রঙের বাজার

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

বিন আরফান.
  • ১৫০
  • ৬১
।। ১।।
পয়লা বৈশাখ। বসন্তী রঙের শাড়ি, খোপায় গাজড়া ফুলের মালা, খয়রি টিপ, ঠোটে খয়রি বর্ডার দিয়ে লাল লিপস্টিক আর হলুদ-গোলাপি জোতা পড়ে নববর্ষকে বরণ করতে হতে মেহেদী, পায়ে আলতা আর রঙধনুর সাজে বাসা থেকে বের হলাম।
কাটাখালি আসতেই রঙের ছিটাছিটি। ঢোলকের তাকদুম তাকদুম আওয়াজে পাখির কিচির মিচির, সকলের মাতাল নৃত্যে পায়ে আলতা পড়ে ঝিমিয়ে থাকলাম না। আমিও যোগ দিলাম।
অন্যের চোখে কেমন লাগছ জানিনা। নিজেকে নিজের ভালই লাগছে।
শান্তি পরশ দিতে মেঘ গুচ্ছ সূর্যটাকে আড়াল করে ছায়ায় ঘিরে আছে প্রকৃতিটাকে। ৰণে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ছিটিয়ে আকাশটা যেন মজা নিচ্ছে ভরা যৌবন থেকে। বসন্তী রঙের শাড়িটা শত রঙের ছিটায় ময়ূরের পারে মত পেখম খুলে ফুটে আছে।
বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালী নারী পুরুষকে নতুন করে বেরে উঠার আর সুন্দর করে জীবন সাজানোর স্বপ্ন দেখায়। সুখ দুঃখগুলোকে একাকার করে এক অন্যের মধ্যে বিলীন করে দেয়।
হেসে খেলে কখন যে মেলায় চলে এসেছি বুঝতেই পারিনি। রঙের তুলিতে গালে আলপনা এঁকে ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছি ঐ দূর গগন। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের দু'হাত ধরে হাওয়ায় উড়ায়ে ভোন ভোন করে ঘুরাতেই আচলটা নিচে পড়ে গেল। বুকের দিকে তাকিয়ে আমিই মুগ্ধ হই অন্যের অনুভ্থতি আর কী বলব। লাটে চড়া, চড়কি ঘুরা, বেলুন ফুটিয়ে বিকট শব্দ করা, কাঁধে কাঁধে হাত রেখে একটু কোমর দোলানো ভারি মজা। গানের মঞ্চ থেকে ভেসে আসা মেলায় যাইরে ... শব্দে নিজেই নৃত্য শিল্পী হয়ে যাওয়া, বান্ধবীরা একটু উপরে উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া কী যে আনন্দ এই অনুভ্থতি অ্য েবুঝানোর মত নয়।

ফিরতে দেরী হবে অনুমান করে ভাইয়াকে ফোন লাগালাম। সেভ কর ছিল নাম্বারটা। কে তা খোঁজে ! মুখসত্দ ডিজিট টিপলাম। সেন্ট বাটনে টিপ, এক সেকেন্ড রিংটোনও বেঁজেছে। তাৎৰণিক কেটে দিলাম। কারণ ভাইয়ার নাম ভেঁেস আসে নি। হয়তো একটা ডিজিট ভুল হয়েছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। মনটা মাতাল হয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে গেছে। যা দেখি, যা শুনি সবই ভাল লাগে। পাগলা হাওয়ার মত বৈশাখি ঝড় মনের পিন্দীপকে জ্বালাচ্ছে-নিভাচ্ছে। ভাইয়াকে আর ফোন করবনা। যা হয় হোক। না হয় একটু বকবে। তার চেয়ে বেশীতো নয়।
গানের মঞ্চের সামনে প্রচুর হৈহুলস্নর। ঠেলা ধাক্কা খেতে খেতে কখনযে ভিরের ভিতর ঠুকে বেুঝতে পারলাম না। বায়োস্কোপ খেলয় যত না আনন্দ তার অধিক আনন্দ পাচ্ছি যুবক ছেলে মেয়েদের জামা খোলে উপরে উড়িয়ে নাঁচা আর শিল্পির সাথে কণ্ঠ মিলানো। আমারও ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু তা কিকরে সম্ভব।
মোবাইলে রিং টোন বাজল।
- হ্যালো। শুভ নববর্ষ। অতি উলস্নাসে বললাম।
* শুভনববর্ষ । কে ?
- আমি আদুরী। আপনি কে ?
* তা তো আপনিই ভাল জানেন। কিছুৰণ আগে মিস কল দিয়েছিলেন।
- সরি ভাই। ভুল করে ঢুকে গেছে।
* না ঠিক আছে। ভালই লাগছে। আপনার কণ্ঠতো ভারি মিস্টি। কিন্তু নামটা লুকালেন কেন ?
- নাম লুকালাম মানি ?
* ঐযে বললেন আদুরী।
- সত্যিই আমার নাম আদুরী।
* তাই ! বাসা কোথায় ?
- কাটাখালি, বাগেরহাট সদর। আপনার ?
* ঢাকা।
- ও-মা রাজধানীতে ঢুকল। ঠিক আছে ভাই রাখি।
* নে, ভালইতো লাগছে। মনে হচ্ছে কোন গানের আসরে আছেন ?
- জি হ্যা। বর্ষবরণে মেলায় এসেছি। ঠিক আছে ভাই রাখি।

অদভ্থত মেয়েতো। কৃষ্নচূড়ার রঙ মেখে গলা হাকিয়ে কী চমৎকার বলে উঠল শুভ নববর্ষ।

ক্ষাণিকপর আবার কল আসল।
- হ্যালো।
* হ্যালো।
- ও আপনি। বললামতো ভুলে ঢুকে গেছে।
* নিশ্চয় মাঝখানের ডিজিটট িভুল করেছেন ?
- হ্যা। আপনি বুঝলেন কি করে ?
* তোমার ফোনটা আমার বুকের মধ্যে ঢুকেছে।
- তাই নাকি ! ভারি সুন্দর করে কথা বলেনতো আপনি।
* তুমিওতো কম নও। গলা ছেড়ে প্রফুলস্ন মনে কথা বলা, যেন রানী মুখার্জির সাথে কথা বলছি।
- তাই নাকি !
* কি কর তুমি ?
- এসএসসি পাশ। একটি শিশু নিকেতন চালাচ্ছি। আপনি ?
* এমএ পাশ। বেসরকারী চাকুরী।
- ঠিক আছে রাখি।
* বিরক্তি লাগছে ? ঠিক আছে পরে রিং করব।
- তা না করলেই খুশি হব। আশ্চর্য !
মেলা সম্পূর্ণ প্রদৰিন করলাম। প্রতিটি সস্ন মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য আর খনী-গরীব সকলের মিলন কেন্দ্র এই মেলা। সন্ধার পূর্বেই বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। শর্ষে ৰেতের মাঝখান দিয়ে ফুল ঘেসে চলতে লাগলাম, যেন প্রকৃতি আমার রূপটাকে সবুজ হলুদের মিশলে পদ্ম ফুলের ন্যায় ফুটিয়ে তুলেছে। কিছুদূর পরপর চিংড়ির ঘের আর ধান বীজ চারার টাল দেখতে দেখতে বাড়ি পেঁৗছলাম।

হায় আলস্নাহ, আমি কি আদুরীকে দেখছি! নাকি বৈশাখে ফোটা কোন গোলাপ দেখছি!!
- ভাবি।
- # বুঝেছি কণ্যাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। তো আমার ননদী কী আজ কোন দামানের খোঁজ পেল ?
- ভাবি। তোমার মাথা পেয়েছি।
# নাগো আমার মাথা খেয়েছিস। কী ভরা যৌবন ভেসে উঠেছে। ইচ্ছে আমিই ভ্রমর হয়ে মধু লুটে নেই।
- খবিস। মুখে কিছুই আটকায় না। লাজ স্বরমের মাথা খেয়ে বসে আছে।
।। ২।।
নিসত্দব্ধ শিশির ঝড়া রাতে, বসনত্দের বেলী ফুরে গন্ধে ভরা পাগল নিশিথে, জোনাকির ঝি-ঝি শব্দের সাথে তাল মিলিয়ে আমলকি গাছের ফাঁক দিয়ে আসা চাঁদের কিরণ যেন হেমনত্দ বসনত্দের স্বপি্নল রাত কার্তিকের মিষ্টি বিকেল হয়ে গেল এই বৈশাখি জ্যোসনা রজনী।
মেলায় আসা ফোনের লোকটার কথা বারবার মনে পড়তে লাগল। কে এই লোকটি ? ইচ্ছা না থাকলেও আরেকটি মিস কল দিলাম। মুহুর্তেই কল ব্যাক। এভাবেই শুরু হল নির্লজ্জর মত আলাপ। হয়ে গেল প্রেম।
প্রেমে পড়লে মানুষ বোকা হয়ে লাজ-লজ্জার মাথা খায় তার প্রমাণ আমি নিজেই। বোকারমত সবাইকে জানিয়ে দিলাম। কণ্যাদায়গ্রস্থ মা বাবাও জানল। ছেলেটির সার্বিক যোগ্যতা আর আমার অতি আগ্রহ দেখে তারাও ওর ভক্ত হয়ে গেল। মায়ের সাথে একদিন আলাপ করিয়ে দিলাম। মা ওকে নিমন্ত্রণ করল।
দিনটি ছিল শুক্রবার। ভোরে ফোন আসল।
- হ্যালো।
* হ্যালো, আদুরী ? বলোতো আমি কোথায় ?
