অন্ধাকার মিডিয়া জগৎ ও বিতর্কিত মেয়েটি ১

অন্ধকার (জুন ২০১৩)

ওসমান সজীব
  • 0
  • ৫৮
ছোট বেলা থেকে দীপার স্বপ্ন ছিল অভিনেএী হবে।অনেক দৌড় ঝাপের পর এক নাটক নির্মাতার পরিচয় হয়।সামনে তাদের নতুন নাটকের কাজ হবে।তাকে অপেক্ষা করতে বলে।অনেক মাস পর নির্মাতা সহকারি ফোন দেয় কোথায় শুটিং হবে ঠিকানা বলে দেয়। পরে দিন সময় মত আসতে বলে।তার চরিএ কাজের মেয়ের।
তার রাতে ঘুম আসে না।কখন সকাল হবে।তার উওেজনা কে দেখে।সব বন্ধুদের খবরটা জানায়।এতো বছরের লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে ভাবতেই চোখে জল আসে।কিছুক্ষন পর পর ঘড়ি দেখে রাত শেষ হয় না।অবশেষে সকাল হলো।সময় মত শুটিং স্পটে হাজির হলো।
জনপ্রিয় এক বয়স্ক অভিনেতা কে দীপা সালাম দেয়।অভিনেতা মাথা নাড়ে। আমি আপনার বিশাল বড় ভক্ত।কি কড়া হয়? বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। এখানে কি করছ?আমার জীবনের প্রথম শুটিং।
একদিন নায়িকা হবো এটা আমার স্বপ্ন।আসো ছায়ায় বসে কথা বলি। দীপা বুড়ো পাশাপাশি বসে আছে। মিডিয়া জগৎ খুব খারাপ জায়গায় বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। কেউ কে বিশ্বাস করবো না। তুমি আমার ভক্ত বলে দেখি তোমার জন্য কি করা যায়। আমি এত বড় তারকা কিন্তু আমার একা থাকতে হয়। আমার কার্ড রাখো।আমি এত বড় ফ্লাটে একা থাকি যদি তুমি আসো ভালো সময় কাটবে। আর তোমার অভিনয় নিয়ে কথা বলা যাবে। যে কোন সময় চলে আসবে তোমার জন্য আমর দরজা খোলা।দিনে কাজে ব্যস্ত থাকি। তবে রাতে খুব একা লাগে।

তোমাকে আমি নায়িকা করে ছাড়বো।দীপার শুটিং শেষ।চলে যাওয়ার আগে সহকারির সাথে কথা বললো।কিভাবে ভাল চরিএ পেতে পারে।পরিচালক অভিনতা অভিনেএীদের সাথে ভাব জমাতে হবে তাকে বুদ্ধি দিলো।দীপা তাই করলো।
দীপা এক রাতে বুড়োর ফ্লাটে যায়। বুড়ো খুব অবাক হয় । তাঁর ভক্ত ও নায়িকা হবে বলে শরীর দিতে এসেছে। দীপায় কে হাত ধরে শোবার রুমে নিয়ে যায়। দীপা যেন জান সে কি করছে। তাঁর মাজে কোন অস্তিরতা নেই। যেন একজন পতিতা।

দীপা শরীর জড়িয়ে গল্প করছে আজ খুশি করে দিতে পারলে নায়িকা বনে জাবে।দীপার কে চুমু তে চুমুতে দুই গাল ভরিয়ে দিচ্ছে।দীপার দেহে যৌবন ফেটে পড়ছে। এই মুহূর্তে কেউ সময় নষ্ট করতে চায় না। যদি ভালোবাসায় কমতি হয়। দীপার স্তন ধরে নাড়াচাড়া করছে। বুড়ো বলল দীপা এই বয়সে স্তন হবে টসটসে লিচুর মত। বাহির হবে দেখে টানটান ভিতরতা হবে নরম।কিন্তু তোমার টা দেখে ঝুলে গেছে।বয় ফ্রেন্ড বুঝি খুব আদর করে প্রতিদিন। দীপা চুপ । দীপা মনে মনে বলল যা করবি কর না এত কথা কস কেন। লম্পট আর বাচ্চা। দীপার স্তন বাচ্চা শিশুর মত ব্যাবহার করল। দীপা জানে বুড়দের নিজে যাবার মুরোদ নেই। নিস্তেজ অঙ্গটা যুবতি কে কাছে পেয়ে কিছু করার ক্ষমতা নেই। নাড়াচাড়া আর চোষা চুষি এই পর্যন্ত।

