ধপাস করে রিক্সায় বসে নিজাম। নির্দেশ দেয় রবিউলকে_ ‘সোনাইমুড়ি যান’। যেন নিজামের বাঁধা রিকশাওয়ালা রবিউল। নিজামের অভদ্র আচরণে গা জ্বালা করে উঠে রবিউলের। অপরিচিত হলেও মেনে নেওয়া কষ্টকর যাত্রীর এমন আচরণ। নিজাম তো আর অপরিচিত নয়। বরং হাড়ে হাড়ে পরিচিত। ‘না, এখন যামুনা’। কঠিন কণ্ঠে বলেন রবিউল। শুধু আজ নয়, আগে আরো অনেক দিন হয়েছে এমন। কোনদিনই রবিউলের রিক্সায় যাত্রী হতে পারেনি নিজাম। প্রত্যাখ্যাত হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে। নিজামের খুব প্রেস্টিজে লাগে এটি। সে যাত্রী হলে অধিক ভাড়া পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করে সবুজ পাহাড়ের অনেক রিকশাওয়ালা। ব্যতিক্রম শুধু রবি চাচা। কিন্তু... না, এভাবে আর নয়। একটা জেদ চেপে বসে নিজামের বুকের ভেতর। আজ সে সোনাইমুড়ি না গিয়ে নামবে না রবি চাচার রিক্সা থেকে। অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে রবিউল। জেদ আরো বাড়তে থাকে নিজামের। হঠাৎ কথার ঢং পাল্টায় নিজাম। কারণ, সে জানে কাউকেই ভয় পায়না রবি চাচা। অধিক ভাড়ার লোভ কিংবা নিজের প্রাণের মায়া কোনটাই নেই তার। কেবল অন্যের জন্য দয়া- মায়া আর সৎ সাহসে ভরা বুক। অন্তত স্বাধীনচেতা মানুষ। ‘ইয়ে ইয়ে রবি চাচা, চলেন যাই। ইয়ে ইয়ে, বেশি দেরি হইব না। আপনের বন্ধুর অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাইতে ইয়ে ইয়ে, শুনলাম শ্বাস কষ্ট অনেক বাইড়া গেছে শীতে। এইবার মনে হয় ইয়ে ইয়ে, আর টিকবো না। চলেন ইয়ে ইয়ে, দেইখা আসি শেষবার। দেরি করোম না, ইয়ে ইয়ে। আমার আবার ইয়ে ইয়ে, মিটিং আছে। ইয়ে ইয়ে, চলেন চাচা। চলেন, ইয়ে ইয়ে। বাল্যবন্ধুকে দেইখা আসবেন ইয়ে ইয়ে।’ অত্যন্ত নরম কণ্ঠে কথাগুলো বলে নিজাম। রবিউলের মনে পড়ে ডরাইন্না মোরশেদের কথা। মোরশেদ নিজামের শশুর। রবিউলের বাল্যবন্ধু। সোনাইমুড়ির সবচেয়ে সরল- সহজ ভীত মানুষ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য রবিউলসহ অন্য বন্ধুরা যখন অনুরোধ করছিল, তখন সে মাটিতে বুক লাগিয়ে বলেছিল_ ‘আমিও চাই এই মাটি মুক্ত হোউক। কিন্তুক যুদ্ধে যাইতে আমার ডর লাগে। তোরা যা। আমি দোয়া করমো’। সেই থেকে তার নাম হয় ডরাইন্না মোরশেদ। মোরশেদের সেই বুকে হাত রাখতে খুব ইচ্ছে জাগে রবিউলের। আর কিছু না ভেবেই প্যাডেলে পা রাখে সে। রিক্সা ছুটে যায় সোনামুড়ির দিকে। ঢাকা-সিলেট রোড। দুই পাসে আম- জাম- লিচু- পেঁপে-কাঁঠাল-পেয়ারার বিস্তীর্ণ বাগান। লাল মাটির বুকে ঘন সবুজ ঘাসের ডগায় এখনও লেগে আছে দু’একটি শিশির কণা। যাত্রীর দিকে এক পলক তাকিয়ে আবার ঘাস খেতে শুরু করে রাস্তার পাশে বেঁধে রাখা গরু। সুযোগ বুঝে দৌড় দিয়ে রোড ক্রস করে যায় চৈতন্যা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। স্টলের বাইরে রোদে রাখা বেঞ্চিতে বসে অলস বৃদ্ধরা চুমুক দিচ্ছে ধোয়া উঠা চায়ের কাপে। কেউ কেউ ফুঁ দিচ্ছে ভাঙা ভাপা