চোখ মেলেই দেখি এক ছোপ রক্ত, কচি সবুজ ঘাসের উপর- এখনো শুকায়নি। শিশিরের ছোঁয়া সে পেয়েছে, সারা রাত্তির ধরে। ঊষার কিরণচ্ছটা এসে পড়ে তার উপর; নরম রোদ হাত বুলায় সযত্নে। ক্রমশ বিরক্ত আর উগ্র হয় দিবাকর। অগ্নি-বৃষ্টি ঝরতে থাকে যেন তার উপর। কচি ঘাস শুকিয়ে বিবর্ণ আর শক্ত হয়ে যায়- কিন্তু সে রক্ত শুকায়না। দিন শেষে সন্ধা এসে পড়ে চুপি চুপি। সাথে রূপালী চাঁদ আর হাজারো তারা এসে ভীড় করে। অপূর্ণ চাঁদ অমাবস্যার বাধ মানে না। শশীর কোমল আলোতে ঝিকমিক করে উঠে সে রক্ত। সহস্র কোটি নক্ষত্র তাই দেখে আনন্দে নেচে ওঠে। ছোটাছোটি করতে থাকে দিগ্বিদিক। কালপুরুষ ডুবে যায়; শুধু থাকে শুকতারা, আর চাঁদ থাকে সাথে। সব নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। এই একাকিত্বেও সজীবতা হয়না বিলীন। এমনি কত দিন যায়, মাস যায়, গত হয় বছর- রক্ত শুকায়না; যেমনি ছিল, ঠিক তেমনটিই থাকে।
এই করে কত কাল গত হয়, রক্ত শুকায়না, আড়াল হয়না এই ধরণীর বুক থেকে। কিন্তু কেবল আড়াল হয় বিস্মৃতির দেয়ালে। এ রক্ত কারও চোখে পড়েনা কোনদিন; কেউ জানতে পারেনা এ আমার ধর্ষিতা বোনের ধমনী ছেঁড়া টকটকে লাল রক্ত- যে বেনারসী পড়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল বরের জন্য। সে কি জানতো পিশাচের ছোবল কত ভয়ঙ্কর হয়?
এখানে কোনদিন গড়ে উঠবেনা মর্মর স্তম্ভ, এখানে কোনদিন মুখরিত হবেনা হাজারো মানুষের পদচারণায়, এখানটায় ভুলেও কেউ কোনদিন ফেলবেনা একটা রক্তপলাশ। কিন্তু এই বিস্তৃত সবুজের বুকে একছোপ টকটকে লাল রক্তই তো আমার জাতির পরিচয়- মর্মর বেদী নাইবা গড়লে তোমরা, হৃদয় বেদী গড়ে নিয়েছি আমি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নষ্ট কবিতার একটি অংশ ( Nirob Ouhan Masum)
কবি বা লেখক হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেব বলছি আপনার লেখা প্রতিটি কথা হৃদয়টাকে খুব গভীর হতে আঘাত করে কারণ বাংলার মা বোন এবং শহীদের লাল রক্তই আমাদের আজকের স্বাধীনতা । ধন্যবাদ আবারও লিখবেন আর আমার লেখাগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।