হৃদয়ের খাঁজে জমে থাকা কথাগুলো
কী মাত্রায় অভিস্রবন ঘটালে আবেগ হয়ে ঝরে ঝরে পড়তে পারে কবিতার খাতায়,
সেটা কি বুঝতে পারে উদ্দ্যত রাইফেল হাতে দাড়িয়ে থাকা পুলিশ
কোন একটা যৌক্তিক দাবিতে বজ্রমুষ্ঠি তোলা একঝাঁক তরুনের ঝাঝালো মিছিলের সামনে ?
আমিও তো সেদিন তাই লিখেছিলাম-
অন্তরটা যখন ফোঁফাতে ফোঁফাতে আমার কলমকে ঈশারায় বলেছিলো
কুমিল্লার সেনানিবাসের ঝোপে পড়ে থাকা ধর্ষিতা নিথর তনু ‘র কথা লিখো,
মেঘ’কে একাকি শুন্য ধরাধামে ফেলে রেখে
এই ইহলোক থেকে নিদারুন নির্মমতায় চলে যাওয়া সাগর-রুনি’র কথা লিখো,
কথা বলার বাহনায় ঘর থেকে তুলে নেওয়ার পর
দুহাত পিছমোড়া বাধা উপুড় হয়ে নর্দমায় লাশ পড়ে থাকা নুরু’র কথা লিখো
মুঠোফোনে ক্রসফায়ারে মৃত্যূর গোঙানি ভেসে আসা
কক্সবাজারের নিহত আকরামের অসহায় দু’কন্যার কথা লিখো
আমি তো তা ই লিখেছিলাম-
কিন্তু আমার কলমের টুটি চেপে ধরে ছাপাখানার ঐ তাবেদার টা
সব শব্দগুলো ছড়রা গুলির মতো যেভাবে এক ঝটকায়
ছিন্ন ভিন্ন করে মাটি চাপা দিয়ে দিলো কবিতার দেহটাকে
সেটা কি গনহত্যায় পড়ে না ?
চুয়ে চুয়ে অভিস্রবনে বেরিয়ে আসা শব্দগুলো
যেভাবে ক্ষত বিক্ষত হয়ে ফেরত এসেছে আমার বুকে,
প্রতিবাদের ভাষায় তপ্ত কবিতার বাক্যগুলোয় রাজনিতীর গন্ধ আছে বলে
যেভাবে হত্যা করা হলো কবিতাটাকে
আমি কি চাইতে পারিনা সেই কবিতা হত্যার বিচার?
সময় এসেছে এখন - অবশ্যই পারি,
প্রতিরোধ মিছিলে ছড়রা গুলিতে দৃষ্টি হারানো আমার অন্ধ ভাইদের মতো
আমি আমার কবিতার ছন্দ হারানোর বিচার চাই,
পায়ের নলিতে গুলি খাওয়া আমার পঙ্গু ভাইদের মতো
বাক্য ছুড়ে ফেলে আমার কবিতাকে বাক শুন্য করার বিচার চাই,
শির দাড়ায় আটকে যাওয়া গুলিটা বেব করতে না পারার
যন্ত্রনায় ছটফঠ করা আন্দোলনের সহযাত্রী ভাইগুলোর মতন
আমিও চিৎকার করে বলি
ক্ষত বিক্ষত পঙথি মালায় বিধ্বস্থ আমার কবিতা হত্যার বিচার চাই
যদি মতামত প্রকাশ করতে নাই বা পারি
তবে কেন ভিন্ন মতাবলম্বি হলাম
তার জন্য আমি -- আমারই বিচার চাই অথবা ’আমার ফাঁসি চাই’…
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাহাবুব হাসান
অভিন্দন! লেখাটা পুরস্কৃত হবে জানতাম, তবে মেধাক্রম দেখে তুষ্ট হতে পারলাম না! লেখাটা বেটার পজিশন ডিজার্ভ করে। পাঠকের ভোট কমে যাওয়াতে এই সমস্যাটা শুরু হয়েছে। কখনো কখনো এক পাঠকের ভোটে বিজয়ী নির্ধারিত হচ্ছে। সেটা লেখকের নিজের ভোটও হতে পারে। কে নিজেকে ৫ এর কম দেয়! সমস্যা হয়েছে ভালো লেখার। বেশি ভোট পাওয়াতেই পিছিয়ে যাচ্ছে গড় ভোটে এসে। এই সমস্যা এই মুহূর্তে কেবল ক্রিটিকসই সমাধান করতে পারে মার্কিং বাড়িয়ে। তাতে গড় ভোটে পিছিয়ে থাকা ভালো লেখা ক্রিটিকস ভোটে এগিয়ে উপযুক্ত পদক্রম পাবে, ভালো লেখকও উতসাহিত হবে। নতুবা এককালের পুরনো ভালো লেখকেরা যেভাবে সুইচ করেছে সেটা এখনো হতে পারে। আরেকটা করণীয় হলো নিজেই নিজেকে ভোট দেয়ার অপশন তুলে দেয়া। পরামর্শ দেয়া উচিত মনে করে দিলাম, এডমিন কি বিবেচনা করবে?
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
হৃদয়ের খাঁজে জমে থাকা কথাগুলো
কী মাত্রায় অভিস্রবন ঘটালে আবেগ হয়ে ঝরে ঝরে পড়তে পারে কবিতার খাতায়,
২৪ আগষ্ট - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
৪৮ টি
সমন্বিত স্কোর
৪.৭
বিচারক স্কোরঃ ২.৪৭ / ৭.০পাঠক স্কোরঃ ২.২৩ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।