- আমার বুকে।
* আমি এখন বাগেরহাট।
-সত্যি ? কি মজা ! আগে জানালেনা কেন ?
* তোমাকে সারপ্রাইজ দিলাম। এখন বলো কিভাবে তোমাদের বাড়ি আববো ?
- তুমি থাকো। আমিই এগুতে আসছি।

আদুরী ঃ হায় !
সুজন ঃ কেমন আছ ?
- ভালো।

ওকে নিয়ে বাড়ি আসতেই ভাবি, দাদি আমাকে যেন বধূ বরণ করতে লাগল। দাদীতো ওকে দামানই ডেকে বসল।
সন্ধায় ও চলে যেতে চাইল। বাড়ির সবাই ওকে অনুরোধ করে রেখে দিল।
ওর আগমনে আমি বাসন্তি রঙের শাড়িটা পড়েছিলাম। ঐশাড়িতে আমাকে খুব ভাল মানায়।
।।৩।।
নিঝুম রাত। জোনাকির ঝি-ঝি শব্দ। ব্যাঙ এর গেঁগো গেঁগো। সানাই এর সুরের মত আমার কানে লাগছিল। গতানুগতিক নিয়মে বিদু্যৎ উধাও। ভাবনায় চলে এল ঢাকাইয়া পোলা গরমে ঘুমাতে পারবেনা। পাখাটা দিয়ে আসি। তালপাখা হাতে নিয়ে দরজায় নক করতে আলত খুলে গেল। সম্ভবত দরজাটা খোলাই ছিল।
#কে, আদুরী।
- হ্যা। নিশ্চয়ই গরম লাগছে ?
# না তেমন কি। কোলাহল মুক্ত পরিবেশ, দৰিণা বাতাস আর তোমার সিনগ্ধ পরশ গরম ভয়ে পালিেেছ। চল, বাহিরে একটু হাটি।
- ওর আবদারে চৰুলজ্জায় না বলতে পারলামনা।
# মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। ও সুধালো।
- কেন ?
# কি সুন্দর বসার স্থান।
- ও এক সময় আমার হাত ধরল। ভয়ে আমার গা শিহরন দিয়ে উঠল। ছাড়ুন
# আমার হু বউ এর হাত আমি ধরব, তাতে তোমার কী ?
- হবু। এখনোতো হইনি। যখন হই তখন দেখা যাবে।
# কাল সকালেই তোমাকে বিয়ে করব।
- ইশ। ও আমাকে জড়িয়ে ধরল। পিস্নছ ভাল হচ্ছেনা। আমি চিৎকার করব।
# কর, সবাই এসে দেখবে। ভাল হবে রাতেই বিয়ে।
- ওর মধুর কথা আর বিয়ের স্বপ্নে আমার যৌবন পাপড়িগুলো লজ্জাবতীর ন্যায় গুটিয়ে গেল। যৌবনের মোহে কখন যে, নিজেই রঙের স্বপি্নল মিশলে শিশে গেলাম। খানিকের মোহে কোথা যে হারিয়ে গেলাম !

সকালে মোড়গের ঢাকে ঘুম ভাঙল। আচমকা লাফ দিয়ে ওঠি। বারান্দায় বেরিয়ে দেখি একচালা ঘরের দরজা খোলা। দৌড়ে গেলাম, ভিতরে ও নাই। এদিক সেদিক হন্ন হয়ে খোজতে লাগলাম। মোবাইলও বন্ধ।
# ননদী, কী হয়েছে ? এত অস্থির হচ্ছো কেন ?
- ভাবি, ও মনে হয় ভেগেছে। কাল রাতে খাণিকের মোহে ওকে আমি সব বিলিয়ে দিয়েছি।
কষে একটি চড় দিল। আমি নির্বাক স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
কাউকে না বলে বিকেলে রওয়ানা দিলাম ঢাকার অভিমুখে।
ঢাকা এসে পড়ে গেলাম খারাপ মহিলার চক্রান্তে।
# আদুরী তাড়াতাড়ি শেষ কর। বাহিরে একজন আছে।
* তারপর কি হলো ?
- তর মাথা অইছে। যে খালা বাহিরে শব্দ করল, সে-ই আমাকে ধরে আনছে।
* এভাবে কথা বলো কেন ?
