আজ এক নির্ঘুম রাতে অপসংস্কৃতির বিকৃত ভাগাড়ে জাফরানি পত্র পল্লবে বেড়ে ওঠা হিজল গাছের ডালে মায়াবতী পেত্নীর খোপার জবাফুল হয়েছি হুতুম পেঁচার মত । শীতল জ্যোৎস্নার অঙ্গে কে যেন মাখিয়ে দিয়েছে নাম না জানা দুর্গন্ধময় ফুলের নির্জাস ! অদূরে জোনাকিদের পাখনার আলো কেড়ে কৃতিম আলোর পশরা সাজিয়েছে পিচাশের দল । ঝিঁঝিঁ পোকাদের সুর কেড়ে নিয়েছে নাইট গার্ড আধুনিক যন্ত্রের হুংকারে আজ শেয়ালের কান্না বন্দ আমার পাশের ডালে বসে খুব চেনা ডাহুক পাখি পেত্নীর কাছে করে সুরের প্রার্থনা ।
কালো বেড়ালের চোখের সবুজ আলোর চমকানি নিশাচরদের ডানা ঝাপটানোর অবরোধ ঘোষণা করে মুখে থাকা ফল গুলো চিবানোর সাহস হয়না তাদের আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অসহায়ের মত । আমিও অসহায়ের মত দেখলাম গ্রাম বাংলার রঙ রুপ ঐতিহ্য সংস্কৃতির ফুল চন্দনে চুনকালি মাখিয়ে অসুরের দল কেড়ে নিলো পার্বণের তেপান্তরের রাতজাগা মহা উৎসবের তবলা ডুগি , ঢাক ঢোল, মাদল ও ডাকাতিয়া বাঁশি ।
বেশুর প্রতিধ্বনি , বিষাক্ত বাতাস আর উই ধরা ঢেঁকি, বাঁশ বেত , সোনালী আঁশের অলংকার পোড়ানর কালো ধোঁয়া ও মানসিক আঘাতে নিশি পদ্ম, পুষ্প চোখ মেলেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে । আজকে কলঙ্কিত বাংলার রূপ দেখে শতশত নক্ষত্র লজ্জায় , ঘেন্নায় ঝড়ে পড়ছে শিউলি ফুলের মত ।
শতবাধার পড়েও নিবু নিবু পিদিম জ্বেলে মাছ ধরছে জেলেরা জেলেদের চুপি চুপি গান শোনাচ্ছে মাছ রাঙা , সারস , পানকড়ি বক নানা জাতের মাছ পাগল পক্ষী - যদিও তারা জানে নদী দখলকারী শকুনের বুলেটের আঘাতে অপমৃত্যু অস্বাভাবিক কিছু নয় ।
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক
যেখানে সুচ সুতোর গাঁথা বকুল ফুলের মালিকায়
বাংলার রূপের নকশী কাঁথার কারুকাজ
শোভা পেয়েছে আপন অস্তিত্বে । .... খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা কবিতা ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।