লাজুক প্রকৃতির ছেলে আরিফ।বুকে প্রচন্ড ব্যথা।মাঝে মধ্যে বুকের ব্যথা প্রচন্ড হয়।তখন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হয়।কিন্তু কিসের ব্যথা?কীভাবে ব্যথা হ’ল বুকে? বাড়ির কিংবা আশেপাশের কেউ-ই বলতে পারে না।বুকের ব্যথার জন্যে হাসপাতালে ভর্তির সময় আরিফ’কে চেনা যায় না।শরীর আর চেহারা বিদঘুটে আকার ধারণ করে।পাশের রুম থেকে আরিফের ছোট ভাই ইব্রাহিম দীর্ঘ নিঃস্বাসের শব্দ পায়। কিন্তু সেও ভেবে পায়না তার ভাই আরিফের আসল অসুখটা।
বেশ কয়েক বছর আগে ওপাড়ার এক বিয়ে অনুষ্ঠানে জেবার সাথে তার পরিচয়।দেখতে সুন্দর, সুঠামো, চোখদু’টি কাজল কালো।কথা কাটাকাটি হচ্ছিল জেবা আর আরিফের মধ্যে।ইব্রাহিমের বয়স ছিল দশ কি বারো।বোঝার ক্ষমতা হয়েছিল যথেষ্ট।বেকার,লাজুক ইত্যাদি কথা ভেসে উঠছিল।তার ভাই আরিফ বেকার-সে কথা কি বারবার বলছিলো জেবা? ‘আমার ভাইতো চোখতুলে কথা বলেনি কোনদিন! তাহলে কবিতা লেখা যার নিয়ে তিনি কি এই জেবা?মিলাতে কষ্ট হয়! বেকার বলেই কি বারবার প্রত্যাখান করছিলো জেবা?তবে মনে আছে বুকের ব্যথা সেদিন-ই পেয়েছিল আরিফ।হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো সেদিন।
ইব্রাহিমের সাথে খোলামেলা কথা হ’ত আরিফের। লাজুক কিন্তু গম্ভীর ভাবের মানুষ আরিফ।তবে বলতো, চাকুরি পেতেই হবে।চাকুরি জীবনের মাপকাঠি।আমার কি নেই!মানুষজন আমাকে অন্যভাবে দেখে।গুরত্ব দেয়না।আব্বা চাকুরে ছিলেন।সবাই তাকে সম্মান করতেন, মানতেনও।অতএব পড়াশুনা করে চাকুরি করতে হবে।তাহলে সেদিনকার জেবু আপুর কথায় ব্যথিত হয়েছিল আরিফ ভাইয়া! জেবার মতো বউ পোষা তো ভাইয়ার পক্ষে কিছুই না।যা সম্পদ-সম্পত্ত্বি আছে তাতে রাজার হালে থাকতে পারবে তারা।তাহলে প্রত্যাখান কেন? না অন্য কিছু!-ভেবে পাইনা ইব্রাহিম। কীসব চিন্তা করছি!আমার কথাতো ঠিক নাও হতে পারে।আরিফ ভাই তো সব কথায়-ই খুলে বলে তাকে।একবার এক সুন্দরী-ধনাঢ্য মেয়ে ভাইয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল-সে কথা পর্যন্তও বলেছিলো! এবং বলেছিল প্রেম-ট্রেম বুঝিনা।---তাহলে আজ?
কয়েক বছর পর টেম্পুতে এক সুন্দরী মহিলা সাথে হ্যাংলা আর বিশ্রী এক পুরুষ। পুরুষটাকে আমি ভালোভাবেই চিনলাম।ওপাড়ার বাউন্ডেলে ছেলে, কয়েকবার এস,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। লোকে তাকে বখাটে হিশেবে জানে এবং চেনে। তার বাবা শ্রম বিক্রি করে থাকে।তাদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে ভাইয়া। মনে মনে ভাবি প্রেম মনে হয় জেগে উঠেছে ভাইয়ার।এবার ভাবি পাব নিশ্চয়! অনেকদুর যাওয়ার পর ভাইয়া বলল-সুন্দরীরা কি হ্যাংলা আর বখাটেদের প্রেমেই পড়ে!মনে মনে ভাবি,বখাটে ঐ ছেলের সাথে মহিলাটি কি জেবা,জেবু আপু?আস্তে আস্তে ভাইয়ের বুকের ব্যথা যায় বেড়ে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ
বুকের ভিতরে যে ব্যথা বাসা বেধেছিল বহুবছর আগে, সে ব্যথা যেন ক্রমশ ডাল-পালা ছড়িয়েছে, গল্পের শেষে এসে হলো প্রকাশিত। পুরোনো ক্ষতগুলো ঠিকই কোন না কোন সময় প্রকাশিত হয়। গল্পের শেষটাতে সংকেত রেখেছেন, ভালো লাগল।
শুভকামনা লেখকের জন্য।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।