লাশের মিছিল

ক্ষোভ (জানুয়ারী ২০১৪)

আতিক সিদ্দিকী
  • ১০
  • ৫০
রাজনীতিতে বইছে আতংকের ঝড়
ক্ষুধা বারণের উপায় কই।
রাজপথ রাঙিয়েছে রক্তলাল পলাশ
চলো লাশের মিছিলে সামিল হই।

পেট্রোল বোমায় শিশুর পা জ্বলে যাবার কষ্টকাল
বোনের স্বামী হারানোর আহাজারি।
নির্বাক শাসকের অসহায় চাহনি
রাইফেল বাটে ভাঙে পুলিশের টিবিয়া-ফিবুলা।

চেতনার তেজদীপ্ত সুপ্ত বাসনাগুলো জাগ্রত করি
বরফশীতল রক্তকে বলি উষ্ণ হও।
নির্বাক যৌবন হতে হবে সবাক শ্লোগানে শ্লোগানে
হুঙ্কার দিয়ে বলতে হবে গণতন্ত্রের ট্রেন দাঁড়াও।

ভাঙচুর সন্ত্রাস নারী শিশু পুড়িয়ে মারার অবরোধ
হতে কি পারে গণতন্ত্রের অধিকার?
শত শত লাশ শত সন্ত্রাস ঘৃণী অর্জন
বন্ধ করতে কি পারে তপ্ত রক্তঝরা প্রতিরোধ ?

গণতন্ত্রের অপরাজনীতির গতি রুখতেই হবে
প্রহসনের সমঝোতা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা গুড়িয়ে
লাশের মিছিলে চলো বাঙ্গালি হ’তে
শকুনের থাবায় রক্তে ভেজা পতাকা উঁচিয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক অনেক অনেক সুন্দর এবং সমসাময়িক কবিতা...খুব ভালো লাগলো...
ভালো লাগেনি ১৯ জানুয়ারী, ২০১৪
ওসমান সজীব চমৎকার কবিতা
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
ক্যায়স ভালো লিখেছেন...
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
আমির ইশতিয়াক এমন বাংলাদেশ কখনো চায়নি সাধারণ জনগণ। জনগণ মরছে গুলিতে, বোমায়, আগুনে, দুর্ঘটনায়। তাদের শরীর আগুনে পুড়ে কয়লা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ পড়েছে ভয়াবহ সংকটে। এত মৃত্যু, এত ধ্বংস, এত আগুন, এত হিংসা, এত জীবনহানী ও জীবিকার ওপরে এমন নিষ্ঠুর আঘাত স্বাধীনতার পর আর কখনো জনগণ দেখেনি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা, চাকরি—প্রতিটা ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর কোন সমাধান দেখছে না জনগণ। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এভাবে চলতে থাকেলে দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কল্পনা করা যায় না। জনগণের সামনে সিডরের মতো ধেয়ে আসছে রক্তাক্ত হানাহানি, জ্বালাও পোড়াও, প্রাণহানি, সম্পদহানির আশঙ্কা। রাজনৈতিকভাবে এদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে আর্ন্তজাতিক অঙ্গন থেকেও। একঘরে হয়ে যাচ্ছে সরকার। যেখান থেকে বেরোনোর উপায় আমাদের জানা নেই। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ২০১৩ সাল যেন মৃত্যুর এক বছর পার করছে বাংলাদেশ। দেশের রাজনীতি যেন দিনে দিনে মানবিক চেহারা হারিয়ে নির্দয়, নির্মম ও হিংস্র চেহারায় রূপ নিচ্ছে। আমরা দেখেছি কিভাবে ‍মানুষকে পিটিয়ে বা কুপিয়ে বা জবাই করে বর্বরভাবে হত্যার করা হয়। কিন্তু এবছর দেখছি জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে। মৃত্যু কত ভয়ঙ্কর, মৃত্যু কত যন্ত্রণাদায়ক তা হারে হারে টের পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মানুষগুলো। তাদের কান্না ভারি হয়ে উঠছে বাংলার আকাশ বাতাস। ক্ষমতালিপ্সুদের হত্যার রাজনীতিকে অভিসম্পাত করা ছাড়া আর কিছুই তাঁদের করার নেই। তারা এ নোংরা রাজনীতিকে অসুস্থ্য রাজনীতি আখ্যা দিয়েছে। এ নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে যারা যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে উপলব্ধি করতে পারেনি এসব ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিবিদরা। রাষ্ট্রের কাছে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এই জন্যই কি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে স্বাধীন হয়েছিল? স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও কি জনগণ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন হতে পেরেছে? এই ৪৩ বছরে কোন না কোন দলের কাছে জনগণ পরাধীন হয়ে আছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের কাছে দেশ একরকম পরাধীন হয়ে আছে। কারণ তারা মনে করে এদেশ তারা স্বাধীন করেছে। তাদের এদেশের সম্পদ লুটপাট করে খাবার অধিকার বেশী। তারা ছাড়া অন্যকোন দল এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে স্বৈরতন্ত্র লালন করে। তাই সরকার যেন তেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করছে। চমৎকার কবিতা। ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
দেখছি জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে। মৃত্যু কত ভয়ঙ্কর, মৃত্যু কত যন্ত্রণাদায়ক তা হারে হারে টের পেয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মানুষগুলো। তাদের কান্না ভারি হয়ে উঠছে বাংলার আকাশ বাতাস। ক্ষমতালিপ্সুদের হত্যার রাজনীতিকে অভিসম্পাত করা ছাড়া আর কিছুই তাঁদের করার নেই। তারা এ নোংরা রাজনীতিকে অসুস্থ্য রাজনীতি আখ্যা দিয়েছে। এ নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে যারা যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে উপলব্ধি করতে পারেনি এসব ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতিবিদরা। রাষ্ট্রের কাছে সাধারণ জনগণের প্রশ্ন এই জন্যই কি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে স্বাধীন হয়েছিল? স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও কি জনগণ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন হতে পেরেছে? এই ৪৩ বছরে কোন না কোন দলের কাছে জনগণ পরাধীন হয়ে আছে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের কাছে দেশ একরকম পরাধীন হয়ে আছে। কারণ তারা মনে করে এদেশ তারা স্বাধীন করেছে। তাদের এদেশের সম্পদ লুটপাট করে খাবার অধিকার বেশী। তারা ছাড়া অন্যকোন দল এদেশে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও অন্তরে স্বৈরতন্ত্র লালন করে। তাই যেন তেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। চমৎকার কবিতা। ভাল লাগল। শুভ কামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১২ জানুয়ারী, ২০১৪
সুমন কাউকে বসাতে লাশ.. তাকে নামাতে লাশ... সেই লাশ আনতে গিয়ে লাশ। এ দেশে আর রাজনীতি নেই যা আছে তা হলো লাশ নীতি..। সমসাময়িক অবস্থার সুন্দর কবিতা।
Rumana Sobhan Porag আতিক ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ।
আশা দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সুন্দর প্রতিবাদী কবিতা।
এফ, আই , জুয়েল # কবিতার ভাবটা ভাল । অনেক সুন্দর কবিতা । = কবিকে ধন্যবাদ ।।
আতিক সিদ্দিকী --বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে লেখা কবিতাটি যদি আপনার পছন্দ হয় মন্তব্য -পছন্দ করুন ভোট দিন,ধন্যবাদ.

০৬ নভেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