- শালা ঘরের বউ পাইছত নাকি ? সোহাগ কইরা কথা কইতে অইব।
।। ৪।।
গানে ছন্দে সারাক্ষণ মাতানো রঙের বাজার।
আমি প্রিন্স। বন্ধুদের সাথে এসেছি। ওদেরকে বিদায় করে চলে এলাম কর্মস্থল গাজীপুরে। কিন্তু মনটা আদুরীর কাছেই রয়ে গেল। আরও কত আদুরী এভাবেই লোভে, ভুলে, কেহ প্রতারণার স্বীকার হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে কুড়ি থেকেই।
অফিস থেকে পনের দিন ছুটি নিয়ে চলে এলাম আবার রঙের বাজারে।
সিঙ্গেল বেড বুকিং দিলাম পনের দিনের জন্য।
তালে তাল মিলিয়ে চলছে বাজার।
খালা ঃ টাকা দে।
* নিন। টাকা দিলাম।
খালা ঃ এবার ভিতরে ঢুকে যা।
* কেমন আছ ?
- ও আপনি। সেদিন জ্বালা মিটাইতে পারেন নাই দেইখা আবার আইছেন ?
* জানতে চেয়েছি কেমন আছ ?
- ওই বেডা, রঙের আলাপ বাদ দেও। যা করতে আইছ তা কর।
* ঐ ছেলেটির সাথে আর আলাপ হয় নাই ?
- তর মতো কাষ্টমার লাগবনা। যা তুই বের হ। শালা কইছি না ওর মোবাইল বন্ধ।
* বিস্রি কথা বলছো কেন ? তোমার দ্বারা এরুপ কথা শোভা পায় না।
- ওই মিয়া, যাইবেন নাকি দাদাকে জানামু।
* কাউকে জানাতে হবে না। চলে যাচ্ছি।
- টাকা দিয়া ঢুকেন নাই ?
* দিছি ।
- তবে ? শোনেন, আমার কথা জাইনা কী লাভ ? কেউ কোনদিন শুনতে চায় নাই। সবাই আমাকে খুবরে খুবরে খেয়েছে।
* আমাকেও কী সবার মতো মনে হয় ?
- প্রথম দিনে ভাল লেগেছে বলেইতো কথাগুলো প্রাণ খুলে বলেছিলাম।
* সবতো খোলা মেলাই। পালিযে যেতে পারলে না ?
- চেষ্ঠা কম করি নাই। এভাবে গেয়েন্দাগিরি করতে লাগলে একদিন আপনিও লাশ হয়ে ম্যানহুলে পড়ে থাকবের।
* এখনতো ানেক সুন্দর করে কথা বলছো। মাঝে মধ্যে অকথ্য কথা বলো কেন ?
- লোকগুলো এমনিতেই শকুনের মত ছিড়ে খায়। ভাল কথায় ভাব লাগিয়ে কুকুরের মত কামড়ে খাবে।
* আশ্চর্য ! কী লোম হর্ষক !! বাড়িতে যোগাযোগ হয় না ?
- না। জানিনা তারা বেচে আছে কি না ! বলেই একি কান্না ।
* আমি যদি তোমাদের বাড়িতে যাই।
- ও দ্রুতগতিতে আমার হাত চেপে ধরল। যাবেন ?
আমি জানতামনা, বাহির থেকে দরজা খোলা যায়। খালা দরজা খোলে হঠাৎ ভিতরে ঢুকল।
আমরা উভয়েই ভই পেয়ে গেলাম।
খালার চোখ আগুনের শিখার মত জ্বলছে।
# চল, তুই আমার লগে জ্বালা মিটা। বলেই শার্টের কলারে ধরে আরেকটি কক্ষে নিয়ে গেল।
।। ৫।।
- খালা, ওকে কী খুব মারধর করেছ। ?
# নারে পাগলি। ছেলেটা সহজ-সরল, খুব ভালো। তোর কী ওকে মনে ধরেছে ?
-ও চলে গেছে ?
# না। ২০৩ নম্বরে আছে।
- আমি যাই ?
# তোকেতো হাজারো চেষ্ঠা করেও কারো কক্ষে নিতে পারিনি।
- কোন মানুষের কাছে তো যেতে বলোনি ? আচ্ছা খালা, তুমি এখানে কীভাবে এলে ?
# সে অনেক কষ্ঠ !
কাজের সন্ধানে বাবা ঢাকা এল। অনেকদিন হয়ে যায় বাবা খোজখবর নেয় না। অধর্াহারে, অনাহারে থাকতে থাকতে মা অসুস্থ হয়ে মরেই গেল। আমি কী করব ? বাবার খোজে ঢাকা চলে এলাম।
জোড় করে একদল লোক আমাকে তুলে নিয়ে আসল।
২য় বস ঃ কি রে, কাউকে পাইলি ? বস রেগে আছে। আজ কাউকে জ্যান্ত রাখবেনা।
চামছা ঃ হ উস্তাদ পাইছি। কিন্তু কানতাছে। আমারে ছাইড়াদেন আমি বাবার কাছে যাব। আমারে ছাইড়াদেন আমি বাবার কাছে যাব।
২য় বস ঃ হা-হা-হা, প্রথম প্রথম সবাই তাই বলে। চল বসের কাছে নিয়ে আসি।
দেখি ললনা। তোমার রুপটা। মুখটা ঘুড়াও, বস রাগ করবে যে।
# আমি যাবনা। বা-বা ! বা-বা !! বাবা !!!
বাবা দৌড়ে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে চিরমুক্তি নিল। কিন্তু আমি পারলাম না।
- এত কষ্ট জেনেও তুমি আমাকে আনলে কেন ?
# নিজে বাচার জন্য। এই বলেই পাশের রুমে গিয়ে খালা কাদছে।

।। ৬।।
- আসতে পারি ?
* স্বপ্ন দেখছি না তো ? এস।
- কী করছেন ?
* যে অভ্যাসের জন্য এখানে আসা। লিখছি। চিমটি খেলে কেন ?
- দেখলাম আপনি মানুষ, নাকি রোবট।
* এখন তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। প্রকৃত বাঙ্গলী নারীর মত।
- চোখে শর্ষে ফুল লাগালে বাজারের মেয়েদের সুন্দর লাগাটাই স্বাভাবিক।
* আমি জানতাম তুমি কারো কক্ষে যাও না ?
- আপনি আমার অন্তর জ্বালা বাড়িয়ে দিয়েছেন। সত্যিই আমাদের বাড়িতে যাবেন ? শুধু দূর থেকে দেখে আসকেন তারা কেমন আছে ?
* হ্যা। আজই যাব।
- থ্যান্ক ইউ। চুম্মা।
।। ৭।।
বাগেরহাট পৌছে, কিছুদূর পর পোষ্ট অফিস সংলগ্ন বাজারে জিজ্ঞাস কররাম ঃ ভাই আদুরীদের বাড়ি কোন দিকে ?
লোকটি স্থির হয়ে নিঃশব্দে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
# আপনি কে ?
*নিবুদ্ধের মত মুখ ফসকে বেরিয়ে এল, আমি ওর স্বামী।
উন্মাদের মত চিৎকার করে লোকটি দৌড়াতে লাগল আদুরীর দামান আইছে, আদুরীর দামান আইছে।
আমি দ্রুত ওর পিছু নিচ্ছি। চারদিকে শালিকের ঝাকের ন্যায় মানুষগুলো ভিড়তে লাগল।
অনেক দূরে, এক বৃদ্ধা হুমড়ি খেয়ে পড়ে দৌড়ে আসছে। কাছে এসেই-
- বাবা, তুমি আদুরীর স্বামী ?
* উত্তর দিতে না দিতেই আমাকে জড়িয়ে
" আমাগো আদুরী কোথায় ?
* ও তো আসতে চায়নি। তাই নিজেই চলে এসেছি।
- এত বছর খোজ নেও নি কেন বাবা ?
* আসলে ও এতদিন এ্যাবনরমাল ছিল। ক দিন আগেই স্মৃতি ফিরে পেয়েছে।
- তাইতো বরি, আমার মেয়েতো আমাকে ছেড়ে এত দিন থাকতে পারে না। তো বাবা ও এখন কেমন আছে?
* ভালো। খুব ভালো।
- পাগলিটাকে সামলাতে তোমার বুঝি এতদিন খুব কষ্ট হয়েছে ?
* আব্বা কোথায় ?
- আদুরীর শোকে ঐ বেডা আমারে ছুইয়া পরপারে খোজতে গেছে।
* ইন্নালিল্লাহ........।
ওর ভাবি এসে বলছে ' আমাকে আদুরীর কাছে নিয়ে যাবেন ?'
* আমি বিব্রতবোধ করি। হ্যা, কেন নয় ?
।। ৮।।
বাড়ির চারপাশটা ঘুরে দেখছি। মোবাইলে একটি কল আসল।
*হ্যালো। কে ?
# দোস্ত আমি চয়ন।
চিনতে ভুল হলো না। সেই বন্ধুদের একজন। যাদের তোষামোদে বাজারে যাওয়া, আর আদুরীর সাথে পরিচয়।
* হ্যা দোস্ত বলো, কেমন আছ ?
# ভালো নেই দোস্ত। মৃতু্যর সাথে পাঞ্জা লড়ছি।
* কেন ? কী হয়েছে ?
# পাপের ফল দোস্ত। আমি এইচআইভি এইডস এ আক্রান্ত। তোমাকে দোস্ত বাধ্য করাটা ঠিক হয় নাই। আমিতো মরে যাব। তাই ক্ষমা চাইতে ফোন করলাম।
* মাই গড একদিনেই। তুমি এখন কোথায় ?
# ঢাকায় এক ক্লিনিকে।
* আমি দোস্ত বাগেরহাট আছি। ফিরেই তোমার সাথে দেখা করবো।
# ওকে। আল্লাহ হাফেজ।

হাটতে হাটতে আদুরীর শিশু নিকেতনটা চোখে পড়ল। সেখানে সিদুর পড়া এক ভদ্র মহিলা বসা। আমাকে দেখে উঠে দাড়ালো।
আর বললো ঃ এটা আদুরীর গড়া প্রতিষ্ঠান। এখন আমিই দেখছি। একটা সত্যি কথা বলবেন ?
* জি্ব, বলুন।
- আপনি কী সত্যিই আদুরীর বর ?
* আতংকিত হলাম। কেন ?
- আমি মানুষ গড়ার কারিগর। আপনার চোখে আমি শুরু থেকেই মিথ্যার একটি ছাপ দেখতে পাচ্ছি।
* চারপাশে তাকালাম। দু'জন ছাড়া কেহ নাই। সত্যের নিভূ নিভূ প্রদ্বীপ দিয়ে মিথ্যার সাথে লড়াই করা যায় না। সব খোলে বলতে চেয়েও সমাজে, পরিবারে মেয়েটা ছোট হয়ে যাবে। তাই নাবলে এড়িয়ে গেলাম।
- কি বলতে চাইলেন, ঠিক বুঝলাম না।
* বুঝলেন না, আমি ওর স্বামী। যান নিজের কাজে যান।
।। ৯।।
হাটছি ভদ্র মহিলাটি আবার এসেছে। হাতে একটি আর্ট পেপার। যাতে একটি কবিতা লেখা।
- বলেন তো, এই কবিতাটি কার ?
* তা তো জানি না।
- তাহলে কী জানেন আপনি ? আদুরী সব সময় এটা বলতো। আপনি ওর স্বামী একদিনও তা শোনেন নি ?
* না , শোনিনি। আগের আদুরী আর বর্তমানের আদুরী এক নয়। ও এখন রঙের বাজারে।
বলেই নির্বাক হয়ে গেলাম। সব কিছু স্তব্ধ।
* আমি আদুরীর স্বামী নই।
- ও আমার মুখ চেপে ধরল। প্লিস আস্তে বলেন।
* আমি সব খুলে বললাম।
- আমার একটি অনুরোধ রাখবেন ?
* বলুন।
- আপনি আদুরীকে মুক্ত করে জীবন সঙ্গী বানাবেন। আমি জানি আপনি আদুরীকে ভালবাসেন। নচেৎ এতদূর আসতেন না।
* ওকে ভালবাসি সত্যি। কিন্তু সেখান থেকে বের করা আমার সাধ্যের বাহিরে।
- তবুও একটু চেষ্ঠা করেন। অভাগীটা জনম দুঃখি। আপনাকে বর করে কাছে পেলে অতীত ভুলে যাবে।
* দেখি চেষ্ঠার কমতি রাখব না। সামনে একটি কবরের ন্যায় মনে হয় ! এটি কার ?
- সেই জন্যইতো আপনাকে আমার সন্দেহ হয়েছে। এটি আদুরীর সেই প্রেমিক সুজনের।
* ভেতরে ভয় ঢুকে গেল। কী বলেন ! ওর কবর এখানে কেন ?
- সে এক লোম হর্ষক ঘটনা। খুব ভোর ফজরের আযান কোথাও শেষ, কোথাও চলছে।
সুজন ঃ 'আজ পাশা খেলবরে শ্যাম,শ্যামগো তোমার সনে একলা পাইয়াছি রে শ্যাম----------।
আমিও তোকে নিঝুম বনেই পেয়েছি। তো নতুন দামান কোথায় যাচ্ছেন ?
সুজন ঃ জি্ব দুলভাই। আদুরীর জন্য শাড়ি আর গহনা কিনতে।
কী হরে তা দিয়ে ?
সুজন ঃ আমি চাচ্ছি আজ আদুরীকে বিয়ে করব।
তাই ! শালা তোর বিয়ের খায়েশ মিটাচ্ছি। অই ধর শালারে আজ ওকে জ্যান্ত মাটি দেব।
সুজন ঃ প্লিস আমাকে জানে মারবেন না। মা, ও বাবা, আ.......।
কবরে গিয়ে পাশা খেলিও চান্দু।
রাত নয়টার দিকে আমরা মৃত লাশের খবর পাই। আদুরী ভেবে সবাই ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আদুরী নয় ঐ ছেলেটি।
* মাইগড। সরি বন্ধু তোমাকে অরেক ভুল বুঝেছি ক্ষমা করে দিও।
।। ১০।।
খালা ঃ আদুরী গোসল সেরে তৈরী হয়ে নে। 'ক' দিন ধরে কারো কাছে যাচ্ছিস না। দাদা টের পাইলে শরীরে আগুন লাগাইয়া দিব।
- দিলে দিবে। আমি আর ঐসব করবনা খালা। আমাকে মুক্তি দিন আমি বাঁচতে চাই।
# আরে পাগলি এখন মুক্তি নিয়া কই যাবি্ । কার কাছে যাবি। সমাজ তোকে গ্রহন করবে না্
- ঐ ছেলেটির সাথে !
# ঐ ছেলেটি ! কে সে ?
- প্রিন্স।
# তুই সত্যিই পাগল হইছত। ছেড়া কাথায় শুয়ে রাজরাণী হবার স্বপ্ন দেখতাছত। ও কি তোকে বিয়ে করবে ?
- আমার মন বলছে ও আমাকে ভালবাসে।
# ভালবাসা আর বিয়া এক কথা নয়।
- খালা, যদি বিয়া করতে চায়, আমাকে মুক্ত করবে ?
# অনেক বছর হল কোন ভাল কাজ করিনা। মৃতৃ্য ও হাতছানি দিয়ে ডাকছে। যদি রাজি থাকে যা কথা দিলাম মুক্ত করব।
- তুমি খালা নও। আজ থেকে আমার মা।
# খবরদার আমাকে মা বলবিনা। তা হলে মা জাতির কলংক হবে। আমি কারো মা হতে পারিনা।
।। ১১।।
* বাড়ির কাউকে জানালাম না। শুধু দিদিকে বলে ফিরে যাওয়ার শর্তে খুব ভোরে রওয়াানা দিলাম।
পথে এসে ভাবছি, আর এখানে আসা হবে না।
খোদা হাফেজ বাগেরহাট্।
ঢাকায় এসে বন্ধুটির সাথে দেখা করতে গেলাম ক্লিনিকে। ওর মোবাইল বন্ধ। রিসিপশনে জিজ্ঞাস করলাম ঃ ভাই চয়ন নামে কেহ ভর্তি আছে ?
ব্রাদার : ছিল। এইডস এর রোগী্ মারা গেছে।
নিজের প্রতি ঘৃণায় হাত আর দাত কামড়াতে লাগলাম।
আর বাজারে যাব না। এই ভেবে গাজীপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলাম।
চলার পথে একটি ফোন এল। রিসিভ করলাম।
- হ্যালো। আমি আদুরী আপনি কোথায় ?
* ঢাকা।
- মা বাবার সাথে দেখা হইছে। তারা কেন আছে ?
* হ্যা ভালো।
- আপনি এখানে আসবেন না ?
* হ্যা আসছি।
দিদিকে দেয়া ওয়াদার কথা বার বার মনে পড়ছে। মরে পড়ছে আদুরীর গড়া শিশু বিকেতন মনে পড়ছে ওর দুঃখ যন্ত্রণা আর একটি পরিবারের গ্রাম্য ভালবাসার কথা।
ভিতরে এঙ্প্লোসিভ ভর্তি গ্রেনেড জন্মাতে লাগল। বাস থেকে নেমে গেলাম। আবার চলে এলাম রঙের বাজারে।

'মন দোলে মেরা-------- কোন বাজায়ে বাশরিয়া' গানের তালে চলছে বাজার।
* আদুরী কোথায় খালা ?
