চেয়ার আর সুইচবোর্ডেরও একটা সম্পর্ক থাকে তা কেবল দীনেশবাবু ছাড়া আর কেউ জানে না । কলকাতার এক ছোট অফিসের কেরানি । খুবই কৃপণ । প্রয়োজনীয়তা বুঝলেই কম দামে যা পায় তাই কেনে । একদিন অফিস থেকে ফেরার সময় দাঁড়িয়ে পড়ে এক ভাঙরির দোকানে । একটা চেয়ার দেখেই পছন্দ । খুব টানছে । না থাক । পর দিন আবার দেখতে পেল । ঘরেও একটা চেয়ার দরকার । বেশ মজবুত মনে হল । এই ভাবে একদিন নিয়েই বাড়িতে ঢুকল । হাত মুখ ধুয়ে চা নিয়ে যেই বসেছে বিদ্যুৎ গেল চলে । কি আর করা যাবে হাতড়ে চা নিয়ে চেয়ার থেকে উঠতেই বিদ্যুৎ এসে গেল । ‘যাক বাবা’ বলে চেয়ারে বসতেই আবার বিদ্যুৎ চলে গেল । এ রকম বার চার পাঁচ হওয়ার পর বিরক্ত হয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা গেল । দীনেশবাবুর মনে খটকা লাগল তাদেরই কেবল বিদ্যুৎ যাচ্ছে ব্যাপার কি ? চেয়াটাই কি ? বারান্দায় টেনে নিয়ে গিয়ে বসতেই সারা পাড়াতেই বিদ্যুৎ চলে গেল । তড়াক করে চেয়ার থেকে উঠে পড়ল । হ্যাঁ । ঠিক বিদ্যুৎ এসে গেল । গরমে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর চিৎকারের মাঝেও ব্যাপারটা বাড়ির কাওকে জানতে দিল না । চেয়ারটাকে বারান্দার এক কোনায় রেখে দিল । শুয়েও ঘুম আসে না । এ কি ভূতুড়ে কাণ্ড রে ভাই । কম দামে কষ্ট করে এনেই ফেঁসে গেলাম । আধো আধো ঘুমে দেখল বাইরে কি যেন জ্বলছে আলোর ছটা । ভয়ে ভয়ে বারান্দায় মুখ বাড়িয়ে দেখে – হ্যাঁ , চেয়ার থেকেই । চেয়ারটাই আকাশবাণীর মত শোনা না শোনার মত করে বলছে – আমি জাদুকর প্রমথ মুখোপাধ্যায়ের চেয়ার । এতে বসো না । কেউ বসে পারে না । এর তড়িৎবর্তনী পৃথিবীর তড়িৎচুম্বকীয় আবেশের সাথে নানান ভাবে যুক্ত । বুঝলে ! কোন কিছু বিতর্কে না গিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট দীনেশবাবু পরদিন চেয়ার বেচে দিলেন । কারও কোন বাধা শুনলেন না । আর কম দামে অন্য কারো ব্যবহার করা জিনিস না কিনে দীনেশবাবু চেয়ার ও ভূতের ভয় কাটিয়েছেন ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
চেয়ারে বসলে বিদ্যুৎ চলে যায় আর চেয়ার থেকে উঠে পড়লে বিদ্যুৎ চলে আসে। চেয়ারটা সত্যিই ভূতুরে। নামকরণটা যথাযথ হয়েছে। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।