পিঠার বুকে। তাদের মতোই রবিউলের বয়স। অত্যন্ত শক্ত সামর্থ্য শরীর। উচ্চতায় ছয় ফুট। গায়ের রং তামাটে। মাথায় ঝাঁকরা চুল। এখনও বহাল আছে মুক্তিযুদ্ধকালের দাড়ি। সংসারের ভার ছেলে মেয়ের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছেন সবাই। কেবল পারেনি রবিউল। কে নেবে তার চির কুমার জীবনের দায়িত্ব? রবিউলের আবার মনে পরে ১৯৭১ সালের কথা। ১৫ ডিসেম্বর। আজকের দিনের মতই কন কনে শীত। সকালে সৃষ্টিগড় ক্যাম্পে দৌড়ে এসে এক নিঃশ্বাসে খবরটি বলে দীপ্ত_ ‘রবি কাকা, নিজাম কইছে, গত রাইতে তোমার বুইনেরে লইয়া গেছে পাঞ্জাবিরা। তুমি ধরা না দিলে মাইরা ফালাইব...’। শুনেই রবিউলের সুঠাম দেহে বেড়ে যায় রক্ত চলাচল। তার একমাত্র চাচাত বোন রত্না। নিজেদের বোন না থাকায় রত্নাই তাদের বোন। তাছাড়া রবিউলের মনের মানুষও সে। সেই ছোটবেলা থেকেই তারা এক। প্রায় সর্বজন স্বীকৃত তাদের ভালবাসা। পারিবারিক ভাবেও পাকা হয়ে আছে বিয়ের কথা। এরই মধ্যে কয়েকবার বিয়ের উদ্যোগও নিয়েছিলেন বাপ-চাচারা। কিন্তু রবি-রত্নার এক কথা_ তাদের বিয়ে হবে স্বাধীন বাংলাদেশে। দীপ্তর কথা শুনে কী করবে তা ঠিক ভেবে পায় না রবিউল। হুঙ্কার দিয়ে বেরিয়ে যায় স্টেনগান কাঁধে নিয়ে। তার পথ আগলে রাখতে ব্যর্থ হয় সহযোদ্ধারা। কিছু দূর গিয়ে আবর নিজেই ফিরে আসে আস্তানায়। সবাইকে ডাকে। বলে_ ‘এই অস্ত্রটা দিয়া যাই। আমার জীবনের থাইকা অনেক দামি এখন এই অস্ত্র। ফিরা আইতে পারবো কি না জানি না। মনে রাখিস আর বেশি দিন থাকবো না এই অত্যাচারী পাকিস্তানি। জয় আমাদের হইবোই’। আবারও তার পথ আগলে রাখতে ব্যর্থ হয় সবাই।
স্কুল মাঠে পা রাখতেই রবিউলের দিকে এগিয়ে আসে নিজামের বাবা। পাকিস্তানি মেজরের ফেলে দেয়া ফিল্টার সিগারেটের শেষাংশে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলে_ ‘রবি, তুই আইয়া খুব ভালা করছস। মেজর সাব কইছে_ তুই আইলেই রত্নারে ছাইড়া দিব। আমিও কইছি ইন্তেজার করেন, সংবাদ পাইলেই চইলা আইব রবি। মেজর সাবের লগে তুই মিল্লা যা। দেখবি, এক পলকে গায়েব হইয়া যাইব বেবাক বালা মসিবত’। নিজামের বাবার এসব কথা কিছুই যেন শুনতে পায়না রবিউল। দৃঢ় পদক্ষেপে মেজরের সামনে গিয়ে বুক উঁচু করে দাঁড়ায়। মনেই হয়না সে এখন পাকবাহিনীর ক্যাম্পে। বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে আছে লাল বিড়ালের লেজের মত গোঁফওয়ালা মেজর। চোখে আঁধার কাল চশমা। পরনে শেয়াল রঙের খাকি পোশাক। ‘_হুজুর, এ আদমিকা নাম রবিউল হ্যাঁ’। রবিউলকে মেজরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় নিজামের বাবা। ‘_ইয়েস, রবিউল বহুত সাহসী আদমি। সিপাহী, এরেস্ট হিম, এন্ড চেক হিজ বডি’। পেছনে বেঁধে ফেলা হয় রবিউলের দুই হাত। মুখ খুলে রবিউল _ ‘আমার রত্না কই? এইবার রত্নারে মুক্তি দেও’। মেজরের নির্দেশে স্কুল ঘরের ভিতর থেকে রত্নাকে নিয়ে আসে নিজামের বাবা। রবিউলকে দেখেই রত্নার দু’চোখ বেয়ে আবার নেমে আসে পদ্মার জল। রত্নার দিকে তাকাতেই চোখ বন্ধ হয়ে আসে রবিউলের। ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত রত্নার গায়ের কাপড়, এলোমেলো চুল। গালে, বুকে, ডানায়, পেটে অসংখ্য দাঁতের দাগ। রক্ত জমে জমে কাল হয়ে আছে কোমল গোলাপি শরীর। চৌদ্দ বছরের কিশোরী রত্না যেন চল্লিশ বছরের বৃদ্ধা। ‘মুক্তি কোন্ কোন্ হায়? মুক্তি ক্যাম্প কাঁহা? বুলাও_ পাকিস্তান জিন্দাবাদ। মুক্তি কোন্? মুক্তি ক্যাম্প কাহাঁ? মুক্তি ক্যাম্প কাহাঁ’? এসব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে চেয়ে পাকসেনারা দিনভর অমানুষিক নির্যাতন চালায় রবি-রত্নার উপর। চাবুক ও বুটের আঘাতে বার বার জ্ঞান হারায় রবি-রত্না। কে যেন মাথা চেপে ধরে ঠান্ডা পানির বালটিতে। সামান্য জ্ঞান ফিরে। পানি চায়। ময়লা বদনা থেকে রবির মুখে সামান্য পানি ঢেলে দেয় এই নিজাম। বলে_ ‘রবি চাচা, ইয়ে ইয়ে, কইয়া দেন, আপনেদের ইয়ে ইয়ে ক্যাম্প...।’ দু’জনে সমস্বরে বলে ওঠে_ ‘না। কমুনা। জীবন গেলেও না’। আবার শুরু হয় নির্যাতন। তখন পাকিস্তানি ক্যাম্পে থাকতো এই নিজাম। এতটুকু ছেলে। শেয়ালের বাচ্চার মতই চতুর ভাবে কুঁই কুঁই করে ঘুরে বেড়াত হানাদার ক্যাম্পের এ ঘর ও ঘর। আবার দৌড়ে গিয়ে বসতো মিলিটারি পিকাবের ড্রাইভিং সিটে। শেষ বিকেলে একবার রবিউলের জ্ঞান ফিরলে রত্নার দিকে তাকায়। রত্না নিষ্প্রাণ হয়ে লুটিয়ে পড়ে আছে সবুজ ঘাসে। ময়লা বদনার নাল দিয়ে রবিউলের হা-করা মুখে পানি ডালতে ডালতে নিজাম বলে_ ‘ইয়ে ইয়ে, রবি চাচা, আপনের বুইনে ইয়ে ইয়ে, মইরা গ্যাছে। ইয়ে ইয়ে, ক্যাম্পের কথা কইয়া দেন, নাইলে আপনেও ইয়ে ইয়ে ...’। ‘চুপ কর রাজাকারের ছাও’। রবিউলের সিংহসম ধমক খেয়ে মেজরের ইজি চেয়ারের নিচে গিয়ে চুপ করে বসে থাকে নিজাম। গভীর রাতে আমাদের মুক্তি সেনা ও ভারতীয় শিক সেনাদের যৌথ আক্রমণে নিহত হয় পাকিস্তানি মেজর ও বেশকিছু মিলিটারি। ক্যাম্পে প্রস্থিত হয় মুক্তিবাহীনির নিয়ন্ত্রণ। মিলিটারি ক্যাম্প পরিণত হয় মুক্তি সেনাদের ক্যাম্পে।
১৬ ডিসেম্বর। কুয়াশার চাঁদর ভেদ করে পুবের আকাশে হেসে ওঠে রক্তমাখা সকালের সূর্য। ’জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে দিতে দলে দলে ছুটে আসে গ্রামের নির্যাতিত শিশু-বৃদ্ধ-নারী-পুরুষ। ঝাঁপিয়ে পড়ে বন্দিদের উপর; যেন গণপিটুনি প্রতিযোগিতা। একে একে নিষ্প্রাণ হয়ে যায় এ ক্যাম্পের সব মিলিটারি। দুর্বল ও পিছনে পরা নারী-শিশু-বৃদ্ধরা ক্ষোভে-ঘৃণায় সর্বশক্তি দিয়ে বারবার লাঠি মারে পাক্ মিলিটারিদের মৃতদেহে। নিজামের বাবাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে কয়েকজন মুক্তি সেনা। দেখামাত্র রাজকার রাজাকার বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে জনতা। ক্ষমা প্রার্থনার জন্য মুখ খোলা কিংবা হাত জোড় করার সময়ও পায়নি সেই রাজাকার। কোন ফাঁকে এসে রবিউলের পায়ে ধরে ইয়ে ইয়ে করতে থাকে নিজাম। বাঘ সিংহের মতই তেড়ে আসে সবাই। অবশেষে তাকে রক্ষা করে রবিউল। ধারনা ছিল, নিজাম বড় হলে বুঝতে পারবে তার ভুল। কিন্তু মিথ্যা প্রমাণিত হল সেই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ধারনা।