# ভিতরে।
আমি ভিতরে ঢুকলাম।
খালাও কিছুক্ষণের মধ্যে ভিতরে ঢুকল। হাতে অস্ত্র।
# কী, ওকে নিয়ে যেতে এসেছিস ? কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে তা তোরা কোন দিন পারবিনা।
ভয় পেয়ে গেলাম। খালা নিজেই নিজের পেটে ছুরি বসিয়ে দিল।
# আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যা।
সকলে ধরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।
গাবতলী বাস স্ট্রান্ড অতিক্রম করব, এ সময় খালা গাড়ি তামাতে বলল। গাড়ী থামাও।
# আদুরী ! মা! আমাকে তুই ক্ষমা করে দিস। আমি তোকে এখান থেকেই বন্দি করেছিলাম আর এখনেই মুক্তি দিয়ে গেলাম।
- মা, তোমাকে রেখে যাবনা।
# যা পাগলি্ আমি আর বাঁচবনা। আমাকে ক্ষমা করিস্ আজ থেকে তুই রঙের বাজার হতে মুক্ত। যা পালা।

দু'জনে হাত ধরে দৌড়াতে লাগলাম। মুক্ত আকাশের নিচে ডানা মেলে উড়তে লাগলাম। একে অন্যকে বুকে জড়িয়ে নিলাম।
'আদমরে কইয়া দিছ গন্ধক তুমি খাইওনা
গন্ধকরে কইয়া দিছ আদমরে তুই ছাড়িসনা
বুঝেছি বুঝেছি মাওলা তোমার নিলা খেলাগো
মানুষও বনোইয়া খেলছ যারে লইয়া।'
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Neel Proloy Nipu বেশ সুন্দর । আরেকটু গুছিয়ে লিখলে বোধকরি আরও সুন্দর হত ! শুভেচ্ছা নিরন্তর ।
সুন্দর সকাল বেশ দীর্ঘ গল্প লিখেছেন! তারপরও অগুসালো মনে হলো ! তবে ভালো লেগেচে .....
মিজানুর রহমান রানা গতকাল হঠাৎ করে আমার কার্ড শেষ হয়ে গিয়েছিলো। আজ (২৩/০৫) সন্ধ্যার পর কার্ড ক্রয় করেছি। আমাকে কেউ কিছু বললে আমি মর্মাহত হই না। কারণ আমার লেখালেখির সূচনা (১৯৮৭) যখন হয়, তখন এ প্রজন্মের অনেকের জন্মই হয়নি। আর সাহিত্যক্ষেত্রে আমি এলাকার গল্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছে গেছি অনেক আগেই। সুতরাং কে কী বললো, তাতে আমি কান দেই না। ও ভালো কথা, আমার রাতে ঘুম হয় না। আর এই ঘুম না হওয়ায়ই, আমার সাথে গল্প-কবিতার পরিচয়। সেই থেকেই আমি আছি। সাহিত্য চর্চায় ঝড়-তুফান, কমেন্ট থাকবেই। সেগুলো সহ্য করার ক্ষমতাও আল্লাহ্ দিয়েছেন আমাকে। স্বয়ং নজরুলকে তো কাফের আখ্যা দিয়েছে, সে তুলনায় আমরা তো কিছু নয়, তাই না? গল্প কবিতার বন্ধুদের সাথে বেঁচে থাকলে হয়তো একদিন দেখা হবে, সেদিন আমরা অবশ্যই পরস্পরকে জানতে পারবো, এবং আমাদের মাঝে ক্ষণিকের দ্বন্দ্ব সন্দেহের অবসান হবে। ------- রানা।
ZeRo গোবর গনেশ ভাই - কিছু মনে করবেন না , নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন ! অভিযোগ থাকলে কতৃপক্ষ কে জানান ! কাউকে ভিক্তিহীন অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন ! কতৃপক্ষ ফেক ভোট এর বেপারে নোটিস দিয়েছেন ! তাই নোটিস এর প্রতি সম্মান দেখান ! অযথা মন্তব্য করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না ! কে কি করলো সেটা না দেখে , নিজে কি করছেন সেটা দেখুন ! মেধার চর্চা করুন যদি থাকে , আর না থাকলে নিজের কাজ বাদ দিয়ে কে কি করলো তার পিছনে লেগে থাকুন ! সর্বশেষ যদি পারেন আপনি ও ফেক ভোট দিয়ে বিজয়ী হুবার চেষ্ঠা করুন ! দেখি আপনার কত মেধা ! যদি পারেন -- ! ভালো থাকবেন
আসাদুজ্জামান চুন্নু আপনার কবিতায় অনেক কমেন্ট, কিন্তু সেই অনুযায়ী আরো ভালো হওয়া উচিত ছিল l মোটামুটি ভালো লেগেছে l
নাজমুল হোসেন এমনটি হবে সেই আমি আগেই জানতাম, তাই অবাক হইনি. সেই কারণেই দেরিতে হলেও অভিনন্দন, আপনার দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য.
নাজমুল হোসেন মা সংখ্যায় আমার পড়া শ্রেষ্ঠ গল্প... ভোট দিতে কার্পন্য করব না l
বিষণ্ন সুমন এমনটি হবে সেই আমি আগেই জানতাম, তাই অবাক হইনি. সেই কারণেই দেরিতে হলেও অভিনন্দন, আপনার দ্বিতীয় পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য.
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) " আস'আদাকাল্লাহু ফিদ-দারাইন" আপনার গল্পটি অনেক সুণ্দর হয়েছে , "মারহাবা" ।

০১ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