শার্টটি রক্তাক্ত, কয়েকটি বোতাম ছেড়া, বুকের ডানদিকটায় একটা, দু'টা ফুঁটো, কয়েকটি ধারা - রক্তের ধারা; পড়ে আছে এলোমেলো। বাঁ হাতের আস্তিন তোলা, ডান হাতের কতকটা কুকুর অথবা শেয়ালের কামড়ে ছেড়া। ভেতরে খানিকটা মাংসের টুকরা- শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। শার্টটির রং নীল ছিল, রক্তে রঙে লাল না হয়ে কালো হয়ে গেছে। পুরো শার্টটি রক্তে একাকার হয়ে গেছে; এখন আর চেনার উপায় নেই কার ছিল এই শার্ট! শুকিয়ে শক্ত কাগজের মতো হয়ে গেছে শার্টটি- ইচ্ছে হলেই ছিঁড়ে ফেলা যায় এখন।
চারপাশটা নোংরা; কিছু পুরনো পলিথিন ব্যাগ- পঁচেনি, ধুলো মাখা, পড়ে আছে। তিনটা পুরনো স্যান্ডেল- ফিতা নেই। তরকারির আবর্জনায় ভর্তি ছিল জায়গাটি- দুর্গন্ধ আসছিল থেকে থেকে।
শার্টের পাশেই একটা পোস্টার- লেখাগুলো মুছে গেছে রক্তে। একটা চশমার ডাঁটি, ভাঙা কাঁচের টুকরা।
শার্টের পকেটে কিছু কাগজের টুকরা ছিল। রক্ত শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেছে টুকরাগুলোও। একটা নয়, দু'টা নয়, অনকেগুলো ছোট টুকরা। বহু কষ্টে জোড়া দিলাম টুকরাগুলো। -একটা মানচিত্র; এই বাংলাদেশেরই মানচিত্র! হঠাৎ আচমকা বাতাসে উড়ে যায় টুকরাগুলো। জোড়া লাগেনা আর কখনো, কোনদিন। এক অনিশ্চিত, অনাগত কালকে সামনে রেখে টুকরাগুলো উড়ে বেড়ায় বাতাসে- ভাব হীনভাবে।
টুকরাগুলো জোড়া লাগানোর চেষ্টা করি আবার- একবার দুবার নয়, হাজার বার, বার বার। তবুও জোড়া লাগেনা এই নিষ্প্রাণ টুকরাগুলো।
শঙ্কিত চিত্তে এক অজানা শীতল জোয়ার বয়ে যায়। অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে উঠি- আর কখনো কি লাগবেনা জোড়া, এই ছেড়া মানচিত্র!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।