আজও মেনে নেয়নি নিজাম_ মুক্তি সেনার কৃতিত্ব, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা, আমাদের জাতীয় সংগীত ও বাঙালি জাতির অস্তিত্ব। এখন সে শিয়ালের চেয়ে ধূর্ত, সাপের চেয়ে বিষাক্ত, হায়েনার চেয়েও নিষ্ঠুর। অথচ বাইরে দিয়ে বকের মতই সাদা। কাজ-কর্ম করেনা কিছুই। দিন রাত শুধু রাজনীতি। দেদারছে খরচ করে টাকা। রবিউল ভেবে পায়না, কেমনে কোথায় থেকে আসে তার কাছে এত এত টাকা। বিস্তর জমি, পাকা বাড়ি, মোবাইল ফোন, সবই আছে তার। একেক সময় চালায় একেক রকম মোটর সাইকেল। অথচ দেশ স্বাধীনের আগে রবিউলের মতই প্রায় বিত্তহীন ছিল এই নিজামের বাবা। সোনাইমুড়ি পাহাড়ের কাছাকাছি এসে মুখ খুলে নিজাম_ ‘রবি চাচা, ইয়ে ইয়ে, রিক্সা ঘুরান। ইয়ে ইয়ে, আর যাওয়ার ইয়ে ইয়ে দরকার নাই’। অবাক হয়ে রিক্সা ব্রেক করে রবিউল। জানতে চায় নিজামের সিদ্ধান্ত বদলের কারণ। মোরশেদেরে দেখতে যাইবা না? তুমি যে কইলা সে খুব অসুস্থ’। পায়ের উপর পা তুলে মিটমিট করে হেসে কালো চশমা ঠিক করতে করতে জবাব দেয় নিজামÑ ‘ইয়ে ইয়ে, তা না হলে কি তোমার মত ইয়ে ইয়ে, আদর্শ মুক্তিযোদ্ধার রিক্সায় যাত্রী হইতে পারতো আমার মতন ইয়ে ইয়ে...’। নিজামের কথা শুনে মাথায় আগুন ধরে যায় রবিউলের। কিন্তু মুখে বলেনা কিছুই। রিক্সা ঘুরায়। কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা ১৯৭১ সালের সেই ভুল ও আজকের অপমান। নিজের অজান্তেই বেড়ে যায় রিক্সার গতি। চাঙ্গা হয়ে ওঠে রক্ত। রাগে কাঁপতে থাকে সমস্ত শরীর। রিক্সার হ্যাডেল মনে হয় স্টেনগান। আরো জোরে, আরো জোরে চলছে প্যাডেলে রাখা রবিউলের পা। যেন গুলি ছুড়তে ছুড়তে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সে। একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে পাকিস্তানি মিলিটারি! দখল মুক্ত হচ্ছে দেশ। পা চালায় আরো জোরে! আরো জোরে! আরো ...! হঠাৎ কানে লাগে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের কর্কশ হুইসল। যখন জ্ঞান ফিরে তখন রবিউল আবিষ্কার করে, নিজের অবশ দেহ পড়ে আছে পিচঢালা রাস্তার এক পাশে। প্রায় মৃত সাপের মত খুব কষ্টে সামান্য উঁচু করে মাথা। কালো রাস্তার বুকে লেপটে আছে নিজামের শয়তানি মগজ। এখানে সেখানে পড়ে আছে ছিন্ন ভিন্ন শরীরের হাড়-মাংস। অপলক চেয়ে থাকে রবিউল। যেন এই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় ছিল তার অতন্ত্র চোখ। কিছুক্ষণের মধ্যেই রবিউলের কপাল গড়িয়ে চোখের উপর নেমে আসে মাথার গরম রক্ত। অবরুদ্ধ হয় দৃষ্টি। ৭১-এর গেরিলা যোদ্ধা রবিউল ক্রুলিং করে নিজেকে নিয়ে যায় রাস্তার পাশের সবুজ ঘাসে। জম্মভুমিতে বুক ঠেকিয়ে আকাশের দিকে মুখ তুলে সর্বশক্তি দিয়ে উচ্চারণ করে_ ‘জয় বাংলা’।