দীপা কে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছে বাড়ি থেকে। ছেলে পাগল । কিন্তু বাবার অনেক টাকা। দীপার বাবার বন্ধুর ছেলে। অনেক টাকা দায় আছে দীপার বাবার। যেই বাড়িতে থাকে সেটাও বন্ধক আছে বন্ধুর কাছে। দীপা বিয়ে করলে সব সমস্যা সমাধান হয়। কিন্তু জেনে পাগল এর সাথে বিয়ে করতে যায়। দীপার বাবা মা দীপা কে অনেক বুঝিয়ে সে। নারীর ভালোবাসা পেলে এক দিন ভালো হয়ে উঠবে।দীপা বিয়ে করে তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চায় না। তাঁর নায়িকা হতেই হবে।অভিনেতার কথা মত বড় ফিল্ম ডিরেক্টর টম খান এর কাছে যায়।
টম খান অফিসে একা বসে ছিল। দীপা কে তাঁর কাছে বসায়। আসলে মিডিয়া জগৎ খুব খারাপ আবার খুব ভাল জায়গা।যে যেইভাবে নিতে পারে।যারা নেগেটিভ বিষয়কে পজেটিভ ভাবে নিতে পারে তারাই উপরে উঠে যায়।আর যারা পারে না তারা এজগৎ থেকে হারিয়ে যায়।তোমার মত সুন্দর মেয়ের বাংলাদেশে অভাব নেই।সবাই কি সুযোগ পায়?পায় না।মিডিয়াতে একটা মুলনীতি আছে"sacrifice করো carriar গড়। নির্মাতা তাকে আরো খোলমেলা ভাবে কথা বুঝাতে চেষ্টা করছে। অভিনয় জানলে ও না ভালো মডেল বা নায়িকা হতে হলে ভালো শরীর থাকতে হয়। যাতে দর্শক ও পরিচালক দের টানতে পারো। মিডিয়াতে কেও কারো আপন নয় আবার সবাই সবার আপন।নতুনদের সবাই আকৃষ্ট করতে চায় চুম্বুকের মত।কেও অন্ধকার গলিতে হোঁচট খায় কেও উতরে যায়।একবার sacrifice করো ভাগ্য সহায় হলে অনেক উপরে উঠে যাবে।যার ভাগ্য সহায় হয় না বার বার sacrifice করতে হয় ইচ্ছায় অনিচ্ছায়।টম খান দীপার বুকের ওড়না গলায় জড়িয়ে দেয়।আর বলে এখন তোমার আসল রুপ ফুটে উঠেছে।টিভিতে দেখনা মডেলরা ছোট ড্রেস পড়ে বিচারকদের সামনে হাজির হয় এটা কেন?

