অরুণ মামার গল্প

অসহায়ত্ব (আগষ্ট ২০১৪)

ডা: প্রবীর আচার্য্য নয়ন
অরুণ মামা কখনো আদর্শের পথ থেকে সরেননি। কখনো আপোষ করেননি কারো সাথে নৈতিকতার বিরুদ্ধে। তাঁর এই পথ চলা প্রায় অর্ধশত বছরের। অবিচল তিনি তাঁর নিষ্ঠায়। প্রগতিশীল তাঁর চিন্তা চেতনা। যুগের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে তাঁর বক্তব্য। তিনি বলেছেন মানুষের প্রকৃত আহার হলো পাতা। যেহেতু পাতাতেই সব খাদ্য উপাদান আছে। তাই প্রাথমিক ভাবে মানুষ পেয়ারা পাতা, কলা পাত ও কাঁঠাল পাতার রস খাবে। ক্রমে সে সূর্যের ধ্যান করে সূর্য থেকে সরাসরি প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণ করবে। মানুষ কেন জীবিকার জন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করবে যা শুধু স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য দেওয়া হয়েছে! প্রকৃতির অবাধ্য হয়ে মানুষ তার প্রকৃত শক্তির বিকাশ না করে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছে।

মানুষের বৈশিষ্ট্য তাঁর মানবিকতা। মৌমাছি ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করে তার মৌচাক তৈরি করে মধু সঞ্চয় করে তার বিপদের সময় তা ব্যবহার করার জন্য। আর যারা তাদের সে মৌচাক ভেঙে আগুন দিয়ে তাদের তাড়িয়ে সে মধু আহরণ করে তারা মানুষ নয় ডাকাত। মানব নয় দানব। এমন মধু পান করে কেউ শক্তি পাবে না। বরং ক্ষতি হবে। তাই তিনি মধু পানের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কাছে যারা নিরাপদ আশ্রয় আশা করে, মানবিক আচরণ প্রত্যাশা করে, তাদের এই মানবেতর আচরণ, নিষ্ঠুরতা শোভা পায় না। প্রকৃতিবিরুদ্ধ আচরণ মানুষকে ক্রমশ অসহায় করে তুলছে।

আহার শুদ্ধ হলে চিত্ত শুদ্ধ হয়। চিত্ত শুদ্ধ হলে স্রষ্টার নৈকট্য লাভ হয়। তাই দুর্গন্ধযুক্ত কোন খাবার কোনভাবে মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। অসংখ্য আমল আছে যা প্রাণীজ খাবার খেয়ে করা যায় না। তাই সব রকম প্রাণীজ খাবার বর্জন করতে তিনি পরামর্শ দেন। লবণ ও চিনি বিষের মতো। একটা জোঁক সামান্য লবণের স্পর্শে মৃত্যুবরণ করে। তাতে স্পষ্ট হয় যে লবণ আমাদের অন্ত্রের ক্ষতিসাধন করে। শরীরে চিনির মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক অসুবিধা দেখা দেয়।তাঁর মতে ভিন্ন প্রাণীর দুধ মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। এতে ঐ প্রাণীর বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে উঠে সন্তানের মধ্যে। মানুষের সন্তান মানুষের দুধ খাবে। প্রয়োজন হলে নারিকেলের দুধ, সোয়াবিনের দুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে না খাওয়ায় ভাল। প্রক্রিয়াজাত সব খাবারই ক্ষতিকর। এমনকি রান্না করা খাবারও মানুষের জন্য বিকৃত খাদ্য যা অসংখ্য অসুখের কারণ। ব্যবসায়ীদের একটি মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য মানুষকে ভুল বুঝিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অসৎ ব্যবসায়ীদের কাছে মানুষ সত্যি অসহায়।

পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের নাম, জন্ম তারিখ, পিতা, মাতা, ঠিকানা মানুষের পরিচয় নয়। মানুষের পরিচয় তার কর্ম, তার আদর্শ।তিনি প্রকৃতিবাদ ও প্রকৃতিতন্ত্রের ভাষ্যকার। তাঁর বিশ্বাস আগামী পৃথিবী প্রকৃতিবাদের মাধ্যমে দেশ কাল পাত্র মতবাদের ভেদ কাটিয়ে উঠবে। প্রকৃতির সন্তান প্রকৃতির নিয়ম মেনে প্রকৃতি ইচ্ছায় সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করবে। প্রাকৃতিক চিকিৎসা মিশন পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। উপর্যুপরি পাওনাদারদের চাপ মানুষকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। অনেক মেধার বিকাশ বন্ধ হয়েছে এই সুদখোর মহাজনদের চাপে পড়ে। অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তিনি ঋণ মুক্ত হয়ে আরো দ্রুত মানুষকে রোগমুক্ত জীবন উপহার দিতে পারবেন। তিনি আমলকীর রস দিয়ে সি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করেছেন। বাঁশ পাতার রস দিয়ে বহুমূত্রের রোগী সুস্থ করেছেন। স্পর্শ চিকিৎসা দিয়ে অনেক মানুষকে সুস্থ করেছেন। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি দমে যাননি। প্রচণ্ড মনোবল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ ঋণ মানুষকে কত না অসহায় করে রাখে।

তাঁর মিশনকে ধ্বংস করতে শয়তানী শক্তি উঠে পড়ে লেগেছে। পাশাপাশি অনেক অলি ও ঈমানদার জ্বীন তাঁকে সহযোগিতা করছে। প্রকৃতি বিরুদ্ধ খাবার খাওয়া ও আচরণ করার ফলে ক্রমে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে, পাচ্ছে বিবিধ শাস্তি, ঘটছে প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়। ভবিষ্যৎ বাণী আছে, আগামী চারশত বছর পরে পৃথিবীর ঘরে ঘরে প্রকৃতিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। শুভ কাজে মহান স্রষ্টাই মানুষের সহায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ একটু ভিন্ন ধারার লেখা। বেশ কিছু মূল্যবান বার্তা দেওয়ার প্রয়াস রয়েছে। শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই আখতারুজ্জামান সোহাগ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
আবু আফজাল মোহা: সালেহ besh ভালো
ধন্যবাদ ভাই আবু আফজাল মোহা: সালেহ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
নেমেসিস নিরীক্ষাধর্মী লেখা। তবে অতি প্রকৃতিবাদী। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ শবনম রুবি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
আফরান মোল্লা খুব ভাল লাগল প্রিয় লেখক প্রবীর ভাইয়া।ভোট এবং শুভকামনা রইল।সময় পেলে আমার পাতায় আসার নিমন্ত্রন রইল।
ধন্যবাদ ভাই আফরান মোল্লা আপনার ভোট ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
biplobi biplob প্রকৃতিবাদ শেষ পর্যন্ত যেন জড়বাদে পরিনত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন। ভাল লিখেছেন
ধন্যবাদ ভাই বিপ্লবী বিপ্লব আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
দীপঙ্কর বেরা সবুজ ভালবাসা জীবনের গল্প । ভাল লাগল ।
ধন্যবাদ ভাই দীপঙ্কর বেরা আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
শামীম খান প্রকৃতিবাদ জিন্দাবাদ । সুন্দর অভিপ্রায়ে লেখা একটি সবুজ গল্প । ভাল লাগলো । শুভেচ্ছা ।
ধন্যবাদ ভাই শামীম খান আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........
মালেক জোমাদ্দার নয়ন ভাই অরুণ মামার গল্প চমৎকার লিখেছেন । আমার লেখা পড়ার অনুরোধ থাকলো। শুভ কামনা।
ধন্যবাদ ভাই মালেক জোমাদ্দারআপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য.........

২০ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী