তোর বড় চাচা বড়ই আদুরে ছিল সুঠাম দেহ দৃষ্টিকাড়া চেহারা, সব সময় হাসি-খুশিতে হত সে আত্মহারা। সেই-দিন দাদু শুধুই চেয়ে দেখছিল বুকে পাথর বেঁধে সিক্ত চোখে, নির্বাক মুখে, অসীম সান্ত্বনা খুঁজে ফেরে মন অথৈ সাগরে হাবুডুবু খায় এ ধন তার আসবেনা আর আছড়ে পড়বেনা তার বুকে। সেই যে গেছে, ফিরে আসেনি আশায়-আশায় জীবন প্রদীপ নিভে গেছে তার, ৭১-এর সেই নির্মম কাহিনী শুনিনা যে এখন আর। ধরণী মাতা তোমার তরে, দীর্ঘ নয়টি মাস ধরে। কত মায়ের বুকে লাথি মেরে সন্তানকে ছুড়ে ফেলে, কত বোনকেও নির্যাতন করেছে তারা আপন মনুষ্যটাকে দূরে ঠেলে। কাক, শৃগাল, শকুন, চিলে টেনে হেঁচড়ে, ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খেয়েছে কত বাবা ভাইদের শরীর, রক্তের স্রোতে সিক্ত মাটিতে স্বাধীনতার কুঁড়ি ফুটবে কবে, দেখতে যে চাই হয়েছি ব্যাকুল, রয়েছি হয়ে আমি অধীর।
শুনেছি মাগো তোমারি এক অসুর সন্তান মেরেছে ছুরি তোমারি বুকে, ঘুমিয়েছিল তোমারি কোলে শান্তির নীড়ে, আপন সুখে। তারাও নাকি মা ছাড়েনি কখনও করতে লুট-পাট আর মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি, মাগো কলিজাটা আমি ছিঁড়তে চাই জ্যান্ত ওদের পারবনা এখন জানি। নতুন স্বপ্ন গড়তে যারা দিয়েছে প্রাণ, স্মৃতিতে তারা রবে অম্লান। মাথা উঁচিয়ে গর্ব করি, এখনো যে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পাইনি মাগো ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে মাথা খুঁড়ে যে মরি।
সারা বেলা হাতড়ে মরি পাবনা সেই ক্ষণ শুধুই দু-চোখ ভরে অশ্রু ঝরে, ধিক তাদের পরকালেও তারা পাবেনা ক্ষমা দিচ্ছ অভিশাপ, এখনও আমি দেখতে পাই মাগো তোমার গায়ে লেগে থাকা খাবলা-খাবলা রক্তের ছাপ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
কবিতার আর্তি বাক্যের আধিক্যে নয়, প্রকাশে হওয়া উচিত| কবিতায় যদি সব বিস্লেসন থাকে তাহলে সেটা কবিতা না হয়ে গদ্য রচনা হয়ে যায় | কবিতা লেখায় আরও মনোযোগ দিতে হবে ....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।