আমি স্বর্গ দেখিনি; দেখেছি বাঙলার রূপ- অত খানি সবুজ আর কোথা আছে বলো? যতখানি সবুজ ধানের ক্ষেতে, তোমার শাড়ির জমিনে। চৈত্রের কোকিলের ডাকে পানকৌড়ি মনে বিভোর বাসনা জাগে, পলাশ-শিমুল আজন্ম বন্ধু যেন! মাথার দুপাশে স্বপ্নভার নিয়ে হিজল-কলমি দু’হাত ভরে ডাকে।
সোনার মাটিতে আম জাম কাঁঠালেরা জেগে থাকে নক্ষত্রের মতো আকাশের নিচে জোছনা জোনাকমেলা ছড়ায়! ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি শিরশিরে অভিবাদন জানায় আমি কোথা পাবে এমন আথিতেয়তা; কোথা পাবে এমন শরৎ বন্ধু। এমন মাতাল করা অনুভব। শাদা কাশফুল, বাহারী কচুরীপানা; নবান্নের সোনামাখা কৃষকের ফসল, কিশোরীর সুনির্মল হাসি! কোথা পাবো বলো?
ভোর হলে পরে পাখিদের মিছিল, দুপুরের ভাত ঘুমে- বিকেলের রোদ প্রেমে- সন্ধ্যে প্রদীপের আলো আর এমন নিবিড় তুলসী তলা কোথা পাবো?
স্বর্গের চেয়েও বড় মাতৃভূমি আমার! ছেড়ে দিতে পারি সব, তবুও সবুজ বাঙলা না ছাড়া যায়। চোখ বন্ধ করলেই আমেজে ফিরে আসে ইতিহাস আর ঐতিহ্য সোদামাটির গন্ধে, সোমেশ্বরীর উত্তাল স্রোতে আমি ভাসি সেলুলয়েডের ফিতার চেয়েও আশ্চর্য ম্যাজিক অভূতপূর্ব বাঙলার মানুষের সম্পর্কের টানাপোড়েন।
আমি স্বর্গ দেখিনি, চাইনা তা- চোখ পেতে আছি বাঙলার মহা সাগরে; আর কোথা যেতে চাইনা এই বাঙলাকে ছেড়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।