দিনের মধ্যে সকল কাজ শিখে ফেলে অনায়াসে । ওভার টাইম ও করতে হয় তাকে । মুল বেতনের সাথে আরও বাড়তি টাকা জমা হয় তাতে । যে শরিফাকে সংসারের বুঝা মনে করত সকলে , সেই শরিফা আজ পরিবারের কাছে গ্রহন যোগ্য হয়ে উঠল । বাবা রফিজ মিয়ার হাতে মাসে কিছু টাকা পয়সা দিতে পেরে নিজের উপর বিশ্বাস বেড়ে গেলো তার । শরিফা বাবাকে ফোনে বলেছে আগামি মাসের বেতনের টাকা দিয়ে ঘরের ছিদ্র চালা পরিবর্তন করতে । সে জানে বৃষ্টির দিনে কতই না দুর্ভোগ সইতে হয় তাদের । এ দিকে শরিফার বিয়ের সমন্ধ দেখতে থাকে তার বাবা । মেয়েকে বিয়ে দেওয়া বাবা – মায়ের জন্য বড় কর্তব্য । রফিজ মিয়া ছেলে ও ঠিক করে ফেলে । ছেলে পক্ষ মেয়েকে দেখতে চায় । কিন্তু শরিফার সময় কোথায় । পোশাক ডেলিভারি তারিখ ঘনিয়ে আশার কারণে প্রতিদিন ১৬-১৭ ঘণ্টা কাজ চলছে তাদের কারখানায় । পোশাক ডেলিভারিটি হয়ে গেলে বাড়িতে যাবে বলে সে জানায় । এ দিকে বাবা রফিজ মেয়ে দেখানর প্রস্তুতি নিতে থাকে । ও দিকে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় শরিফাকে । এমনি এক রাতে শর্ট সার্কিট – হয়ে আগুন লেগে যায় কারখানার নিচ তলার স্টোর রুমে । সেখানে থেকে মুহূর্তের মধ্যে সব ফ্লোরে আগুন ছড়িয়ে পরে । শরিফা আর তার সহ-কর্মীদের বাঁচার আর্তনাদে কারখানার আশপাশের এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে । এভাবেই শরিফারা হারিয়ে যায় ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনজুরুল ইসলাম
গল্পের পরিধি বড় হলে আরো ভালো লাগত.আশা করি ভাবিষ্যতে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন.শুভো কামনা থাকলো আপনার জন্য.
এমএআর শায়েল
এতো ছোট কেন ভাই?
দাদা, আশা করছি, শ্রম সংখ্যায় আমার লেখা ভিন্নধর্মী গল্প-‘আর কতদূর’ গল্পটি পড়ার আমন্ত্রন জানাচ্ছি। সাথে গঠনমূলক সমালোচনা আশা করছি। আশা করছি, আপনার সৃজনশীল মন্তব্যে আমি উপকৃত হব এবং মামলা সাহিত্য পাবে নতুন মাত্রা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।