‘তুমি ওর চোখদুটো দেখেছো?’ আমি স্থির দৃষ্টিতে নীরার দিকে চেয়ে থাকি। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি কি বলতে পারি? বলতে পারি, ওর দিনগুলো প্রজাপতির ডানায় ভেসে ভেসে, লাল নীল হলুদ ফুল ছুয়েঁ, আয়েশী কাশফুলে ক্লান্তি লুকায় না। বলতে পারি, ওর স্বপ্নেরা পূর্ণতা পায়নি রমনীর উষ্ণ বুকে, শোকার্ত স্বপ্নেরা তাই সবটুকু আর্দ্রতা হারিয়ে ঠাইঁ নিয়েছে পচা রক্ত জলের ভাগাড়ে। বলতে পারি, ওর রাতগুলোতে শীতল ঘুম মুক্তি খোজেঁ, উষ্ণ বাতাসে পাক খায়, শেষে এক গভীর শূন্যতায় হারিয়ে ফেলে নিজেকে। এইসব রাতগুলো বড় বেশি স্থবির, প্রাণহীন, ক্লান্ত, বড় বেশি উত্তেজক! ‘উত্তেজক?’ অবাক হচ্ছো, নীরা? তবে শোনো: দিনমান সে প্রস্তুতি নেয় এক যুদ্ধের। নিজেকে সাহস দেয়, প্রবোধ দেয় সে নিজেই, আর অপেক্ষা করে রাতের। প্রয়োজনীয় রসদ সব হাতের কাছেই থাকে, তবু সে আরেকবার যাচাই করে নিতে ভোলেনা। রাত নামলেই পার্শ্ববর্তী কোনো পাহাড়ের খাজেঁ আধশোয়া হয়ে লুকিয়ে পড়ে, সিনায় রাইফেল ঠেকিয়ে ঘুমহীন চোখ দুটো মেলে দেয় অদূরবর্তী পাহাড়ের দিকে। সে অপেক্ষা করে আরো কিছুটা সময়। যতক্ষন না তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সংকেত পাঠায়, কোথায় যেন কিছু একটা ঠিক নেই। দ্রুতই তার আঙ্গুল চলে যায় ট্রিগারে। তারপর…তারপর কেটে যায় আরো অনেকটা সময়! নীরা, এখনো কি ওই চোখ তোমাকে অবাক করে? বলো, ও চোখে স্বপ্ন পুড়ে যায়? আমি জানি, নীরা! ওর চোখে মৃত্যুপুরীর শীতলতা, ওর ঘামে রক্তের গন্ধ, ওর তৃষ্ণার্ত রাত বারুদের ঝাঝেঁ কলিজা ঠান্ডা করে! এক আদিম অন্ধকারে নরমাংসের লোভ তাকে দাড়ঁ করিয়ে রাখে বর্ডারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।