বিমূর্ত এই রাত জ্যোৎস্নার নিঃশব্দ বৃষ্টিতে নিমগ্ন, বুঝিবা অরুণিমার চ্ছটায় নিশাবসানে হবেই হবে অবসান অস্থির সময়ের অশান্ত কাল । তন্দ্রাহরনী সময় গ্রাস করেছে অনন্য মৃত্তিকা । যেনদী বয়ে চলে পৃথিবীর পথে মায়াময় পলি মাটির শরীর বেয়ে যে বাতাস ছয়টি প্রাকৃতিক নিষ্ঠায় উচ্ছল করে উন্মত্ত করে সন্ধি করে বায়ুতে উর্মিতে তটের বালুকায় । অচ্ছেদ্য নিয়মের নিরন্তর খেলা সময়ের নিখুঁত গাঁথুনি গেঁথে চলে প্রেম অভিসারের লীলাময় কাল নয়ন মেলে দেখি বাধনের অপরূপ তেজ জন্ম জন্মান্তরের নির্ধারিত ঠিকানা সে এক অনন্য মৃত্তিকা । সাতচল্লিশ হাজার বর্গমাইলে ঘেরা এক বদ্বীপ যেখানে পাহাড় কথা কয় ঝর্ণাধারায় পলাশ কৃষ্ণচূড়ার ফোটার কাল বলে দেয় এখানে এই রঙের ধারা বয়েছিল হৃৎপিণ্ড খুড়ে মাতৃত্বের অঙ্গীকার প্রতিষ্ঠায় । করোটির অনাবিষ্কৃত কুটির থেকে অনুভব কণ্ঠের কারুময়তায় বিকাশের এক অনবদ্য মাধ্যম মুখের বলন – “ভাষা” তার প্রতিষ্ঠায় । এই পলিমাটি যাকে যুদ্ধ করে পেতে হোয়েছিল মুখের বলনের মত অবশ্য পাওয়া অধিকার তাকে অনন্য না বলে কি নামে ডাকবো ? কবির কাছেও নেই তার নাম সে শুধু তারই তুলনা । সেইতো শাশ্বত অনন্য মৃত্তিকা । অদৃশ্য কোন শক্তি আকাশ সংস্কৃতির বিজাতীয় বলনে ভাসিয়ে দিচ্ছে নব-প্রজন্ম ভেসে যাচ্ছে অ আ ক খ গড্ডালিকার স্রোতে । চিরদিনের যুদ্ধে লিপ্ত রক্তমাখা ভাষা ষাট-বরষের পরে আজও অব্দি এও এক অনন্য বিষ্ময়ী মৃত্তিকা ।
পাদটীকা ------ পরবাসের পরমানন্দময় সময় পরম নিষ্ঠায় উপভোগ করি । নিউ-ইয়ারে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আতশবাজি, সামান্য কদিনের গরমে হাপিত্যেশ করে ছুটে যাই বনে-জঙ্গলে ক্যাম্পিং এ, পা বাড়ালেই প্রশান্ত মহাসাগরের অশান্ত উর্মির অবিরাম বিসর্জন বালুকা বেলায়, সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ মানদণ্ড হাতের মুঠোয় । পোড়া মন তবুও পারেনা শেকড় গজাতে । শালুকের মত স্রোতের শ্যাওলার মত ডিশটিল ওয়াটারে ভেসে থাকা যেন । বাহিরে চকচকে আমি ভেতরে হিমছড়ির কান্না, বিলাসের আভরণের ভেতর উচ্ছৃঙ্খল স্বভূমির হাহাকার, নিশ্চিন্ত প্রতিদিনের অন্তরালে অনিশ্চিত পলিমাটির সন্ত্রাসময় কাল । শ্যাওলার মত বেঁচে থাকা এই কি জীবন ? নিঃশ্বাস নিলেই কি বেঁচে থাকা বলে ? একটিবার আমি নীলগিরির চুড়ায় দাড়িয়ে বলতে চাই “দেখো স্বদেশ, দেখো মা আমি ফিরে এসেছি আমি ফিরে আসবো বলেছিলাম - এখন আমার নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকার গন্ধ আছে আছে জীবনের স্পন্দন কণ্ঠে বাধা উতকন্ঠিত জীবনের সম্পদ অতুল প্রতুল হৃদয়ের ভাষা - হাসি আর কান্নার অবিরল শত কথার কথকতায় । “
২২ জানুয়ারি ২০১৩
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া
সুন্দর কথা , সুন্দর ভাব ..এখানে কবিতা কি দুটো ? পাদটীকা র পর যা লেখা হয়েছে সেটাও কি কবিতা ? তেমনি মনে হলো ! তাহলে তো ভালই এক সাথে দুটি কবিতা পরে ফেললাম ....সুন্দর কবিতা শুধু প্রথম পর্বের বলন শব্দটি একটু কেমন যেন লাগলো ...মুখের বলন , বিজাতীয় বলনে , মুখের বলনের এই জায়গাগুলোর কথা বলছি ...
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ
মাটির চেয়ে খাঁটি আর কিছু নেই । জীবনে মাটি, মরণে মাটি । আর মা ও মাটির ভাষা বাংলা ভাষা , বাংলা ভাষা । আপনার আঁকা কাব্য ছবিটি সুন্দর , খুব সুন্দর। সাধুবাদ মাহমুদা রুনু ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
শ্যাওলার মত বেঁচে থাকা এই কি জীবন ?
নিঃশ্বাস নিলেই কি বেঁচে থাকা বলে ? ............// অনেক ভাল লাগলো...কবিতায় বেশ কিছু সুন্দর চিত্র খুজে পেলাম....রুনু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ......
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।