আতঙ্ক

পরিবার (এপ্রিল ২০১৩)

অলভ্য ঘোষ
  • ১৩
সোহাগ দীর্ঘক্ষণ বসেছিল সোফায় ; হাতে মোবাইল টা নিয়ে গেম খেলছিল। আজ তার
ডান্স ক্লাসে মা যেতে দেয়নি । ক্রিয়েটিভ ডান্সের সাথে সাথে হিন্দি সিনেমার নাচও শেখায় পাড়ার নাচের স্কুল গুলো । কি অশালীন সব শরীর দুলানো ; আগে যা কেবল রাজ রাজা জমিদারেরা দেখতে পেত পয়সা দিয়ে বাইজি নাচিয়ে এখন সিনেমা সিরিয়ালের দৌলতে "দো ঘোট মুঝে ভী পিলাদে সারাবি দেখ ফির হোতা হ্যাঁয় কেয়া " । "কাঁটা লাগা " সারা সমাজ টায় । কোন রুচি নেই , সংস্কার নেই অবাদে টি ভি তে , রেডিওতে,পাড়ায় পাড়ায় মাচা বেঁধে , ফিল্ম ফ্যাস্টিভেল, নাট্য উৎসব,স্বাধীনতা দিবস;আবার জন্মদিন , বিবাহ বার্ষিকী, পৈতে, কিংবা সৎসঙ্গ ধর্মীয় উৎসব ,এমন কি ক্রিকেট ম্যাচেও একি সংস্কৃতি চলছে । মদের বোতল খুলে বারে বসে মদ্যপায়ীরা যা উপভোগ করতে পছন্দ করেন । কি ভয়ংকর ।

শান্তনু এসে টি . ভি টা খুলতেই বহু-পরিচিত রেপ,ধর্ষণ,বলাৎকার শব্দগুলো কানে আসতে থাকে সুদেষ্ণার । লম্বা সোফার এক কোনায় বসে সুদেষ্ণা উল বুনছিল ; তার লজ্জা লাগে সোহাগের সামনে বসে এ সব শব্দগুলো শুনতে । বিরক্তি প্রকাশ করে বলে ;
- " রাতদিন খবর ছাড়া আর কিছু দেখতে পার না । অন্যকোন চ্যানেল চালাও না ।"

খবরে তখনো বলে চলেছে ;
" গৃহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর নবীনতম অপরাধের পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতীয় পুলিশ দুহাজার এগার সালে 24206 টি বলাৎকারের ঘটনা নথিভুক্ত করে বলাৎকার কে ভারতের সবচেয়ে বড় অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছেন ।দুহাজার এগারর রিপোর্ট অনুসারে ; মধ্যপ্রদেশে ভারতের সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ কাণ্ড 3406 টিসংগঠিত হয়েছে । পশ্চিম বঙ্গ 2363 টি মামলা দুহাজার এগারোয় নথি করনের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । "

এ রাজ্যের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কুড়ি দফা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন ধর্ষিত মহিলাদের জন্য ; তবে সুদেষ্ণার মনে হয় একজন মেয়ের পক্ষে তার শ্লীলতা হানির প্রমাণ দেওয়া এখনো আমাদের সমাজে বড় কঠিন কাজ; লজ্জারও ।
পরিসংখ্যান থেকে কান সরিয়ে শান্তনু বলে ;
- " কি দেখব তোমার ঐ প্যানপ্যানানি বাংলা সিরিয়াল । সত্যযুগে শুরু হয়েছিল;এখন ত্রেতা দ্বাপর গিয়ে কলি ; শালা শেষহবারয়ই নাম নেই । "
সুদেষ্ণা বলে;
-" মুখের ভাষাটা ঠিক কর । মেয়ে বড় হচ্ছে ; যখন তখন যাতা খবর ওর সামনে দেখতে তোমার লজ্জা করেনা । "
শান্তনু গলা চড়ায়;
-" তোমার ঐ বস্তাপচা সিরিয়াল গুলতে থাকেনা অবসিন কিছু ? পরকীয়া ভালবাসা । প্রতিটি সিরিয়ালের বিষয় এক অবৈধ প্রেম । এক এক জনের দুটো তিনটে করে বিয়ে হচ্ছে আবার কেটেও যাচ্ছে । শরৎ-চন্দ,শক্তি সামন্ত ,অজ্ঞোন চৌধুরী , সপনো সাহার উত্তরসূরিদের ক্রমশ নিম্নগামী সংস্কৃতি । পাবলিক খায় ভাল । ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে ; কনডম, মেয়েদের সমস্যা,প্রেগনেন্সি টেস্ট, মদ, সাবান, শ্যাম্পু, তেলের রকরকে বিজ্ঞাপন ।“

