হাঁদা অ্যান্ড গাধা

রম্য রচনা (জুলাই ২০১৪)

ছন্দদীপ বেরা
  • ১২
শ্যামবাবু । থাকেন তালতলায় । তালতলা জায়গাটা জমজমাট । সকালেও জমে উঠেছে । এই রকমই এক সকালে শ্যামবাবু বেরিয়েছেন বাজার করতে ।
রামবাবু রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েছেন । তার গায়ে এক রকম লাল-লাল কি সব ফুলে উঠেছে । তাই চুলকোতে তিনি ব্যস্ত ।
শ্যামবাবু রামবাবুর বন্ধু । শ্যামবাবু রামবাবুকে “হাঁদা” ও রামবাবু শ্যামবাবুকে ‘গাধা’ বলেন । শ্যামবাবু বুদ্ধিতে রামবাবুকে হার মানান । শ্যামবাবু জিজ্ঞেস করলেন-আরে হাঁদা । কেমন আছিস ? তুই চুলকোচ্ছিস কেন ?
-আরে বলব কি গাধা , রাতে ছালপোকা কামড়ে দিয়েছিল ।
-ও ! ছারপোকা ।
-আরে ছার না ছাল পোকা ।
-তুই ভুল উচ্ছারন করছিস ।
-দেখলি তো । তুই ভুল করছিস । উচ্ছারন নয় উচ্ছারণ ।
-ঐ হল ।
রামবাবু দু কেজি পটল কিনতে দোকানে গেলেন । রামবাবু দোকানদারকে বললেন - দুটো পোটলা দাও তো ।
-পোটলা ? আমার কাছে তো কোনো পোটলা নেই ।
পটলের দিকে আঙুল দেখিয়ে রামবাবু বললেন-নেই তো এটা কী ?
-ওটা ত পটল ।
-তাই ত আমি তখন থেকে চাইছি ।
-আপনি তো পোটলা চাইলেন ।
-ঐ একটু উচ্চারণে ভুল হয়ে গিয়েছিল ।
দোকানদার দু কেজি পটল দিতে রামবাবু নিয়ে শ্যামবাবুকে খুঁজতে লাগলেন ।
শ্যামবাবুও একটা দোকানে বেগুন কিনছেন । শ্যামবাবু দোকানদারকে চাইলেন-আমাকে দু’শো বেগুনি দাও ।
-এখানে বাগুনি পাওয়া যায় না । এটা সবজি দোকান ।
-তা আমি কী বলছি এটা তেলেভাজার দোকান ?
-তাই তো বলছেন ।
-কি করে ?
-এই তো বললেন বেগুনি চাই । আমি বেগুনি কোথায় রাখি ?
-বেগুনি রাখেন না তো এটা কী ?
-এটা তো...
-ও ! মনে পড়েছে । বেগুনি নয় বেগনি । হ্যাঁ !! দু’শো বেগনি দাও তো ।
-আরে আপনি বুঝছেন না কেন ? এটা বেগুনি বা বেগনি নয় । এটা তো বেগুন ।
-হ্যাঁ । ওটাই দিন ।
বেগুন ব্যাগে ভরে শ্যামবাবুও রামবাবুকে খুঁজতে লাগলেন ।
একটু পরে ওদের দেখা হল একটা ঘুগনি দোকানের সামনে । দেখা হতে ওদের দু’জনের ঘুগনি খাওয়ার ইচ্ছে হল । দুজনে ঘুগনি অর্ডার দিল ।
ঘুগনি দোকানি তার বন্ধুর সাথে মজা করার জন্য একটু পুদিনা পাতার বেটে রেখেছিল । সেই পাতা বাটা ঘুগনিতে না দিতে দেখে শ্যামবাবু বললেন-এই...এই ওটা দিচ্ছ না কেন ?
দোকানি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করল ওটা কালকের নষ্ট হয়ে পচে গেছে । খোলা ছিল পোকা মাকড়ও পড়তে পারে । কিন্তু না বললেও যখন শ্যামবাবু শুনলেন না । তখন দোকানি সেটি তাদের ঘুগনিতে ঢেলে দিল ।
খেতে খেতেই পেট গোলমাল শুরু । শ্যামবাবু ও রামবাবুর মুখ থেকে গলা এমন কি পেটও বেস্বাদে ভরে গেল । সে সহ্য করার মতো নয় । শ্যামবাবু গিয়ে একটা সাবান কিনে আনল । রামবাবু জিজ্ঞেস করল-সাবানের...কী...দরকা...র ...?
-সা...বান...সব...জীবাণু...সাফ করে...দেয় । তাহলে...এ...এই...পে...ট...গড়বড় ও বেস্বাদ স...ব সাফ...করে দেবে ।
তার কথায় রামবাবুও একমত । দুজনে অর্ধেক করে সাবানটা গুলে গুললেন । কিছুক্ষণ পর তার ফলে দুজনের মুখ দিয়ে ফ্যানা শুরু হল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান লেখাটা বেশ চলছিল । হঠা ৎ দেখি শেষ ............... ভাল লাগা রেখে গেলাম ।শুভ কামনা ।
তাপস চট্টোপাধ্যায় কথার কারসাজি ভালো লাগলো .
ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভালো লাগলো। শ্রদ্ধা জানবেন।
biplobi biplob Ha ha ha Hasa baci nya.!!! Darun likasan Dada. (wellcome)
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি রামবাবু আর শ্যামবাবু সাবান খেয়ে হলেন কাবু........ভালো লিখেছেন ছন্দবাবু.............
গোপাল খুব সুন্দর তো
দীপঙ্কর বেরা দারুন । দারুন । বেশ লেখা । শুভেচ্ছা ।

০২ সেপ্টেম্বর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৩৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