অন্ধকারের ঝামেলা

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

জি সি ভট্টাচার্য
  • ১৯
মনটা বিকল, নেই পয়সা কড়ি,
অন্ধকারে ছিলাম শুয়ে,
বিশেষ কিছুই হয়নি, ছিলো
আলসেমিতে পেয়ে।

সন্ধ্যাবেলায় ছিলাম শুয়ে
উঠে জ্বালতে আলো হবে,
হঠাৎ শুনি বাইরেতে ডাক
বন্ধু কাল্লু এলো তবে।

‘বেরিয়ে এসো ও পন্ডিতজী
হলেই না কী কালা’?
বলতে বলতে ঘরে ঢুকে
বলে, নেই যে আলো জ্বালা?

কাল্লু বলে হচ্ছে মনে
নেইকো ভালো মন,
অন্ধকারে আছো শুয়ে
এ আবার কেমন?

জোয়ান ছেলে একলা থাকে
জোটেই না যার বিয়ে,
মনটা ভালো হবে কি ছাই
কে ভাবছে এসব নিয়ে?

আজই আমি তোর কষ্টের
করবো প্রতিকার,
চলরে ভাই জ্যোতিষ দেখাই
হবেই বিয়ে তোর।

আমি বলি করছো টা কি
টানছো ধরে হাতে,
লুঙ্গি পরে পথে গেলে
বলবে পাগল সাথে।

কাল্লুরামের গোঁ ভয়ানক
শুনলে তো মোর কথা,
টেনে নিয়ে অটোয় তোলে
হিড়হিড়িয়ে সেথা।

বলে লুঙ্গিতো হয় জাতীয় পোষাক
অনেক দেশেতে,
কিছুই রাখিস খোঁজ কি, থাকিস
অন্ধকারেতে।

রামকৃষ্ণ শাস্ত্রী জ্যোতিষ
ইয়া সাইনবোর্ড,
কাল্লুরাম তো রইলো বসে
পাঠিয়ে নামের কার্ড।

আধঘন্টায় হলো তলব
অন্য সবাই বসেই,
কাল্লু বলে চেনে আমায়
তাই ডেকেছে এসেই।

জন্ম সময়, তারিখ, স্থানে
কম্প্যু বানায় কুষ্ঠি,
দেখেই বলেন এ’ভালো নয়
বড়ই অনাসৃষ্টি।

বক্রী শনি, অস্ত গুরু,
সবার ওপর আছে,
দূষ্টি কেতুর, চাই প্রতিকার
পাবেই আমার কাছে।
দক্ষিণা ব্যস আড়াই হাজার
ফ্রিতে তাবিজ কবচ আছে,
দেখবে কেমন কেতু পালায়
অন্ধকার, যেমন আলোর কাছে।

শুনে কাল্লুর মুখখানি চূণ
ভাবছে কি যায় করা?
অন্ধকারে আমার শোওয়ার
মূল্য বড়ই কড়া।

শেষে বলে কাল্লুজী, ভাই
জানতে চাই এক কথা,
এই কেতু কি সেই দৈত্য
রাহু যাহার মাথা?

জ্যোতিষী কয় সেই রে ভায়া
বিষ্ণু কাটলো মাথা,
সুধা খেয়ে অমর সে জন
অন্ধকারের পিতা।

বড়ই দুষ্ট পাজী গ্রহ
অশুভ দৃষ্টি তার,
কে বা জানে আর করতে পারে
তাহার প্রতিকার?

গ্যারান্টি দিই হবেই হবে
একমাসেতে বিয়ে,
নইলে জ্যোতিষ ছাড়বো আমি
মাথাটি মুড়িয়ে।

কাল্লু বলে তাই যদি হয়
বলো, একটি কথা সার,
দৃষ্টিটা সে কোথায় পেলো?
নেইকো মাথা যার।
শাস্ত্রীমশাই চুপটি দেখে
কাল্লু বলে হেসে,
চললুম আমি, এই জ্ঞানেতে
জ্যোতিষ তুমি কিসে?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তানি হক অন্য রকম কবিতা ...ভালো লাগলো ...ধন্যবাদ আপনাকে
সানোয়ার রাসেল ভাই, আমি কাউকে খুশি করার জন্য কিছু বলতে পারি না, যা ঠিক মনে হয় তাই বলি। আপনার এই লেখাটার ছন্দ বা ভাষা সন্নিবেশ কোনটাই ঠিকঠাক মত হয় নি। সব মিলিয়ে এটা একটা ভালো কবিতা হয়ে উঠতে পারে নি।
নাবিল জাওয়াদ মজাদার কবিতা, মনে হচ্ছে গিলে খেয়ে ফেলি। হা হা হা...
ওসমান সজীব দারুন মজার কবিতা
খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ কিছু বানান ভুল বা ছন্দের অমিল এড়িয়ে যেতে পারলে অনেক ভালো কবিতা হতে পারতো ... ভবিষ্যতে আরো সুন্দর কবিতা প্রত্যাশা করছি ।
রাজিব হাসান বিশাল ছন্দের মালা পড়তে পড়তে গল্প কবিতার নিয়মাবলীর কথা মনে পড়ে গেল . কবিতা হতে হবে সর্বোচ্চ ২০ লাইন এ. কিন্তু এ কবিতা আর মাত্র ১৬ টি লাইনের জন্য সেঞ্চুরী করতে পারলনা !!! আমার মনে হয় আপনিই প্রথম ব্যক্তি যে এখানে 84 লাইনের কবিতা লিখলেন. ধন্যবাদ আপনাকে.....সুন্দর একটি ছন্দময় কবিতা জন্য .
তাপসকিরণ রায় আপনার ছন্দময় কাহিনী কবিতা--ভাল লেগেছে,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অদিতি ভট্টাচার্য্য কবিতার মধ্যে মজার গল্প পেলাম! ভালো লাগল।

২৩ এপ্রিল - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