শান্তনু এক্সাইটেড হয়ে গেলে সুদেষ্ণা বেশী কথা বলেনা আজকাল ; ওর হাটে্র অবস্থাটা ভাল নয় । সুদেষ্ণা শুধু বলে;
-"ও গুলত খবরের ফাঁকেও থাকে । "
শান্তনু বলে;
-"থাকে বটে তবে একটা খবরও থাকে সস্তার বস্তাপচা গল্প নয় । "
সুদেষ্ণা জানে খবরের চ্যানেল গুলোও সাধারণ ঘটনা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বিক্রি করে । কিন্তু সে মুখ খোলে না। রিমোট টিপে টি . ভি বন্ধকরে সোহাগের কাছে সড়ে বসে শান্তনু । তারপর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে ;
- " এ বছর হায়ার সেকেন্ডারি দেবে ; সোহাগ আর ছোট নেই । "
আজকাল শান্তনুর মেয়েকে নিয়ে আদিখ্যেতা সুদেষ্ণার একদম ভাল লাগে না । সে নিজের রাগ নিজের মধ্যে মেরে; কমলা আর নীল উলের গোলা দুটোকে হাতের কাঁটা দিয়ে বিদ্ধ করে সোফার কোনায় সজোরে নিক্ষেপ করে ;চোলে যায় রান্নাঘরে চা বানাতে ।

