সন্তানদের সব সত্য জানতে নেই

পরিবার (এপ্রিল ২০১৩)

ওসমান সজীব
  • ৪৪
বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান রিমা। কলেজ পড়ুয়া জেদী মেয়ে। যা জেদ ধরে তাই করবে। এই বয়েসটা আবেগ খুব বেশি কাজ করে। কিছুটা রাগ বা অভিমানে জীবনের অনেক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। তাই আত্মহত্যার প্রবণতাটা বেশি। হয়তো এর জন্য রিমার সব জেদ মেনে নেয় তার বাবা মা । কিছু দিন ধরে একটা মহিলা তাদের বাসায় আসা যাওয়া করে। রিমাকে দেখলেই কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়। মহিলাটা কে জিজ্ঞাস করলে প্রতিবার রিমার মা বাবা বিব্রত বোধ করত। রিমার প্রচন্ড জেদের এক পর্যায় জানতে পারে মহিলাটি তার প্রথম মা।
সুখের সংসারটা নিথর হয়ে যায়। আচমকা এক ঝড় সুখ তছনছ করে দিয়ে গেল। সত্যটা না জানাই ভাল ছিল রিমা নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করে। মানুষ কিছু দিন না খেয়ে থাকলে ক্ষুদ্রার্ত চেহারাটা যেমন করুণ দেখায় ঠিক তেমনি তিন জনের চেহারায় করুণ চিত্র ভেসে উঠেছে। কেন তার বাবা প্রথম মাকে ছেড়ে দিলো? কেন মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত করল? সত্য জানার জন্য রিমা আরো উওোজিত হয়ে যায়। পাগলের মত ব্যবহার শুরু করতে থাকে। বিবেকের কাঠগড়ায় তার বাবা। অতীত এভাবে বর্তমানে এসে ধরা দিবে রিমার বাবা বুঝতে পাড়েনি।
চিপাচাপা গলি দিয়ে রিমা ও তার বাবা হেঁটে যাচ্ছে। রিমা জিজ্ঞাস করে বাবা মা কোথায়।?। গলির মাথার শেষে একটা বড় গেট ছিল। অনেক মহিলা পুরুষ সেখানে কথা বলছে। রিমা এবার বুঝতে পেড়েছে সে কোথায় এসেছে। তার মা যে একজন পতিতা তার বুঝতে দেরি হল না। সে অনড় যত বড় সত্যি হোক না কেন তার মোকাবেলা করবে। একটু ঘুরে তাকাতেই রিমা স্তব্ধ হয়ে যায়। তার মা অসভ্য ভাষা এক ছেলের সাথে কথা বলছে। টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। রিমা তার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। পৃথীবির নির্মমতা কতটা ভয়ংকর হতে পাড়ে তাকে নিজ চোখে দেখতে হল। রিমাকে তার মা দেখতে পায়। দৌড়ে এসে মা ও মেয়ে গলা জড়িয়ে কাঁদতে থাকে। এ কান্না শেষ হবার নয়......
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তাপসকিরণ রায় সার সংক্ষেপ বলে একটি কথা আছে--অনেকটা সে মত কিছু পেলাম বলে মনে হল।তবু ভাল লাগার সুর আছে।ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন সুন্দর একটা কাহিনী, কিন্তু খুব সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। তবুও ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।
এফ, আই , জুয়েল # এক অন্যরকম ভাবনার অনবদ্য এক গল্প । অনেক সুন্দর । ।।
সুমন এতটুকু গল্পে দুই দুইটা টুইস্ট, ১) রিমার মা আসলে তার আপন মা নন ২) রিমার মা পতিতা। তার পর ও গল্পের বিশ্বাস যোগ্যতার খাতিরে গল্পটায় রিমার আসল মা সম্পর্কে কিছু জানানোর ছিল। রিমার মায়ের সাথে বাবার সম্পর্ক কিভাবে হলো, আবার ভেঙ্গেই বা গেল কেনো ইত্যাদি। যাক গল্পটা বেশ ভালই লাগল।
মিলন বনিক অসম্ভব সুন্দর একটা থিম...গল্পের বিস্তারটা আরো বাড়তে পারত...ঘটনাটা কেমন যেন কাট কাট হয়ে গেছে....ভালো লাগলো...
এশরার লতিফ ধাক্কা দেয়ার মতই গল্প। ভালো লাগলো। দু একটি তথ্য অজানা রয়ে গেলো (রিমাকে কি দত্তক নেয়া হয়েছিল নাকি ও বাবার সাথে রক্ত সম্পর্কে যুক্ত)।
রিমাকে কি দত্তক নেয়া হয়নি আপন মেয়ে
মোঃ কবির হোসেন ওসমান সজীব ভাই আপনার গল্পটি আমার কাছে মোটামুত ভাল লেগেছে. ধন্যবাদ.
ইয়াসির আরাফাত আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা খুব সহজে বোঝাতে পেরেছেন . ধনবাদ .

১৯ এপ্রিল - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী