এক বিরাট গরু-ছাগলের হাট পরিদর্শন কাহিনী

রম্য রচনা (জুলাই ২০১৪)

মনোয়ার মোকাররম
মোট ভোট ১১ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৪.৭
  • ১৪
  • ৯১
(এই অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের অতি সাধারন ও পরিচিত কোন এক গরুর হাট হইতে লওয়া, কাহারো ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার সহিত মিলিয়া গেলে অবাক হওয়ার কিছু নাই! )



জীবনে প্রথম বার গরু নিয়া লিখিতে বসিয়াছিলাম ক্লাস থ্রি-এর বাংলা পরীক্ষার খাতায়, গরু বিষয়ক রচনা লিখিতে গিয়া। রচনার শুরুটা ছিল এইরকম- গরু একটি গৃহপালিত প্রানী। ইহার চারটি পা,দুইটি চোখ, দুইটি শিং, দুইটি কান, একটি নাক ও একটি লেজ রহিয়াছে। লেজ দিয়া গরু মশা-মাছি তাড়ায়..............।



দ্বিতীয় বার, গরু বিষয়ে লিখিবার ইচ্ছা জাগিল সরেজমিনে আজ এক বিরাট গরু ছাগলের হাট পরিভ্রমন করিবার বদৌলতে।বেলা করিয়া ঘুম থেকে উঠিবার অভ্যাস। ঘুম থেকে উঠিয়া দেখি বেলা ১১.০০ টা বাজে। মাতাশ্রীর মুখে শুনিলাম পিতাশ্রী প্রাতঃরাশ সারিয়াই গরুর সন্ধানে হাট পানে ছুটিয়াছেন। তড়িঘড়ি করিয়া চার টুকরা কেক গলাধকরণ করিয়া হন্তদন্ত হইয়া বাজারের পানে ছুটিলাম। যাইতে যাইতে মনে করিবার চেষ্টা করিলাম, শেষ কবে কখন কোন গরু ছাগলের হাটে গিয়াছিলাম। মনে করিতে পারিলাম না। বুঝিলাম আমার স্মৃতিশক্তি আমার সাথে প্রতারনা করিতেছে (বাংলাদেশের ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারদের অনুকরণে বলিলাম)। এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে গরুর হাটে প্রবেশ করিলাম। প্রবেশ করিয়াইতো চক্ষু চড়কগাছ। যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু গরু আর গরু। ছাগল কোথায়? বুঝিলাম ছাগলরা এখানে মাইনরিটি। অগত্যা ছাগলের খোজ বাদ দিলাম। ছাগলের খোজ করিবার জন্যে তো আর এখানে আসি নাই। কিন্তু একা একা গরুর হাটে কি করিব? পিতাশ্রীকে খুজিয়া বাহির করা কর্তব্য জ্ঞান করিলাম। মুঠোফোনের একটি মাত্র মিসড কল খরচ করিয়া চকিতেই তাহার নিকট উপস্থিত হইলাম। গিয়া দেখি উনি একটি কালো কুচকুচে গরুর পিঠে হাত রাখিয়া দাড়াইয়া আছেন। আমি দূর হইতেই এই অভিনব দৃশ্যখানা আমার সদ্য খরিদকৃত স্যামসাং মোবাইলে ধারন করিয়া লইলাম। অতঃপর শুরু হইল পিতা-পূত্রের গরু খোজা অভিযান, “খোজ-The Search”।



