আমার আম্মা

মা (মে ২০১১)

linta
  • ২৭
  • 0
  • ৫৬
কোনো গল্প পড়ার চেয়ে লিখতেই বেশি ভালো লাগে আমার। অন্য কোনো বিষয় না, আমি সব সময় ভালোবাসা বিষয়ক জিনিশপত্র নিয়েই ঘাটাঘাটি বেশী করি। কিন্তু মা নিয়ে এবারই প্রথম লেখা। মা শব্দটা শুনলেই সব কিছু কিভাবে যেন থেমে যায়। অদ্ভুত এক শব্দ মা। কোনো চিন্তা ভাবনা ছাড়া লিখতে বসলে যা হয়। কথা খুঁজে পাওয়া যায় না সময় মত। সুন্দর একটা সুচনাও দিতে পারলাম না মা’কে নিয়ে।
আমার মা সবার মা থেকে একদমই আলাদা না। আমরা বান্ধবীরা যখন কথা বলি আমাদের নিজেদের মা সম্পর্কে তখন দেখা যায় যে ওদের মা’র সাথে আমার মা’র কোনো পার্থক্য নেই। সবার একই অভিযোগ, আমার মা আমাকে স্বাধীনতা দিতে চায় না। নিজের আচলের তলে বেধে রাখতে চায় আজীবন। সব কাজ সে করে দিতে চায়, সাহায্য করতে চায়। অথচ তারা নিজেরা কিন্তু যতটুকু আনন্দ করা যেত সেই সময় তারা ঠিকই করেছে। অথচ আমাদের বেলায় যত হাবিজাবি নিয়ম কানুন। তারা কি কখনোও বুঝবে না যে আমরা বড় হয়েছি, আমাদের খারাপ ভালো বোঝার বয়স হয়েছে, তাদের চোখে কি আমরা এই জীবনে বড় হবো না?? এই প্রশ্ন আমার মত হাজার সন্তানদের?
অবশ্য কিছু কিছু সময় আমি নিজেই বড় হতে চাইনা। আম্মার অতি আদর আর প্রশ্রয় যে যাই বলুক না কেন কিছু কিছু জিনিশ আম্মা না করে দিলে ভালো লাগে না। যেমন আমার চুল বেঁধে দেয়া। এই কাজটা কখনোই নিজের করতে ইচ্ছা করে না। আম্মা ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে চুল বাধাতে ভালোও লাগে না। বড় আপু মেঝ আপু এর জন্য অনেক বকাঝকা করলেও আমি এবং আমার মা কোনো কথায় কান না দিয়েই আমাদের মত চলতে থাকি। তারপর প্রতিদিন সকালে ক্লাসে যাওয়ার আগে আম্মা কাপড় বের না করে দিলে আমি কি পড়ে বাইরে যাবো তা নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ি। তাই প্রতিদিনই আম্মা সকাল বেলা আমার কাপড় বের করে রেখে দেয়। আবার মাঝে মাঝে আম্মার উপর রাগও হয়, আম্মার সাথে ঝগড়াও হয়। এইতো সেদিনও পড়ালেখা বাদ দিয়ে ইংরেজি সিনেমা দেখার জন্য কত বকা খেলাম। আমাকে সাধারণত কেউ বকা দেয় না দেখে অল্পতেই খুব কষ্ট পাই। কান্নাকাটি করে অবস্থা খারাপ। রাগ করে রাতে ভাত খাবো না দেখে তাড়াতাড়ি শুয়ে পরলাম। ভাত টেবিলে দিয়েই আম্মা আমাকে ধরে আদর করে টেবিলে নিয়ে গেলো, তারপর আমি নবাবের বেটি ভাত খেলাম। এসব আমার আর আম্মার প্রতিদিনের কাজ।
যখন খুব ভালো করি পরীক্ষায় তখন আম্মার চোখে খুশীতে পানি চলে আসে। যখন এস.এস.সি.তে এ+ পাই তখন আম্মা আমাকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। ওই দৃশ্যটা হয়তোবা আমি আমার জীবনে কখনই ভুলতে পারবো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এইচ.এস.সি.তে খুব খারাপ ফলাফল করি। আম্মাও কাঁদে আমিও কাঁদি। এক বছর পর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই এবং প্রথম সেমিস্টারে ৩.৭২ পাই, যেটা আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জি.পি.এ.। আমার লক্ষ্য আমি পরের সেমিস্টারগুলোতে আরোও ভালো করে প্রথম হবো ইনশাল্লাহ।
আমার আম্মাকে আবার সেই সুখের কান্নাটা কাদাতে চাই। যেনো আমার আম্মা মাথা উঁচু করে বলতে পারে যে তার মেয়েও কোনো অংশে কম নয়।
কি লিখতে চাইলাম আর কি লিখে ফেললাম। আমি এমনি। আমার মায়ের আহ্লাদী মেয়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
linta dhonnobad ronil & zubayer vai...
রনীল ভালো লাগল।। চালিয়ে যান...
শিশির সিক্ত পল্লব তাই না কি? খুব ভাল তো...দোয়া করি অনেক বড় প্রকৌশলী হও....
linta pollob vaia ami jagannath university te cse te porchi....
শিশির সিক্ত পল্লব পরের সেমিস্টারগুলোতে আরোও ভালো করে প্রথম হও....এই দোয়া রইল....ও হ্যা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ?
linta dhonnobad shobai k...amar jonno doa korben...
Akther Hossain (আকাশ) Your thinking not different to others, but ur innocent girl. pls continue.
linta ধন্যবাদ সবাইকে। আমার জন্য দোয়া করবেন।

০২ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