অবরোধবাসিনী সময় আমার তুমি আর আমার হাতে নাই। তুমি বাসি চোখের বেনোজলে পরোটা ভিজিয়ে খাও!!
জিজীবিষাময় জীবন আমার পোয়া-আধসের করুণা ভিক্ষা চাই। এইবার তুমি উপসংহারে যাও!!
“ডিসমাল সাইন্স” খ্যাত অর্থনীতির মিথ্যেকথার ক্লাসরুমে, লাস্টবেঞ্চিতে বসে ঝিমুতে থাকা ড্রপার আমি। ননমেজর পলিটিক্যাল সাইন্সের ফাইনাল পরীক্ষায় সাদা পৃষ্ঠার পাতে, গণতণ্ত্রের ভুল সংজ্ঞাটা বমি করে দিয়ে কোনমতে সেমিস্টার উতরে যাই। কোন ফরমাল ১৬-ই ডিসেম্বরের আবেগী দুপুরে, আয়েশী দু’চোখে ক্যাজুয়াল রোদচশমা পরে; ঐ লাল-সবুজের পতাকাটার দিকে চেয়ে আমার কখনও আত্মঘাতী হওয়ার ইচ্ছে জাগে নি।
অথচ কি আশ্চর্য!! দেয়ালে ছবি হয়ে থাকা ঈশ্বর আমাদের উতর দেবে- এই আশায় বসে না থেকে আজকে আমি নিজেই গিয়েছিলাম, রামনগরের মোড়ে; ঘুণে ধরা মেরুদণ্ডে ভর করে কোন মতে ঘাপটি মেরে টিকে থাকা শ্যাওলা বস্তিতে।
হ্যাঁ,সবশেষে আমি নিরাশ হয়েই ফিরেছি!!
না,ওখানে কেউ এমন বোমা বানাতেই পারে না!!
যে বোমা ফাটলে স্প্লিন্টারের বদলে বেরুয় ফুলের পাঁপড়ি; কাঁচের ঠুকরোর বদলে বেরুয় আলোর পাখি; আর আগুনের হলকার বদলে প্রেমিকার চুম্বন!!
আশাহত এই ‘আমি’-টার উবে যাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে ভীষণ। তাই আটপৌরে ক্যালেন্ডারের ধারাপাতে, বাড়াতে চাইছি না আর বেঁচে থাকার ঋণ।
ও মালিক, অভাবী বামহাতে দেড়’শ টাকা গুঁজে দিয়ে শেষে, এই আনকোরা ডানহাতে একটা ককটেল ধরিয়ে দিন। আর দয়া করে বলে দিন- এই ডাবল ডিজিট ইনফ্লেশনের দেশে কোথায় গেলে- দেড়’শ টাকায় এক ঠুকরা কাফনের কাপড় মিলে ??
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।