হে স্বাধীনতা, তোমার বাঙময় ভাবনার বিলাসিতা আমার
নিমগ্ন সত্ত্বা অভিমুখে কেবলই প্রিয় স্বজন হারানো অপার
শূন্যতা ঘেরা অব্যক্ত হাহাকার বয়ে নিয়ে ক্রমাগত ধেয়ে
আসা এক আবহমান রক্তের অনন্ত লাল নদী হয়ে রয়ে যায়...
হে স্বাধীনতা, তোমার জন্য নিঃশেষে উৎসর্গীকৃত ত্রিশ লক্ষ
দেশপ্রেমিক মানুষের ঝরে যাওয়া রক্তের আন্তিম লাল ধিক্কার
আমাকে কেবলই অগ্নিগিরির জ্বালামুখের মত কিছু উত্তরহীন
পুরনো প্রশ্নের মুখোমুখি অসহায় দাড় করিয়ে দিয়ে যায়...
হে স্বাধীনতা, তোমাকে পেতে অকাতর লুট হয়ে যাওয়া
আড়াই লক্ষ মা বোনের অপারগ সম্ভ্রম আমাকে কেবলই
টেনে নিয়ে যায় অসহায় বাস্তবতার গরাদবিহীন কাঠগড়ায় ...
হে আমার বাংলা মা তুমি কি পেয়েছ প্রিয় সন্তানের রক্তের অর্ঘ ?
হে আমার বাংলা মা তুমি কি পেয়েছ প্রিয় সন্তানের সম্ভ্রমের মূল্য ?
হে আমার বাংলা মা তুমি কি পেয়েছ স্বাধীনতার অমলকান্তি সুখ ?
হে আমার বাংলা মা তুমি কি পেয়েছ ভালো থাকার নিরাপত্তা ?
হে আমার বাংলা মা তুমি কি পেয়েছ সুখী ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা ?
তুমি কি দিতে পেরেছ সব সন্তানরে সমান অধিকারের শালীনতা ?
তুমি কি দিতে পেরেছ সব সন্তানরে ন্যায়বিচারের সম অধিকার ?
তুমি কি করতে পেরেছ সব মুখে হাসি ফোটানোর নির্মল অঙ্গীকার ?
তুমি কি পেরেছ দিতে তোমার সব সন্তানরে ভাবনার স্বাধীনতা ?
তুমি কি পেরেছ দিতে তোমার সব সন্তানরে উন্মুক্ত নীল আকাশ ?
হে আমার বাংলা মা, এ প্রশ্নের উত্তর জানেনা তোমার অপারগতা,
উত্তরহীন এসব প্রশ্ন কেবল প্রশ্ন হয়ে জমে জমে স্তূপ হয়ে রয়,
তবু তা ছুতে পারেনা কিছু আয়েশি সুখের সারশূন্য অট্টালিকা,
তোমার সারা শরীরময় আজও ঝরে পড়া রক্তের কালশিটে দাগ,
সাতচল্লিশ, বায়ান্ন থেকে একাত্তর, একাত্তর থেকে অদ্যাবধি এই
জনপদে অনেক বার বয়ে গেছে প্রতিবাদের রক্ত বন্যা, তবু আজও
মেটেনি কিছু সুবিধাভোগী নোংরা শকুনের সর্বগ্রাসী মাংসাশী খিধে,
আজও তাই রিক্তের স্বাধীনতা বন্দি হয়ে আছে বইয়ের পাতায়,
এখানে বিবেকের বিষাক্ত আঁধারে লুট হয়ে যাওয়ার আশংকায়
আজও দুরু দুরু বুকে কাপে সব হারিয়ে পাওয়া সার্বভৌমত্ব ।
বাঙ্গালী রক্ত দিতে জানে, জানে রক্ত নিতে, বাঙ্গালী ভালবেসে
হয়ে যেতে পারে নরম নদী, আবার সেই বাঙ্গালীই হতে জানে
ক্ষমাহীন অনন্ত অঙ্গার, নব্য শকুনেরা তোমাদের এই নোংরা
খেলা থামাও, রক্তে ভেজা এ প্রিয় পবিত্র ভুমি তোমাদের এই
নষ্ট প্রহসন আজ আর দেখতে চায় না, গন মানুষের ভাগ্য নিয়ে
এই ছিনিমিনি খেলার এবার ইতি টানো নির্লজ্জ লুটেরার দল,
বাঙালীর অসীম মমতা তুমি দেখেছ, মমতাকে দুর্বলতা ভেবে
ভুল করেছ, তার সর্বগ্রাসী উন্মত্ত ক্রোধ তুমি দেখতে চেয় না,
মানুষের অধিকারের উপর থেকে তোমাদের নোংরা হাত হটাও,
বাঙালীর রক্তে আজও ঘুমিয়ে আছে সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, একাত্তর,
তাকে ডেকো না তোমাদের সাজানো তাসের ঘর ভেঙে দিতে,
তাকে ডেকো না তোমাদের বাধভাঙা সর্বনাশের অনুষঙ্গ হতে,
হে স্বাধীনতা, এবার তুমি সব বৈষম্যের পাহাড় পায়ে দলে দলে
বইয়ের পাতা থেকে নেমে আসো বাস্তবের সবুজ ঘাস জমিতে,
বিত্তের খোঁয়াড় থেকে তুমি ভূমিষ্ঠ হও চিত্তের বিপুল আলোড়নে ।
১৯ আগষ্ট - ২০১৩
গল্প/কবিতা:
৩৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জানুয়ারী,২০২৫