একরাশ আঁধারের মাঝে হাঁটতে হাঁটতে এক ফালি আলোর পথ খুঁজে বেড়াই, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ার ধূসর প্রান্তর- উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরুর অচেনা পথে আজো খুঁজে ফিরি এক ফালি চাঁদের বিকিরণ; যা দূর করতে পারে জাতির ভয়াবহ বিভীষণ। সভ্যতা থেকে সভ্যতার ক্রমশ বিবর্তন; কতটুকু হয়েছে দেশের আদল পরিবর্তন? এটা শুধু সভ্যতার দেয়ালে মাথা ঠুকে মরা- নিপীড়িত জনতার আত্নজিজ্ঞাসাই নয়, অজস্র আঘাতে হৃদয়ের রক্তক্ষরণও বটে। তবে কি এভাবেই ধেই ধেই করে চলবে- রুগ্ন জাতির নিদারুণ অনিশ্চিত ভবিষ্যত? দিন যায় দিন আসে, দিন বদলের পালায়; বদলে যাও, বদলে দাও শ্লোগান পেরেছি- কি করতে মানবের মননশীলতার পরিবতন? ত্রাস-লোভ-কামনা-বাসনা আর ঈর্ষাপরায়ন হয়ে আজো আমরা ঘোর আধাঁরের মাঝে পথ চলি, নিরপরাধ বিশ্বজিতদের নাশ করে। স্বপ্নাক্রান্ত জনতা যুগ যুগ স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে বার বার আশায় বুক বাঁধে, তবুও যদি আসে- বাংলায় একটি আচমকা আমূল পরিবর্তন; জনতার আমরণ দাবি গুলো আজ কেবলই ধোঁয়াশা-কুয়াশা হয়ে বাংলার প্রকৃতিতে, দীর্ঘ:শ্বাস রুপে বিস্তার করছে টেকনাফ থেকে- তেঁতুলিয়ার শহর-গ্রামময় প্রতিটি প্রান্তর; ধুঁকে ধুঁকে মরছে কি তাই জনতার অন্তর? তবে কি জাতির বিবেক আজ শুধুই প্রশ্নবিদ্ধ? এই কি তবে আমার ৩০ লক্ষ দামাল প্রাণের- আত্নহুতিতে অর্জিত স্বাধীন সার্ব-ভৌম দেশ; রাজনৈতিক যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে যুগের পর যুগ এভাবেই হবে কি তবে তিলে তিলে নি:শেষ? যদি তাই হয় তবে ১৬ কোটি বাঙ্গালীর শির- উচু করে গর্জে উঠার এখনই আসু প্রয়োজন, নয়তো একরাশ আঁধারের গর্ভে লীন হতে হতে ফিরে আসবে আবার প্রাগৈতিহাসিক বিভীষণ; যা জাতির নৈতিক চরিত্র হরণ করে সদাই- একে অন্যের অনিষ্ট সাধনে হবে ঈর্ষাপরায়ন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী
আজিম ভাই আপনার আগের কবিতা গুলো থেকে এটি অবশ্যই উপরের দিকে। শেলখার গতি আরো বাড়বে যদি অন্তর ঢেলে দিন কবিতার জন্য। কবিতা শুধু কিছু শব্দে বাধতে না চেয়ে মনের সাবলীল কথা দিয়ে বাধুন। কবিতা সুপার হয়েছে (আগের তুলনায়)। একটা ছোট্ট সংশোধনঃ "বদলে যাও, বদলে দাও শ্লোগান পেরেছি-" এখানে "পেরেছি"র স্থলে "পেয়েছি" হবে মনে হয়। শুভকামনা। পুরুষ্কারের দিকে মন দেবেন না, লেখার দিকে মন দেবেন। তাহলে অনেক কিছুই পালটে যাবে, পুরুষ্কার একদিন নিজেই আসবে। আমি এখানে একবছর টানা প্রাতি সংখ্যা লিখে প্রথম পুরুষ্কার পেয়েছিলাম। আমি শুধু শিখতে চেয়েছিলাম। এই শেখাটা আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে।
ধন্যবাদ। যত্ন নিয়ে এই ব্লগে কোন লাভ নেই। এখানে বিজয়ী হয় দলের লোকজন। ভাল লেখায় কোন বিজয়ী হয় না। যার প্রমানি একই ব্যক্তিকে গল্প ও কবিতা দুটি ইভেন্টেই বিজয়ী করা হয়েছে। যে ব্যক্তি আগেও বিজয়ী হয়েছে। এখানে পাঠক ভোটে যে মার্ক পায় তা হচ্ছে যার যত বেশী নেটওয়ার্ক আছে সে আর বিচারক এর অপশনটি শুধু দলের লোকজনদেরকেই বার বার বেশী নাম্বার দিয়ে বিজয়ী ঘোষনা করে। যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের চেয়ে অনেক ভাল লেখাও ছিল কিন্তু বিচারক তা মার্ক দিয়ে কার্পন্য করেছেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।