আমি আগেই বলিয়াছি গরুর বাজারে সর্বশেষ কবে গিয়াছি এই ব্যাপারে আমার স্মৃতিশক্তি আমার সাথে প্রতারনা করিতেছে। সুতরাং গরুর বাজার বিষয়ে আমার ধারনা Economics এর ছাত্রের Medical Science বিষয়ক জ্ঞানের মতই মনে হইবে , ইহাই স্বাভাবিক। কিন্তু গরুর বাজারে যেহেতু গিয়াছি, চুপ করিয়া বসিয়া থাকিলে তো আর চলে না। নিজের সক্রিয় ভূমিকা জাহির করিবার বাসনায় কখনো এই গরুর লেজ ধরিয়া হ্যাচকা টান মারিতেছি, তো কখনো ঐ গরুর শিং ধরিয়া টান মারিতেছি। পিতাশ্রীর অনুকরনে বার কয়েক দুই-চারিটি গরুর পশ্চাতদেশে প্রবল বেগে চাপড় মারিলাম। কিন্তু ইহাতে কি পরখ করা হইল, তাহার কিছুই আমার মগজের খুপরির মধ্যে প্রবেশ করিল না। তবে নিশ্চিতভাবেই যে গোটা দুই গরুর মেজাজ বিগড়াইয়া দিয়াছিলাম সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। এর প্রমাণ পাইলাম, যখন দু-একটি গরু শিং উচাইয়া আমাকে আক্রমন করিতে উদ্যত হইল। আমিও সুকৌশলে আমার শরীর খানা কায়দা মত এদিক উদিক ঘুরাইয়া নিজেকে রক্ষা করিলাম।



অবশেষে একটি ধবধবে সাদা গরু আমার মনে ধরিল। লোকজন সাদা মনের মানুষ খোজে আর আমার মনে ধরিল সাদা রঙের গরু। কিন্তু আমার পিতা আমার গরু পছন্দ বিষয়ক রুচিজ্ঞানে অতিশয় ব্যাথিত হইলেন বলিয়া মনে হইল। এবং বলিলেন গরু উৎকৃষ্ট হয় কালো রং-এর। সুতরাং আমি বুঝিলাম যে মনুষ্য জগতের ন্যায় গরু জগতেও বর্ণবাদ প্রথা চালু রহিয়াছে। তবে মনুষ্য জগতের বিপরীত। গরু জগতে সাদা চামড়ার দাম নাই, কালোদের কদর বেশি। ঐ যে ছোটবেলায় পড়িয়াছিলাম - “ কালো গরুর দুধ দিব, দুধ খাবার বাটি দিব”। সাদা গরুর দুধ দিব বলিয়া কোথাও কোন আহবান শুনিয়াছি বলিয়া মনে পড়িল না। নেলসন ম্যান্ডেলা সাহেবের কথা খুব করিয়া মনে পড়িতেছিল।



বাজারে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করিয়া যা বুঝিলাম বাজারে ক্রেতা বিশেষ একটা নাই। চারিদিকে শুধু গরু আর গরুর মালিকগণ হতাশ হইয়া বিচরন করিতেছেন। পিতার মুখে শুনিলাম, আজ গরুর দাম অনেক পড়তির দিকে। পানির দরে গরু বিক্রি হইতেছে। গতবার ঈদের শেষ দিনে গরুর সংকট এবং উচ্চ মূল্যের কথা জনগন মাথায় রাখিয়াছে। একই ভুল তাহারা দুইবার করিবে না। এইবার তাহারা আগেভাগেই গরু খরিদ করিয়া ঘরে তুলিয়াছে। কেহ কেহ আবার ভাগে গরু খরিদ করিয়াছেন। অপরদিকে গরু ব্যাবসায়ীগণও গতবারের কথা ভুলে নাই। তাহারাও গতবারের মত লাভের আশায় ট্রাকে ট্রাকে গরু আনিয়া বাজার বোঝই করিয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু গরু ব্যাবসায়ীদের মতন, বাংলার জনগন যে এইবার আর শেষ দিনের আশায় বসিয়া নাই ! অতএব, Expectations আর Supply – Demand এর মার-প্যাচে ঈদের আগের শেষ দিনে বাজার ক্রেতা শুন্য হইয়া গরুর দাম পড়িয়া গিয়াছে। গরুর বাজার মাকড়শার জালে (Cobweb Model) আটকাইয়া গিয়াছে।



