সারাদিন নানান দরকারে চারিদিকে নানাভাবে ছুটে বেড়ানো এই আমি আর ঘর ও হেসেলের টুকিটাকি প্রাত্যহিক কাজে ক্রমান্বয়ে গম্ভীর হয়ে থাকা রূপা ; আবার আদিমাত্রার সারি সারি হাই এবং হ্যালোর মধ্যে ফিরে এলাম। কেননা, বৃষ্টি আমাদের ফিরতে বাধ্য করেছিল।
কাল চক্রান্ত করা এক আকাশ কাকভেজা বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছিলাম। কাল রূপার টিমটিমে গন্ধভরা আঁচলে মাথা মোছার সেইসব যাবতীয়-অভিজাত সৌভাগ্যটুকু আবার আমার হয়েছিল। রূপা তার ব্যস্ত মৌলিক সময় থেকে সময় বের করে চাল ধোওয়া ইমনকল্যাণ হাতের মজুত পদ্মরাগে আমার মাথা আর গা মুছিয়ে দিয়েছিল। আর অনতিদূরের আরো অন্যান্য সমবেত কিংবদন্তীদের ডেকে নিয়ে এসে আমার নিসর্গের মৃগতৃষ্ণাকে তুলনামূলকভাবে তুমুল জাগিয়ে তুলেছিল। আমি দীর্ঘ প্রবাসী ঢঙে তার অধিক নরম মুখের দিকে বহুক্ষণ গুঁড়ি গুঁড়ি তাকিয়ে থেকে তার ঠোঁটের ফার্স্ট ফ্লোরে পড়ে থাকা জমকালো তিলটাকে মুষলধারে দেখছিলাম ; আর ত্রিকালের ঘরানায় বিপযর্স্ত হয়ে ইচ্ছেমতো ঢেউ ভাঙছিলাম। রূপা আবার বহুপুরাতন হওয়া কথাকে নতুন করে খনন করে বলেছিল ‘এভাবে হ্যাংলার মতো তাকিয়ে তাকিয়ে কি দেখছ ?’ আমি তাকে মুখস্থ করা আন্তর্জাতিক ছড়ার মতো দু’বাহুতে প্রবল বেপরোয়াভাবে জড়িয়ে নিয়ে একটি মানত করা গভীর-পাকাপুক্ত আলিঙ্গনের মধ্যে হৃদয়ের বাতি জ্বালিয়ে প্রতিষ্ঠা করে রেখেছিলাম।
কেননা, কাল রাতের সমস্ত আকাশ, চাঁদ, তারা আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে মাতাল হয়ে রাত জেগেছিল। কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিল। আর সেই সুবাদে— রাতারাতি বহুকিছু ডাকাতি হওয়াকেও একসাথে পরম-অভিন্ন-সুখে চুপ করে মেনে নিতে হয়েছিল। আসন ত্যাগের আগে পর্যন্ত যথারীতি ফুল ও কাঁটার মধ্যে অচিরেই বুক পেতে দিয়ে একে অপরকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হয়েছিল। এবং এ সময় পৃথিবীর সমস্ত অন্তর্গত প্রেমিক-প্রেমিকারা যেইসব হৃদয়ভরা লক্ষ-কোটি-নিযুত অপরাধ করে থাকে ; আমাদেরকেও এক এক করে সবকটা করতে হয়েছিল। কেননা, কাল সারারাত বৃষ্টি হয়েছিল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রঙ পেন্সিল
চমৎকার কবিতা। চমৎকার লেখার ধরন। অনেক শুভকামনা রইলো কবির জন্য।
নাজমুল হুসাইন
যথারীতি ফুল ও কাঁটার মধ্যে অচিরেই বুক পেতে দিয়ে
একে অপরকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করতে হয়েছিল।ভালো লাগা রইলো।আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম।ধন্যবাদ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
রূপা, এমন একটি বিখ্যাত-মায়াবি-মধুর নাম যা শোনামাত্রই আমাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ডিস্টাব হতে হয়। রূপা হল সেই মেয়েটা যার নামে আমার রক্তের ভিতর দ্রুত পুরুষ হয়ে ওঠার মতো সেইসব সুরভিত সুনামি আসে ; আর আমার বাহির-ভিতরজুড়ে সৃষ্টি হয় দারুণ দারুণ সানুনয় দুর্দশা। রূপা আমার সাতকাহন ভালোবাসার নাম। রূপা আমার পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই প্রবাস থেকে সংগ্রহ করা এক আকাশ খুশির ঠিকানা। রূপা হল দাঁতে দাঁত চেপে সকল ধরনের ধকল সইতে পারায় মহান মন্ত্র। সম্মোহনের অসমাপ্ত দুপুর ; চারদিক ছেয়ে, বহুদূর থেকে ছুটে আসা অসংখ্য খুশি ; অথৈ সোহাগব্যথা। রূপা, এমন একটি প্রস্ফূটিত লাজুক কমল যাকে হৃদয়ের ভিতরে অনেক দূর অব্দি বহুযত্ন করে রেখে তালা ঝুলিয়ে চাবিটিকে ফেলে দিই, বহুদূরের কোনো অজানা গ্রহে। রূপা এমন একটি হাইড্রোজের কবিরাজি নাম যার জন্য কতরকমভাবে বাঁচব ; আর বাঁচতে না পারলে সই, শুধু তার জন্যই খরস্রোতে খুব-খারাপভাবে মরব। সেই রূপার মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে থাকা রেশমি সুবাসই আমাকে সর্বদা বিভোর করে রাখে। এই রূপাই আমার সারাটাজীবনের সবটুকু বানভাসি কামনা-বাসনা
১৯ সেপ্টেম্বর - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
৩০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।