মিডিয়াতে কাজ করতে চাইলে যে কোন ড্রেসে মানিয়ে নিতে হবে বিচারকরা এটাই বুঝায়।ছোট ছোট ড্রেস বুক টান করে মিডিয়ায় চলতে হবে।যে যা চইবে তা দিয়ে খুশি করতে হবে।প্রয়োজনে রুপের ডালি সাজিয়ে দিতে হবে।টমের
হাত ধীরে ধীরে দীপার বুক রাখে। দীপা স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সব সময় নিজে কে প্রস্তুত রাখে।দিপার বুকে টম মুখ রাখে। কত বছর যেনে এই মুখ দিয়ে কোন কিছু প্রবেশ করেনি। দীপার সারা শরীরে হাত চলতে লাগে। দীপা নিজের যৌবন মেলে ধরেছে। প্রতি নারী তো চায় এক জন পুরুষ তাঁর দেহে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিক। দেহের ও তো একটা চাহিদা আছে। সুখ পাওয়া যাবে সাথে নায়িকা। খোলা মাঠে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই ভালোবাসার ঝড় থামলো।কিভাবে মিডিয়া তে প্রতিষ্ঠা হতে হয় দীপার দায়িত্ব নিল টম খান। দীপার সাথে ছবির চুক্তি হয় ।দিনের পর দিন দীপা টম কে তাঁর শরীর দিতে লাগে। কখনো অফিসে হোটেলে কখনও গাড়িতে।
দীপা বিয়ে তে রাজি হয়নি । বাড়ি ছেড়া তাই টম এর ফ্লাটে থাকে।দীপা কে সবার কাছে পরিচয় করানোর জন্য কৌশল করে। টম নিজে দীপার ফটোশুট করে। বিভিন্ন আঙ্গেলে ব্রা পড়া দেহের ছবি তুলে। অন লাইনে তা ছড়িয়ে দেয়। কিছু দিনের মধ্যে দেশে দীপা কে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় সবার মুখে দীপার কথা। তরুন সমাজ দীপার রগরগে ছবি গুলো ভালো ভাবে নেয়। দীপার অশ্লীল ছবি নিয়ে সুশিল সমাজ প্রতিবাদ করে। দীপা রাস্তায় বের হলে।সবাই কানাকানি করে। আগে এক জন পুরুষ তাকে রাতে কাছে চাইতো। এখন হাজার হাজার পুরুষ চায়। আলোচনার কেন্দবিন্ধুতে দীপা ।

এটা দীপা তাঁর সফলতা হিসেবে দেখছে। দীপা যা চেয়েছিল তা কিছু হলে ও পূরণ হয়েছে। এই সুবাদে ছোট প্রএিকার ইন্টারভিঊ জুটে যায়।
সাংবাদিকঃ আপানার এই অশ্লীল ছবি সারা দেশে সয়লাব।আপনার কি মতামত ?
দিপাঃ যে যা বলুক যৌনতা ও শিল্পের পর্যায় পড়ে। আমি শিল্পি তাই ভালভাবে দেখছি বিষয়টা কে।
সাংবাদিকঃকেন অশ্লীল ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিলেন?
দিপাঃ আমি নিজে কে শিল্পি মনে করো। শিল্পের প্রয়োজনে আরও নগ্ন হতে হলে আমি তাই করবো।
সাংবাদিকঃএভাবে কি জন প্রিয় হওয়া যায়?
দীপাঃ হা।তাই তো আপনি আমার কাছে এসেছেন।
সাংবাদিকঃকিন্তু দেশে আরও মডেল আছে তাঁরা তো আপনার মত?
দীপাঃ আপনি বুঝলেন কি করে? তাঁরা মডেল হবার জন্য নিজের শরীর দেয় না।আমার প্রকাশ হয়েছে কিন্তু অন্য মডেল হয়না।
মডেল হতে হলে অন্য পুরুষ কে শরীর ভোগ করতে দিতে হবে।
সাংবাদিকঃআপনি সবার কথা বুঝলেন কিভাবে?
দিপাঃ আমাকে দিয়ে। না হলে কোন মডেল কে তো কেউ কখনও টিভি তে দেখি না।হঠৎ প্রএিকায় এত সুন্দর সুন্দর মডেলদের আনাগোনা কেন?
তাঁর ই প্রমান। সবাই মনে করো এক রাতের ব্যাপার ই ত।কেউ দেখবে না কিন্তু তাতে ক্যারিয়ার হয়ে যায়।
সব মডেলরাই লোভী কাম বাসনার পুরুষ কে বয় ফ্রেন্ড ভেবে নেয়। বয় ফ্রেন্ড কে শরীর দিতে হয়। দেহের সুখের জন্য।এখানে দিলে জন প্রিয় হয়া যায়।
অসংখ্যা বিজ্ঞাপন নাটকে ডাক আসে।
সাংবাদিকঃধন্যবাদ
দিপাঃআপনাকেউ।
দীপার স্বপ্নের ছবি মুক্তি পায়। ব্যপক ব্যবসাসফল হয়।দীপা এখন সব থেকে আলোচিত নায়িকা।

