নিষিদ্ধ

স্বাধীনতা (মার্চ ২০১৩)

চতুর্মাত্রিক পরিচয়
  • ১৯
  • ৮৪
লোকটি সকালে তার মার্বেল খেলারত ৩/৪ বছরের শিশুটিকে আদর করার সময় মাকে শুনিয়ে বলেছিল, ‘আমার ছেলেকে আমি ডাক্তারি পড়াবো’। মা বলল, ‘এতো আদর ভালো না’। আর কোন বাচ্চা নেওয়ার ইচ্ছা লোকটির নেই। একমাত্র বাচ্চাটিকে মানুষের মতো মানুষ করতে পারলেই তার জীবনের সার্থকতা।

শিশুটি তাদের বিল্ডিংয়ের ছাদে তার মতো আরেকটি শিশুকে বেলুন ফুলিয়ে খেলতে দেখে তাকে একটা বেলুন কিনে দেওয়ার জন্যে মাকে বলল। মা তাকে কেনে দেবে বলে আশ্বস্ত করল।

লোকটি (অফিসের কাজ সেরে ফেরার সময়) ডিসপেনসারি থেকে এক প্যাকেট কনডম কেনে বাসায় ফিরল।

পরদিন সকালে শিশুটি মায়ের ব্যাগ হতে মার্বেল বের করার সময় একপিচ কনডম হাতে নিয়ে নিল। প্যাকেটটির ভেতরে খাবোরের কিছু আছে মনে করে কাজটা সে করল। (প্যাকেটটি ছিঁড়ে) বেলুন মনে করে সে ছাদে নিয়ে ফোলাতে লাগল।

ছাদে কাপড় শোকাতে দিতে গিয়ে মা তা দেখে বলল, ‘সুমন, এটা কোথায় পেলে’? শিশুটি বলল, ‘মা, তোমার ব্যাগে, মার্বেল খুঁজতে গিয়ে পেলাম’। মা তার হাত থেকে তা কেড়ে নিয়ে বলল, ‘ইচ্, এগুলো খেলনা নয়, এগুলো দিয়ে পিঁপড়া মারা হয়’।

মা বাসায় এসে বাকি পিচগুলো শিশুটির নাগালের বাইরে লুকিয়ে রাখল।

শিশুটি ঘরে এসে মায়ের ব্যাগে আর কোন কনডম পেলো না। সে দৌড়ে গিয়ে মাকে বলল, ‘আম্মু, ঐ পিঁপড়া মারার বেলুনগুলো তোমার ব্যাগ থেকে কে নিয়ে গেছে! আব্বুও ঘরে নাই’। মা বলল, ‘চোরাইয়া নিয়ে গেছে’।

শিশুটি বিকেলে পাশের বাসার ঐ শিশুটিকে চুলের বিনিময়ে এক বেলুনবিক্রেতার কাছ থেকে বেলুন কিনতে দেখেছিল। সে বাসার ময়লার ঝুড়িতে মায়ের চূল খুঁজতে গিয়েছিল। একগাদা চুল পেল, সাথে পেল একটা স্যাঁতস্যাঁতে কনডম। মাকে ডেকে বলল, ‘আম্মু, চোরাইয়া একটা বেলুন ঝুড়িতে ফেলে গেছে, দেখে যাও’। এই বলে সে ঐ চুলগুলো নিয়ে বেলুনবিক্রেতার উদ্দেশে দৌড় দিল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুমন লেখাটা গল্প হিসেবে দানা বাধেনি। অনেকটা কৌতুক টাইপের হয়েছে। যেমন গল্পে চরিত্রের নামটা অবশ্য কাম্য এখানে শিশু, বাবা, মা কারোরই নাম নেই, আবার গল্পে একটা মেসেজ থাকে অথবা নিদেন পক্ষে পরিণতি সেটাও এখানে নেই। ভবিষ্যতে ভাল গল্প পড়ার আশায় থাকলাম।
এই গল্পের সেরা মন্তব্য এটাই। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) ছোট একটি গল্প ভালই হয়েছে। তবে................?
মোঃ কবির হোসেন ভাই ভাল লাগলো. ধন্যবাদ.
মোঃ সাইফুল্লাহ ব্যতিক্রম ধারার ছোটগল্প। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সাইফুল্লাহ ভাই।
হান্নান শাহ ব্যতিক্রম গল্প। সুড়সুড়ি রয়েছে।
হান্নান ভাই ধন্যবাদ।
তাপসকিরণ রায় গল্পের কাহিনীর বিষয়বস্তু ধরতে আসুবিধা হোল--যাই হোক,এটাই বলবো--জমল না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বিদ্যা টোকাই ব্যতিক্রম ধারার ছোটগল্প। ভালো লাগলো।
রনীল হতে হতেও শেষ পর্যন্ত হলনা। আপনার স্টাইলটা ভালো, মনে হচ্ছিল গল্পের শেষে বিশেষ কিছু পাবো, পেলামনা। এটুকুর আশা পাঠক তো করতেই পারে ...
ছোটগল্পের চরিত্র বলে কথা। ধন্যবাদ।
ঝরা এইটা লিখারই প্রয়োজন ছিলনা।সময় নষ্ট।

০৫ নভেম্বর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