হারাধনের সম্বল একটি কম্বল আর ছিল গোপন কিছু ধন। কেউ জানেনা কি বা আছে তাতে অতি যতনে কেন রাখে বুকে আগলে হারাধন, সারাক্ষন !
রাস্তায় হাঁটে আর একা একা বলেঃ প্রকৃত বন্ধু চেনার যন্ত্র আছে কি? অথবা কোন প্রয়োগ পদ্ধতি? অথবা বলে চলে দূর মেঠো পথেঃ বল বন্ধু সবে, নারী কিম্বা পুরুষ ! কেমনে চিনিবা বন্ধু,আসলেই সে আপন না পর !
হারাধন একা একা দুপুর রোদে মাটিতে শুয়ে বলে চলে মনের কথা; কিছুটা এমনঃ জলাধারে রাখা জল সিঞ্চনে, থাকে কাদামাটি প্রেমের ফল্গুধারা ছুটে গেলে থাকে সমীরণ ! তোমাকে ছাড়া জীবন চলেও বা যদি, বন্ধু ছাড়া কতক্ষন !
আবারো কোনদিন শীতে যবুথবু হারাধন ঠক ঠক কাঁপে কিন্তু বলে চলে অবিরামঃ প্রিয়ার চোখের জলে যদিবা বেদনার নীল জমে দেহে, বন্ধুর কষ্টে একটুও কম হয়না কষ্ট, যা ছিল বন্ধুর মনে। বন্ধুত্ব এমন কিছু একটি বিস্ময় ! শুধু ভালোবাসা আর সম্প্রদানে মুক্তি মিলে , অন্য কিছুতেই নয়।।
হারাধনের কিছুই ছিল না, ছিল কিছু বন্ধু-স্বজন। এই দেশ, এই মাটি আর এই দেশের কিছু মানুষজন ! হারাধন ভাবিত দেহের শক্তি চলে গেলে শুয়ে শুয়ে না খেয়ে অথবা মৃত্যুর অতি নিকটে সম্বলটুকু তাঁর দানিবে জনতার কাতারে।
মরিবারকালে সমস্ত কিছু দিয়ে গেলো সকল বন্ধুর লাগি। প্রতিবেশি যে জন, ভিটি টা দখলে নিয়েছিলপ্রথম সেই বছর দশেক আগে ! বন্ধুর তরে রেখে যাওয়া মুল্যবান অতি হারাধনের ধন, উলটাইয়া পালটাইয়া দেখে বন্ধুর স্মৃতি, আনন্দের সুর অন্তরে নিয়ে সাগরের সফেদ ফেনা অথবা অথই জলরাশি! ভাবে লোভী প্রতিবেশিঃ কেন হারাধনেদিলো আমারে, ‘আয়না”এমন সময়!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।