সুদেষ্ণার তার দাদুর কথা মনে পড়ে । রেডিওতে "একটুকু ছোঁয়া লাগে; একটুকু কথা শুনি" এই রবীন্দ্র সঙ্গীত টা বাজলেই তিনি রেডিও বন্ধ করে দিতেন । বলতেন দিদিভাই এসব লজ্জার গান শুনতে নেই ।"লজ্জা" শব্দের সেদিনের অর্থ বুঝত না সুদেষ্ণা আজ বুঝেছে "অশ্লীল"। সুদেষ্ণার আর মনে হয় দাদু বেঁচে থাকলে আজকাল যা গান হয় শুনলে কানে তুল গুজে থাকতেন ; বলতেন এসব তো লেটও গান কেওড়া বাগদী দের সংস্কৃতি ।
সংস্কার ধর্মের মতো মানুষকে সামাজিক জীব বানিয়ে রাখতে প্রয়োজন আছে ; এই মধ্য বয়সে এসে বুজেছে সুদেষ্ণা । সে তার শিক্ষা ,রুচি,সংস্কার কতটা দিতে পেরেছে তার মেয়েকে । সুদেষ্ণা ছোট বেলায় ফ্রক পরেছে । ক্লাস নাইন থেকে স্কুলে পড়ে গেছে শাড়ী । সোহাগের কনভেন্ট স্কুলের চিরকাল ইউনিফরম হাঁটুর ওপর পর্যন্ত খোলা ছোট শট স্কাট । সুদেষ্ণা রাতে নাইটি ব্যবহার করাটাকে অপছন্দ করে । রাতে বিছানায় নিজের ঘরে সুদেষ্ণা সোহাগ কে জানালার পর্দার আড়াল থেকে দেখেছে ; শুধু মাত্র অন্তর্বাসে ল্যাপটপ মুখের কাছে নিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে । মেয়ে বড় হচ্ছে । তারও একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে ; একথা শান্তনু প্রায়শই বলে । সুদেষ্ণা কিছুতেই মানত না ;সেদিনের রাত পেরতেই সুদেষ্ণার কাছে সোহাগ বড় হয়ে গিয়েছিল ।এখন আর প্রয়োজন অতিরিক্ত কোন কথা বলেনা সুদেষ্ণা । উপযাচক হয়ে জ্ঞান দেয় না । হাসি মস্করাও করেনা । মনের নৈতিক অনৈতিক টানা পোড়েনে ; মেয়ে কি করছে উকি মেরে দেখাটাও ছেড়ে দিয়েছে সুদেষ্ণা । তবুও মেয়েকে নিয়ে তার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই । কত রাত সে জেগে কাটায় ঘুণাক্ষরেও টের পায়না শান্তনু । এখন কার সংস্কৃতি টা বড় খারাপ । মেয়ের ফেসবুকে একশো একটা ছেলে বন্ধুর ছবি দেখেছে সুদেষ্ণা । নিরালায় একা একা মাথা ঘামিয়েছে সেটা ভাল না খারাপ । এই সব ভার্চুয়াল প্রেম কতটা বাস্তবায়িত হয় ? আরাধনা ছবির রাজেশ খান্নার এক সময় প্রেমে পড়েছিল সুদেষ্ণা ; মনে মনে প্রায় ঠিক করে ফেলেছিল তাকেই বিয়ে করবে । ডিম্পলের সাথে বিয়ের খবর টায় মনে বেশ কষ্ট পেয়েছিল । তবে মেয়ের দেখে দেখেই সুদেষ্ণা ইমেইল করা গুগোল সার্চ শিখেছে । অবসরে সে সাহিত্য পড়ে নতুন ফুলের ছবি দেখে । ক্যালিফোর্নিয়া থাকা ভাইকে ইমেইল করে ভাইয়ের দশ বছরের ছেলে মনটির সাথে করে চ্যাট । সুদেষ্ণা দেখেছে তার অই-ডির স্প্যাম বক্স ভরে থাকতে উসকানি মূলক খারাপ খারাপ অরুচিকর মেলে ; কত অ্যডাল্ট চ্যাট পর্ণ-গ্রাফিক সাইড চোখ মেলে রয়েছে এই প্রযুক্তিটার মস্তিষ্কে । তবে তথ্যপ্রযুক্তির এত সহজ পথ তাদের সময় ছিলনা ।ঠারে ঠোরে সুদেষ্ণা মেয়েকে বুঝিয়েছে ; এর ভাল দিকটা নিতে পারলে ভাল খারাপ দিকটা অতীব ভয়ংকর । মোবাইল আর ইন্টারনেট এখন এত সহজ লোভ্য সবার কাছেই পৌঁছে গিয়েছে । ডিজিটাল বিপ্লবের সাথে সাথে ডিজিটাল অপসংস্কৃতিও মানুষের শিরায় শিরায় ঢুকে চলেছে । ফলে এদেশের পাঁচ বছরের শিশু কন্যা থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ মহিলা কেউয়ই যৌন শিকারের হয়রানি থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না । মানুষের কামনা বাসনা উসকিয়ে রাজনৈতিক ,সামাজিক,অর্থনৈতিক ফয়দা লুটছে কিছু লোক । রেপ হচ্ছে প্রতি মিনিটে একজন করে মহিলা ।
ধর্ষণ কারীর শাস্তির দাবী উঠছে ; সংবিধানের সংস্করণের দাবী উঠছে ; মোমবাতি মিছিল হচ্ছে ।কিন্তু কেউ বলছে না ; আমাদের ঐতিহ্য ,কৃষ্টি সংস্কৃতিকে আর আঁকড়িয়ে ধরতে হবে ; শিক্ষিত রুচিশীল সমাজ গড়তে হবে ; সংস্করণ শুরু করতে হবে নিজেকে দিয়েই ।

চা টা যখন উথলানোর জন্য ফুসে ফুসে উঠছিল ;গ্যাস কমাতে গিয়ে সুদেষ্ণা তার মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে ; চা ছেড়ে ছুটে আসে ড্রয়িংরুমে । চমকে ওঠে ; সোফার ওপর সোহাগ কে কুঁকড়ে থাকতে দেখে । তার ওপর ঝুঁকে রয়েছে শান্তনু ।