বিভিন্ন প্রএিকায় চ্যানেলে দীপার ব্যপক উপস্থিতি।দীপার অনেক দিনের স্বপ্ন সফল হল। দীপা দেশের বড় স্টার। লাইভ শোতে সে কিভাবে মিডিয়া আসলো জানতে চাইলেো?আমাদের ভার্সিটিতে নাটকের শুটং হচ্ছে আমার বন্ধু এসে বললো।আমি শুটিং দেখতে গিয়ে বিপদে পড়লাম।সেই নাটকের পরিচালক(টম খান) তার প্রথম ছবি তেরি করবে।আমাকে নায়িকা করতে চায়।আমার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে বাসায় চলে যায়।আমার মা বাবা কিছুতেই রাজি হয় না।শুধু পা ধরাটা বাকি ছিল।দুই তিন বছর ঘোরাঘুরির পড় বাবা মা রাজি হয়।পরের গল্পটা আপনাদের সবার জানা।
দীপা টের পায় তাঁর শরীর নতুন প্রাণের অস্তিত্ব।সে মা হতে চলেছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। টম খান বিদেশ থেকে আসলে সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রথম পর্ব এখানে সমাপ্ত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
F.I. JEWEL N/A # অজানা অনেক কথা গল্পে চলে এসেছে । সুন্দর ও চমৎকার । বিবিন্ন প্রকার চমকের কুৎসিত রুপ এতে ফুটে উঠেছে ।।
মিলন বনিক গল্পটা ভালো ছিল...ভাবনাটাও সুন্দর...কিন্তু বাক্যগুলো আরো একটু রিভিউ করলে মনে হয় আরো ভালো হত....
সূর্য N/A গল্পের গতির সাথে বাক্যগুলো একটু পিছিয়ে পড়েছে। একটা কথা ঠিক "প্রকাশ হলেই পাপ, গোপনে নিষ্পাপ" তার পরও মিডিয়াতে মন্দের জেনারেলাইজেসনটা মানার মতো না। দীপাদের মতো রাতারাতি খ্যাতি পাওয়ার ইচ্ছেধারীদের অন্ধকার দিকের গল্প ভালো লাগলো।
তাপসকিরণ রায় সত্যি কথা বলতে কি গল্পের ধারাবহ এক আধ জাগায় ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে আমার অন্তত মনে হয়েছে।হঠাৎ খোলা শরীরের বর্ণনামূলক ব্যাপারটা ক্রমশ ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলে ভাল হত।আর এখানে গল্পটি পর্বক্রমে লেখা হলে প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না।ভোটের অপশান কোন কিছু না থাকাই ভাল ছিল।
এশরার লতিফ প্রাঞ্জল বর্ণনা, সুন্দর এগুচ্ছে গল্পটি। তবে গল্পে একটা জেনারেলাইজেশন আছে যে মিডিয়ার সব মেয়েরাই বোধ হয় এমন-এটা মানতে পারলাম না। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সৈয়দ আহমেদ হাবিব গল্পে কমেন্ট করাটা অনুচিত হবে কেননা আমি লিখতে পারিনা, তবুও কিঞ্চিত শেয়ার করলাম, একটু বেশী খোলামেলা বর্ণনা ছিল, গল্পের বিষয়বস্তু আমাদের বর্তমান সময় এর প্রেক্ষাপটে খুবই প্রাসংগিক
Lutful Bari Panna সাহিত্য কিংবা সাহিত্যরস নিয়ে নানা মুনির নানা মত। আমি হয়ত একটু রক্ষণশীল। যে ছবিটা উঠে এসছে তা আমাদের সমাজেরই এক অন্ধকার বাস্তব। অংকনটি দুর্দান্ত। তবে বর্ননাগুলো আরো একটু পোশাক পড়ানো যেত বোধ হয়। এই ছবিটাই পুরোপুরি বোঝানোও যেত বোধ হয়। যদিও তর্কে যাব না, মঞ্জু সরকার, আলাউদ্দিন আল আজাদের মত বিখ্যাত লেখকদেরও ব্যাপক খোলামেলা লেখা আছে।
রাজিব হাসান খুব দ্রুত ট্রেন চলেছে......তাই যাত্রীরা হয়তো কিছুটা শঙ্কা বোধ করবে! আরও পরিচ্ছন্ন হতে পারত।

১৯ এপ্রিল - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী