বাড়ির সামনেটা জঙ্গলে ভরে গেছে পাঁচু আসে না অনেকদিন... সেই পাঁচু, শক্ত কাস্তেতে ফুলে ফুলে উঠত যার পুরুষের মত বাইসেপ আর চোখদুটো ছিল ঈষৎ লালাভ। বিষাক্ত কৃমি আর ব্যক্টিরিয়া সিক্ত আগাছার ঝাড় তাতে নিমেষে হত সাফ। মা ওকে দেড়শো টাকা দিত নগদে।
পাঁচুকে দেখি না অনেকদিন বুঝতে পারি, ঋতু বদলাচ্ছে, আগাছার ঝাড়গুলো বাড়ছে দুর্নিবার চুঁইয়ে নামছে বিবশ অন্ধকার সারাটা শহর জুড়ে। পাঁচু কি তবে মারা গেল? অথবা চুরি হয়ে গেল ও আগাছারই ভেতরে অন্ধকারে? সেই পাঁচু, চোখদুটো ছিল যার ঈষৎ লালাভ বাইসেপ ছিল যার পুরুষের মত?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
পাঁচু’র কাজের বর্ণনা দেখে বুঝা যাচ্ছে পাচুঁ মহিলা নয়, তার পরও বাইসেপ পুরুষের মত বলাটা একটা মেয়েলী আকর্ষনকে সামনে আনে যেরকম বনলতা’র বর্ণনা কবিতায় আমরা পেয়েছিলাম। সেটার প্রেক্ষাপট প্রেম আর বনলতা সেন গৃহপরিচারিকা ছিলনা অথচ বর্ণনায় এখানে পাচঁ তা ই..। তাই এটা বদনজরও হতে পারে। তবে একটা শব্দ চয়ন আমাকে একটু ভাবিয়েছে সেটা হল ‘বাইসেপ’ । আমি যদি ভুল না হই এই শব্দটা কম সংখ্যক পাঠকই বুঝবেন, সৌভাগ্যবশত আমি এটার কাছাকাছি আছি বলে হয়তে সহজে বুঝে নিলাম। এজন্য লেখককে সাধুবাদ জানালেও পাঠকের জন্য আসোসই থাকবে আর আমি ভুল হলে খুশি হব। আর বিষয়টা’তো লা জবাব,অনেক শুভকামনা।
কবিতাটিকে নিয়ে এত কাঁটাছেঁড়া এর আগে চোখে পড়েনি। আপনি নিশ্চয়ই কবিতার খুব নিষ্ঠাবান পাঠক, তাই এত সাবলীলভাবে নিখুঁত একটা বিশ্লেষণ করলেন। জানি না, আমি এর কতটা যোগ্য। তবে কবিতা লেখা আমায় আরো অনুশীলন করতে হবে - এ আমি জানি। আর সেই পথে চলতে গেলে আমায় আরো অনেক সময়ও দিতে হবে। অবশ্য আপনাদের মত সৎ পাঠক থাকলে, জানি, পাথেয়র অভাব হবে না, আপনাদের গঠনমূলক এই সমালোচনাই আমায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। অজস্র ধন্যবাদ দাদা।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ )
রুপক লেখা< কিন্তু একটা মেসেজ ছিল লেখার ভিতরে । সময় ও চিন্তা ভাবনা দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে জায় কালের পরিবরতনে । আজ যা ছিল কাল না থাকতে পারে । বেস সুন্দর লেখা , আমার পাতায় আমন্ত্রন ।
কেতকী
রূপক কবিতা মনে হচ্ছে। না কি শাব্দিক ভেবেই লিখেছেন...পাঁচুকে উপস্থাপনে প্রাণ ছিল।
শুভেচ্ছা রইল।
অনুগ্রহ করে জবাব দিবেন মাস শেষ হবার আগেই। জবাব দেখে নিশ্চিত হয়ে ভোটটা দিতে চাই।
কবিতা পড়ে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে কবিতা লেখা পর্যন্তই যে কবির ক্ষমতা, তার বাইরে তার যাওয়া উচিৎ নয়। বাকীটুকু পাঠকই না হয় বুঝে নিক - তার ক্ষমতামত। তাই পাঠক, যে উপহার আমি তোমার হাতে তুলে দিলাম, তাতে আর মন্তব্য জুড়তে চাই না। একে দেখে তোমার নিজের মত করে বুঝে নিও, চিনে নিও। এটুকুই প্রার্থনা রইল। না হয়, ভোটটা না-ই বা দিলে, তোমাদের ভাল লাগা আর ভালবাসা - এর থেকে ভাল ভোট আর কি-ই বা হতে পারে বলো? ভাল থেকো বন্ধু, শুভেচ্ছা জেনো নিরন্তর।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।