সুদেষ্ণা "জানোয়ার....ইতোর " বলে ; গালিগালাজ করে সোফার কোনা থেকে নীল উলের গোলাটা ছুঁড়ে মারে শান্তনু কে । শান্তনু সিদে হয়ে দাঁড়ায় ; আর তখনি সোহাগের গা থেকে একটা আরশোলা উড়ে এসে বসে সুদেষ্ণার গায়ে । সোহাগ খিলখিল করে হেসে ওঠে ! সুদেষ্ণা জানে সোহাগ আরশোলাকে ভয় পায় । শান্তনুর ফরসা কান দুটো তখন আরশোলার মতো লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে । এই ঠাণ্ডা থেকে মেয়েকে বাঁচাতে সুদেষ্ণার নির্মায়মান মাফলারের নীল উলের বুনট খুলে গিয়েছে সবটাই । মেঝেতে উলের গোলাটা সুবর্ণ গোলকের মতো এখনো গড়িয়ে চলেছে । আরশোলাটা কোথায় গেল কারই তখন খেয়াল ছিলনা । বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দ্যোতনায় কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে না পেড়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে সুদেষ্ণা । তার মনে হয় সে একটা মানসিক রোগীতে পরিণত হয়েছে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ সামজিক যোগাযোগের ও সম্প্রচারের নতুন মাধ্যমগুলোর কারনে ভিন্ন সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ এবং তার প্রভাবে সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন. বিশেষকরে পরিবর্তনের অস্থি তিশীল সময়টা আগের প্রজন্মের মানুষের কাছে সব সময়ই আতঙ্কের. তবে সব কিছুতেই আবার এক সময় স্থিতি আসে. ভালো লাগলো গল্পটি.
সূর্য সত্যযুগেও সীতা অপহৃত হয়েছিল রাবন কর্তৃক। তো অবক্ষয় সে সময়ও ছিল এখনও আছে। ফারাকটা চোখে লাগে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারের ফলেই। আগে যে ঘটনাটা অথবা অপঘটনাটা ঘর বা গ্রাম পর্যায়েই ফয়সালা হয়ে যেত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে তা আজকের হট নিউজ। সুষ্ঠ সুন্দরের প্রতি আগেও মানুষের সীমাহীন সমর্থন ছিল আজও আছে। গল্প খুব ভালো লাগলো। আপনার আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ার অপেক্ষা থাকবে।
মিলন বনিক যেমনটি হওয়া উচিত আমাদের কৃষ্টি,সংস্কৃতি...ডিজিটাল যুগে তার ভালো দিকটা ঠিক সেভাবে উঠে আসছেনা...আপনার গল্পটা খুব ভালো লাগলো...অনেক অনেক শুভ কামনা....
সুমন সুদেষ্ণার আর দোষ কই! পুরো পৃথিবীজুড়ে যা চলছে.... খবরেতো প্রায়ই আসে মামা, খালু, কাকু ছিড়ে কুড়ে খেয়েছে... আর সমাজের খারাপ দিকগুলো দেখতে দেখতে কাকে বিশ্বাস করা যায় কাকে নয় এটা ভেবে বের করাই মুশকিল। পোষাক আষাক যেমন রূপ নিয়েছে পিঠের লেস বেধে দিতে দেখলেও মনে হয় লজ্জার শেষটুকুও খুলছে.... সামাজিক অব্ক্ষয় আজ পুরো ধরণীর সমস্যা। গল্পে গাথুনি সমসাময়িক বাস্তবতার দর্শন, বুনন সব মিলিয়ে আপনি পুরো নম্বরের হকদার, মানে অসাধারণ লিখেছেন।
আজিম হোসেন আকাশ ভাল লাগল। ভাল থাকুন।
এফ, আই , জুয়েল # বিকৃত রুচিবোধ ও অপসংস্কৃতির ছয়লাবে---সামাজিক অবক্ষয়টা দারুন ভাবে ফুটে উঠেছে ।। ধন্যবাদ ।।
মোঃ কবির হোসেন অলভ্য ঘোষ ভাই আপনর গল্পটি আমার কাছে ভাল লেগেছে. ধন্যবাদ.
মোঃ আক্তারুজ্জামান আমাদের ঐতিহ্য ,কৃষ্টি সংস্কৃতিকে আর আঁকড়িয়ে ধরতে হবে ; শিক্ষিত রুচিশীল সমাজ গড়তে হবে ; সংস্করণ শুরু করতে হবে নিজেকে দিয়েই- কঠিন সত্য বলেছেন দাদা। একজন দুর্দান্ত কবি হিসেবে আপনাকে আগেই চিনেছি। এবার শক্তিমান গল্পকার হিসেবে চিনতে পেরে গর্ববোধ করছি। ধন্যবাদ।

১০ মার্চ - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