শাওন অমাবশ্যা দেশে ; ১০ নং মহা বিপদ সংকেত! নিকষ কালো আঁধার চারদিকে, অশনি মাঝরাত অতি কাছেই, থম মেরে আছে প্রকৃতি- কু গাইছে মনে; যেনো কী এক অজানা শঙ্কায়!! মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকায় আর, কড় কড়াৎ বজ্র নিনাদ! আচমকা বয়ে যায় গা শির শির করা মৃত্যু শীতল হাওয়া। গাছের পাতা দোলে- ভয়ংকর সরসর করে শব্দ হয়; ঝটিকা বাতাসে আতংকিত হয় ডালপালা। নিশ্চল, নিথর পড়ে আছে কিছু মানুষ; স্রষ্টার বিচারে। মৃতবৎ আরো অনেকে, এরা মানুষ নয়; জনগণ ও নয়, Peoples Republic এর সংবিধানে। ওরা নাকি বিরোধী দল? বিরোধী? দেশের নয় কিন্তু; আরও ভিন্ন একটা রাজনৈতিক দলের অবশ্য, যারা বারবার ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনে আসীন হয়, চতুর্দিকে যাদের পাইক-পেয়াদা, মন্ত্রী-সান্ত্রী আর নাম না জানা বহুবিধ মারণাস্ত্র নিয়ে একদল পোষা পাংশু মুখের নরদানব রয়।। নির্দেশ অপেক্ষায় থাকে সঙ্গিন উচিয়ে, আদেশ পেলেই ঝটপট গুলি, গ্রেনেড ছুঁড়ে। শব বাহী গাড়িতো থাকেই দাঁড়িয়ে; সদ্য লাশের শতচ্ছিন্ন অবশিষ্টাংশ নেয়ার অপেক্ষায়। যেহেতু, সাদা পোশাক, কালো পোশাকের অসুর প্রশাসন বিবেক হারিয়ে! জনগণ মনে হুতাসন, অস্থির, চঞ্চল; হাপিয়ে উঠেছে পালিয়ে পালিয়ে। অনেকেতো চৌদ্দশিকের স্থায়ী বাসিন্দা, আদৌ মুক্তি আছে কী ইহকালে জানা নাই। তাই, মৃত্যু অপেক্ষায় ভরসা হারিয়ে।। রাত ক্রমেই গভীর হতে গভীর হচ্ছে; অসংখ্য গৃহে আঁধার, কবরের নিরবতা সেখানে। শোকে গ্রানাইট পাথরের মতো জমে গেছে দেশবাসী। সামনে শঙ্কা অবিনাশী। কী না কী হয়? শুধুই আতংক, শুধুই ভয়! এই অচলাবস্থা কী দূর হবার নয়? এ দেশবাসী কী বুঝবেনা তা কোনোদিন? এই ঘোর অমানিশা কী হবেনা শেষ? আলোয় আলোয় ঝলমলিয়ে উঠবেনা এ প্রিয় মাতৃভুমি? আর পরস্পর বিবাদ হিংসা ভুলে- বাসবেনা ভালো একে অপরে? প্রেমের মিলন হয়ে সেখানে সমাধীতেই রবে শ্লেষ-বিদ্বেষ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
সমসাময়িক বিষয়ের উপর লেখা একটি ভাল কবিতা ! শুভেচ্ছা রইল মাইনুদ্দিন ভাই ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।