সুতরাং আজকে আমরা ফাকা মাঠে গোল দিব এ বিষয়ে কোন সন্দেহই রহিল না, প্রশ্ন শুধু কয় হালি গোল দিব তাহার। গতকাল যে গরু ৫০ হাজারে বিকিয়াছে আজ তাহা ৩৫-এও বিকিতেছে না। বিক্রেতাদের মাথায় হাত। যাহারা (ক্রেতা) এইবার “আগে গেলে বাঘে খায়” Theory তে পরিয়া লস খাইয়াছেন এবং আজকে বাজার যাচাই করিতে আসিয়াছেন তাহাদের মুখে স্বান্তনা সূচক কথা শুনিলাম- যেহেতু তাহারা গতকাল ন্যায্য দাম দিয়া গরু কিনিয়াছেন সেহেতু তাহাদের কোরবানি হইবে স্বার্থক কোরবানী। আর যাহারা আজকে সস্তায় গরু কিনিবে, তাহাদের কোরবানী হালকা হইয়া যাইবে। আমি ভাবনায় পরিলাম। ফাকা মাঠে গোল দিতে গিয়া না আবার কোরবানী হালকা হইয়া যায় !



হঠাৎ শুনিলাম এক লোক হাক ছাড়িতেছে, এই যে ভাই, এইদিকে আসেন, এইদিকে আসেন, আপেল লইয়া যান, বাউকুল লইয়া যান ! আমার চিত্ত আনন্দে নাচিতে লাগিল। এদিক ওদিক তাকাইয়া আপেল, বাউকুল অনুসন্ধানে ব্যাস্ত হইয়া পড়িলাম। কারন চার টুকরা কেকের কার্যকারিতা ততক্ষনে শেষ হইয়া গিয়াছে।যদি দুই-একটা আপেল কিংবা বাউকুল পেটের ভিতর চালান করিয়া দেওয়া যায় তবে পিতা-পুত্রের ক্ষুধার কিছুটা উপশম হয়। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি। এই আপেল-বাউকুল সেই জিনিস নহে। ইহারা হইতেছে আপেল , বাউকুলের মতন দেখিতে নাদুস নুদুস অস্ট্রেলিয়ান গরু। কিন্তু আমরা সর্বক্ষেত্রে ফরেন মাল পছন্দ করিলেও গরুর বাজারে আমরা বরাবরি স্বদেশী- “স্বদেশী পণ্য, কিনে হোন ধন্য”। অতএব, আপেল-বাউকুল ছাড়িয়া, দেশিকুলের খোজ অব্যহত রাখিলাম।



হঠাৎ মাইক হইতে আওয়াজ আসিল, ক্রেতা সাধারনের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে আমাদের ১ নম্বর কাউন্টার এর নিকট এক বিক্রেতা আকর্ষনীয় অফার দিয়াছেন। একটা তিন লক্ষ টাকার গরু কিনিলে সাথে একটি ৭০ হাজার টাকার গরু একদম ফ্রি। অফার আকর্ষনীয় বটে। কিন্তু আমাদের কেন জানি আকর্ষন করিলনা ! তার চাইতেও আকর্ষনীয় ঘটনা ঘটিল আমাদের ঠিক সামনেই। হঠাৎ এক গরু মূর্ছা গেলো। জ্ঞান হারাইবার আগে – “আমি জ্ঞান হারাব, মরে যাব, বাচাতে পারবেনাকো”- এ জাতীয় কোন সঙ্গীত গাহিয়াছিল কিনা তাহা বলিতে পারি না। তবে তাহাকে বাচানোর চ্যালেঞ্জে মাইক হইতে আবার ঘোষনা আসিল- পশুর ডাক্তার মানিক ভাই ও খোকা ভাই, আপনারা অতি সত্ত্বর ২ নম্বর কাউন্টার এর নিকট চলিয়া আসুন। এইখানে একটি গরু সংকটাপন্ন অবস্থায় রহিয়াছে। গরুর মালিক মাথায় হাত দিয়া বিলাপ করিতেছেন, এই গরু লইয়া আমি কি করিব! চার দিন ধরিয়া কিছু খায় না। না খাইলে কি শরীর ঠিক থাকে। আমি মনে মনে বলিলাম, চাচা, অবলা জীব বলিয়াই রক্ষা। আমাদের যদি এইরূপ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকিবার অবস্থা হইত, তাহা হইলে তো আমরা জন্মের পর হইতেই দুঃশ্চিন্তায় নাওয়া খাওয়া ছাড়িয়া দিতাম ! পশুর ডাক্তার মানিক ভাই আসিল। গরুর সেবা শুশ্রুষা চলিল। আমরা সামনে অগ্রসর হইলাম।



অবশেষে পড়ন্ত বিকেলে আমার পিতার একটি কালো গরু পছন্দ হইল। দরকষাকষির এক পর্যায়ে বিক্রেতা যে দামে গরুটি বিক্রয় করিতে মোটামুটি প্রস্তুত বলিয়া বুঝিলাম, তাহাতে খরিদ করিলেও আমরা অনায়াসে ১ হালি গোল দিতে পারিতাম। কিন্তু আমরা ভাবিলাম ফাকা মাঠেই যেহেতু গোল দিব ১ হালি কেন? ১ ডজনে মন্দ কি ! তিনি আরো এক ধাপ নামাইয়া দাম বলিলেন। আমি বলিলাম বিক্রেতার দামে খরিদ করিলেও আমরাই লাভবান হইব। ক্রেতাকেই লোকসানে পড়িতে হইবে। Supply-Demand এর মারপ্যাচে বিক্রেতা এখন Loss Minimizing পন্থা অবলম্বন করিয়াছেন। কিন্তু আমার পিতা Consumer Surplus উত্তরোত্তর বাড়াইবার নেশায় মাতিয়াছেন !



আর এইদিকে আমার মাথায় ঘুরপাক খাইতেছিল, ০৮-১০-১২ হাজার টাকা লস দিয়া গরু বিক্রয় করিবার কি দরকার ? ঈদের পর এই গরু কাটিয়া কেজি দরে বিক্রয় করিলেওতো তারা লাভবান হইবে। এখন গরু বিক্রি না করিলেওতো চলে। পিতাশ্রী বুঝাইলেন, এখন গরু ফিরাইয়া লইলে পরিবহন খরচ এবং তৎপরবর্তী লালন-পালনেও প্রচুর খরচ পড়িবে। অর্থাৎ লাভের গুড় পিপড়াতেই খাইবে। যেই লাউ সেই কদু। অতএব গরু বিক্রয় ছাড়া গত্যন্তর নাই। বগা ফান্দে পড়িয়াছে। আমি বুঝিলাম, আমার পিতা অর্থনীতি নামক শাস্ত্র পাঠ না করিয়াও অর্থশাস্ত্রের বিদ্যাবুদ্ধি ভালোই রাখেন।



সারা বাজার এ মাথা ও মাথা করিতে করিতে আমার পা ব্যাথা হইয়া গেলো। কিন্তু পিতাশ্রীর আর গরু পছন্দ হয় না। বুঝিতে পারিতেছি তাহার পছন্দ সেই কালো গরুটিতে আটকাইয়া আছে। উহাই তিনি খরিদ করিবেন। তবু গরু দেখিয়া চলিয়াছেন। আর দোষ ধরিয়া বেড়াইতেছেন। কোনটার শিং ভাল লাগেনাতো কোনটার মাথা সুন্দর না। কোনটার মাথা সুন্দর তো এর আবার মাথার সাথে পশ্চাতদেশের গঠন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গরুর অগ্র-পশ্চাত সমান থাকা নাকি বাঞ্ছনীয় ! আমি বলিলাম, মাথা আর পশ্চাতদেশের গঠন প্রণালী দিয়া আমরা কি করিব? আমরা গরু জবাই করিয়া ধর্ম মোতাবেক সেই গরুর গোশত ভক্ষন করিব। তিনি বলিলেন সবকিছুতেই সৌন্দর্য্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এইবার আমার মন খুশীতে পূর্ণ হইল। কিছুটা আশ্বস্থও হইলাম। এইখানে বলিয়া রাখা বাঞ্ছনীয় যে আমার বিবাহের কথাবার্তা চলিতেছে এবং সেই মোতাবেক পাত্রী দেখাও অব্যহত রহিয়াছে !



সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। ততক্ষনে বিক্রেতাদের কেউ কেউ শোর তুলিয়াছেন লোকাসান দিয়া তাহারা গরু বিক্রয় করিবেন না। গরু বিক্রয় বন্ধ রাখিবেন। প্রয়োজনে গরু বাড়িতে লইয়া যাইবেন। দুই-একজন হিসেব করা শুরু করিলেন, প্রতি কেজি মাংশের দর কত ইতাদি ইত্যাদি। এক কান, দুই কান করিয়া মোটামুটি অল্প সময়েই খবর পুরা বাজারে রাষ্ট্র হইয়া গেলো। Syndication এর নমুনা চাক্ষুস দেখিতে পাইলাম। অগত্যা অবস্থা বেগতিক দেখিয়া আমরা সেই গরুর মালিকের নিকট ধর্না দিলাম। সে এইবার গো ধরিয়া বসিলো। কিছুতেই পূর্বের দামের চাইতে এক পয়সা কম দামেও গরু বেচিবেনা। Market Trend বিবেচনা করিয়া পিতাশ্রী বিক্রেতার দামেই উহা তৎক্ষনাৎ খরিদ করিয়া লইলেন। একডজন গোল দেওয়া সম্ভব হইলনা, তবে গোটা দুএক গোল দিতে পারিয়াছি এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তবে এ কথাও সত্যি যে সময়ের সাথে সাথে সম্ভাব্য গোলের ব্যবধান আনুপাতিক হারে কমিয়াছে।



অবশেষে গরুর দন্ত পরীক্ষা হইল। গরুর মুখ খোলা হইল। গরু তাহার বিকশিত দন্তে এক বিকট দর্শন হাসি আমাদিগকে উপহার দিল। গরুটি আমাদের হইয়া গেলো আর আমার পিতা গরুর দড়ি হাতে নিয়া স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিলেন। আমার স্যামসাং মোবাইলের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আরেকবার জ্বলিয়া উঠিল।



পথিমধ্যে আমি গরুটির জন্যে একখানা সুদৃশ্য জরির মালা খরিদ করিয়া উহার গলায় পরাইয়া দিলাম। টাকার বিনিময়ে একজন খন্ডকালীন রাখাল জুটিল। সে এবং আমার পিতা গরু ঠেলিয়া লইয়া যাইতেছে। আর চকচকে গরুর মালা গলায় গরুটিকে দেখিয়া আমার কিসের কথা যেন মনে পড়িয়াও পড়িতেছিল না। থাক সে কথা। জোর করিয়া মনে করিবার দরকার নাই।



এ লেখা শেষ করিয়া যখন ঘুমাইবার প্রস্তুতি লইতেছি তখনো চারিপাশে কেমন যেন একটা গো-গন্ধ উড়াউড়ি করিতেছিল। ভাবিলাম ঘুমন্ত মাকে ডাকিয়া বলি, “গরুর গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই, মাগো আমার লেবু-গন্ধের এয়ার ফ্রেশনার কই?”



সেই সাহস হইলো না। অগত্যা বাতি নিভাইয়া ঘুমাইয়া পড়িলাম। সারা রাত স্বপ্নে গরু দেখিব এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইফতেখার হাসান ২০১৪ এর লেখা ২০২০ সালেও পড়ছি..ভালোই লাগলো
ইফতেখার হাসান ২০১৪ এর লেখা ২০২০ সালেও পড়ছি..ভালোই লাগলো
জোহরা উম্মে হাসান আন্তরিক অভিনন্দন !
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
শামীম খান অভিনন্দন । ভাল থাকবেন।
রীতা রায় মিঠু অভিনন্দন রইলো।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু অনেক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।
রোদের ছায়া অভিননদন রইলো.
আপেল মাহমুদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রসালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ লেখককে।

১৫ ডিসেম্বর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ২০ টি

সমন্বিত স্কোর

৪.৭

বিচারক স্কোরঃ ২.৫ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ২.২ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