এক অনুজ বৃক্ষ সহোদর

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

আফজালুর rahman
  • ১৩
  • ১৪
আমাদের বাবা তার ছাত্রদের পড়াতেন ইতিহাস
আর আমাদের দিতেন দর্শনের পাঠ
সে সুত্রেই আবাল্য বৃক্ষসমুদয় হয়ে ওঠেছে আমাদের আত্মীয়।

একাত্তুরের দশমাস পাকিদের তাড়া খাওয়া অনেক পরিবারের সাথে
আমারাও গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলাম
আমার অগ্রজ তখন জেলা স্কুলের ছাত্রনিবাস ছাড়ার সময়
ব্যাগের ভেতর বই পত্রের সাথে নিয়েএসেছিলো এক মেহগনি শিশু
বাড়ির অন্দরে বৃদ্ধ কাঠালগাছটি যেখানে ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়েছিলো
সেখানটায় সে মেহগনি শিশুটি লাগিয়ে দিয়েছিলো।

সে তল্লাটে তখন সে-ই প্রথম বিদেশী অতিথি
দাদুমা কন্টক আবেষ্টনী দিয়ে সযতনে তাকে ডেকেদিলেন-
কেননা সুতীয়া পার হয়ে হানাদাররা গ্রামে ডুকেগেলে
আমরা বাড়িঘর ছেড়ে আরো প্রান্তিক জনপদে ছুটে যাই।

এ ভাবেই মরণপণ যুদ্ধ গেল
স্বাধীনতার সৌর চার দশকও পেড়িয়ে গেল
আমাদের পূর্ব-পুরূষের ভিটের রাষ্ট্রশাসনের তিন পর্বের সমবয়সী
বাড়িটাও ততদিনে বুড়ো হতশ্রী।

নুতন বাড়ি বানাবার আয়োজন নিয়ে
আমরা একদিন পৈতৃক ভিটেয় গিয়ে হতবাক-
বাড়ির অন্দরের সেই মেহগনি শিশুটিকে দেখি
আকাশ ছুতে গিয়ে সে
বিশাল উচুতে মাথা তুলে দাড়িয়েছে।

বাড়ির সবাই বল্লেন, এই মেহগনি দিয়েই হবে নুতন বাড়ির
সব দরজা জানালা, আর যাকিছু আসবাব
আমরা বলি না, ও আমাদের বৃক্ষ সহোদর-
আমাদের জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও
আকাশে মাথা তুলে জানান দেবে
সে আমাদের অনুজ বৃক্ষ সহোদর্।।

মৈমনসিং, ২১ কার্তিক ১৪১৯
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # সুন্দর ।।
সূর্য দারুন লাগলো, স্মৃতিময় অতীত জুড়ে থাকা মেহগনি দাঁড়িয়ে থাকুক মাথা তুলে....
সালেহ মাহমুদ UNION ALL SELECT NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL,NULL# বাহ চমৎকার কবিতা। প্রথম কবিতায়ই মাৎ করে দিলেন। ধন্যবাদ।
গাজী তারেক আজিজ আকাশ ছুতে গিয়ে সে বিশাল উচুতে মাথা তুলে দাড়িয়েছে। ------ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সব সময়।
রোদের ছায়া একদম ভিন্ন আমেজ পেলাম আপনার কবিতায় ......গাছ তো আমাদের পরম বন্ধু জানাই ছিল এখন জানলাম সহোদর হিসাবেও ভাবা যায় । স্বাধীনতার সৌর চার দশকও পেড়িয়ে গেল এখানে সৌর শব্দটি কোন অর্থে এসেছে বললে বুঝতে সুবিধা হতো । প্রথম লাইন এ তার =তাঁর হলে ভালো হতো ।একাত্তুরের=একাত্তর , ডেকেদিলেন = ঢেকে দিলেন । আচ্ছা কবিতাটি বিষয় ভিত্তিক কি?
আহমেদ সাবের দারুণ ভাবে মুগ্ধ হলাম কবিতাটা পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের লাগানো গাছ চার দশক পরে আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন গর্বিত বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে - "অনুজ বৃক্ষ সহোদর"। অসাধারণ একটা কবিতা। তবে দুঃখ পেলাম, গত ১২ দিনে কবিতাটায় মাত্র ৭ জন মন্তব্য করেছেন। এমন উঁচু মানের কবিতা আরো বেশী দৃষ্টি আকর্ষণের দাবী রাখে। কিছু বানান কবির নজর এড়িয়ে গেছে - কাঠালগাছটি (কাঁঠালগাছটি), চার দশকও পেড়িয়ে ( পেরিয়ে) গেল, বিশাল উচুতে (উঁচুতে) মাথা তুলে দাড়িয়েছে (দাঁড়িয়েছে), তাকে ডেকেদিলেন (ঢেকে দিলেন), গ্রামে ডুকে (ঢুকে) গেলে, পূর্ব-পুরূষের (পূর্ব-পুরুষের), নুতন (নূতন) । গল্প-কবিতায় কবিকে স্বাগতম।
মিলন বনিক খুব সুন্দর অগ্রজ সহোদর...টিমটা ভালো লাগলো...শুভ কামনা কবি....
জোসনা মজুমদার তোর খবর কি? বিদেশ থেকে কবে আসছিস। বাসায় আসিস। তোর মা কেমন আছে জানাস?
তাপসকিরণ রায় শুরুর দিকটা গল্পের মত থাকলেও শেষ দিকটা ভালো লাগলো.প্রতিযোগিতাকে সরিয়ে রেখে ভাবনাকে মেনে নিয়ে বলতে হয় ভালো,ভালো কবিতা.
মো: আশরাফুল ইসলাম অনেক সুন্দর কবিতা. দারুন লিখেছেন. সাফল্য কামনা করি.

০৫ নভেম্বর - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