সখি এবং সখা দুই বান্ধবী। এদের মধ্যে সখি খুব সুন্দর এবং সখা কিছুটা কুৎসিত ধরণের। তবে তারা একে অপরের সাথে সবসময়ই লেগে থাকে। কেউ কাউকে ছাড়া কিছুই করতে চায় না এবং করতেও পারে না। এই সখা, আয় নদীর দ্বারে হাঁটতে যাব। আজ বিকালটা অনেক সুন্দর। না রে সখি আমি যেতে পারব না। তুই জানিস আমি নদীর দ্বারে যেতে পছন্দ করি না। তারপরও তুই আমাকে জোর করে নিয়ে যাচ। তকে দেখে ছেলেরা মজা পায়, আনন্দ করে। আমাকে দেখলে ছেলেরা পালাতে চায় এবং নিরানন্দ বোধ করে। সুতরাং আমাকে না নেওয়াই ভাল। তুই একাই যা। তাহলে দেখবি ছেলেরা কি করে। তর স্বভাব কখনো ভাল হবে না। সবসময় নিজেকে খাট মনে করিস। এরকম ভাবার কোন কারণ নেই। তুই আফ্রিকার মানুষ থেকে কুৎসিত না। আফ্রিকার রানীরে দেখেছিস, কি বিশ্রী। তুই ঐখানে গেলে সবচেয়ে সুন্দরী হতি। নিজেকে এত অসুন্দর মনে করিস না। আমার কাছে তকে অনেক সুন্দর লাগে। তাছাড়া তকে ছাড়া আমি কোথাও গিয়েছি। আয় তাড়াতাড়ি আয়। তকে নিয়ে আসলেই পারা যায় না। তুই না। ঐ দেখ সখা ছেলেটা কেমন হ্যাঁ করে তাকিয়ে আছে। আমার মনে হয় তর দিকেই ছেলেটা তাকিয়ে আছে। দেখ সখি। তুই সুন্দর বলে কাউকে এরকম অপমান করার মানে হয় না। যাক বাবা। কাকে কি বলি। এই তইু এরকম করিস কেন। ছেলেটা তর দিকেই তাকিয়ে আছে। আয় জিজ্ঞেস করে আসি। দেখ সখি। পাগলামি করিস না। মেয়েরা ছেলেদের কিছু জিজ্ঞেস করতে কখনো শুনেছিস। তুই যদি শুনে না থাকিস তাহলে আমার সাথে এসে প্রমাণ সহকারে শুনে রাখ। এই ছেলে এরকম ড্যাবড্যাব করে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে আছ কেন। জি না হে। আমি কবে মেয়েদের দিকে তাকালাম। কবে না। এখন। এই কয়েক মিনিট আগে। কি বলেন। মেয়েদের দিকে তাকাতেই পারি না। তাও আপনাদের মত মেয়েদের দিকে তাকাব। কি বলতে চাও। আমাদের মত মেয়েদের মানে। ওরে বাবা। আপনাদের সাথে কথায় পারব না। আমি বলছি, আপনারা অনেক সুন্দর। মানে হচ্ছে আমি কাল মেয়েদের দিকেই তাকাতে পারি না। এরকম সুন্দর মেয়েদের দিকে তাকাব কি ভাবে। ভালই শিখেছেন। দেখেন কি করি। ঠিক আছে। মানছি আপনাদের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। এখন আমাকে কি করতে হবে। মানবেন কেন। আপনি না তাকালে। মেয়েদের বেশি ভয় পাই বলে। দেখেন না। আমার অনিচ্ছা সত্ত্বে¡ও আমাকে কথা বলতে হচ্ছে। এই ছোকরা কি বললি। আমরা তর সাথে ইচ্ছে করে জোর করে কথা বলছি। ঠিক আছে। আমার ভুল হয়েছে। আমি বারবারই মানছি। এখন আমি যাই। না দাঁড়া। বলতো, আমাদের মধ্যে তকে কার ভাল লাগে। উনাকে। তাই নাকি। কেন বলবি। কারণ হচ্ছে উনি খুবই ভদ্র। দেখেন না এখন পর্যন্ত একটা কথাও বলেনি। ঠিক আছে। তুই যা। দেখলি সখা। তুই যে নিজেকে কুৎসিত মনে করিস মানুষ তকে কি ভাবে। ছেলেটা কি বলে গেল শুনছিস। সখি, তুই আমাকে ভালবাসিস এটা আমি জানি। আমাকে প্রমাণ দেখাতে হবে না। এই যা। এই মেয়েটা যে কি। সবসময় নেগেটিভ চিন্তা করবে। পজিটিভ কোন চিন্তা মাথাই আসে না। একে নিয়ে যে কি করি। একে নিয়ে কিছুই করতে হবে না। এখন একে নিয়ে বাসায় গেলেই হবে। তুই এরকম কেন বলতে পারবি। সবসময়ই এরকম করিস। দেখবি আমার চেয়ে তর অনেক ভাল বিয়ে হবে। ভাল সংসার হবে। বাচ্চা কাচ্চা হবে। তুই আমার চেয়ে অনেক সুখী হবি। সখি, আমি জানি তুই খুব ভাল অভিনয় করতে পারিস। দয়া করে অন্তত আমার সাথে অভিনয় করিস না। আমি অনেক কষ্ট পাই। এখানে বস। তকে কয়েকটা কথা বলি। কাউকে বলিস না। তুই আমার সাথে ছোট বেলা থেকেই আছিস। তারপরও তুই আমাকে কিছুই চিনতে পারস নাই। এই সব কি। আমি বাসায় চলে যাই। আল্লাহই জানে তর কি হল। বসতে বলছি না। শুন। আমি অনেক সুন্দর এটা সবাই জানে। ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমার দিকেই সবার নজর। কিছু বোঝার আগেই অঘটন হয়ে যায়। আমার খালাত ভাইটিকে তুই চিনিস। সেই আমার সর্বনাশটা করে। এখন সে আমাকে বিয়ে করবে না। কারণ আত্মীয়র মাঝে বিয়ে করা সে পছন্দ করে না। ওর মা ও নাকি রাজি হবে না। তাকে আমি জিজ্ঞেস করি, তাহলে সে আমাকে সর্বনাশ করল কেন। সে বলে, সুন্দরী মেয়ে হলে নাকি খালাত ভাইদের কিছু হক থাকে। সে তার হক আদায় করেছে। তুই চিন্তা কর। কি রকম মন মানসিকতা হলে এই কথা বলা সম্ভব। এরপর ও বলবি তর থেকে আমি অনেক ভাল আছি। জানিস আমি প্রতি রাতে কাঁদি। কেন আমাকে সৃষ্টিকর্তা এত সুন্দর করে পাঠিয়েছেন। আমার অনেক দুঃখ। তুই অনেক আনন্দে আছিস। সখি সরি। তর এ অবস্থা হয়েছে আমাকে কোনদিন বললি না কেন। বললেই কি হত। তুই কি কিছু করতে পারতি। না। তুই আমার বিপদে আপদে সবজায়গায় এগিয়ে আছিস। আমি তর জন্য কিছু করতে না পারলেও মানসিকভাবে সান্ত্বনা দিতে পারতাম না। যাক ঐ সব কথা। নতুন একটা কথা শুন। তুই যখন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাস তখন কিন্তু তকে সর্তক থাকতে হয় না। আমার জানিস, অনেক সর্তক থাকতে হয়। ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেছি। ফুফুাত ভাই সারাদিন আমার পিছু ছাড়ে না। বুঝিসত সে কি চায়। আমি তাকে সবসময়ই অবহেলা করে আসছি। রাতের বেলায় সে আমার ঘরে হাজির। বুঝছিস ত, সে কি করতে চায়। চিৎকার দিতে পারি না তাহলে কলঙ্ক লেগে যাবে। অনেক কষ্টে নিজেকে মুক্ত করি। এগুলো যদি মা খালাদের কাছে বলিস তাহলে এরা হয়ত উড়িয়ে দিবে। এখন দেখ চিন্তা করে। সুন্দরী মেয়েদের অবস্থা কি। এরা যেখানেই যায় না কেন এদের পিছে পিপড়া গুলো লেগেই থাকবে। কতক্ষণ পিপড়াগুলোকে তাড়ানো যায়। একবার না একবার খাপে ধরা খেতেই হয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ফেব্রুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।