এই যান্ত্রিক সময়ে, যখন মূহুর্ত নিমিষে —
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু-কণার ফের ফের বিভাজনে, ধ্বসে যায় প্রকাণ্ড শহর,
নিয়ে বুকে অজস্র প্রাণ, অজস্র স্মৃতি-রেণু মাখাময়…
আমি জেনেছিলাম গিয়ে, বিরহের আয়ু
খুব বড় জোর, — এক বছর…
সেই আশায়, গভীর শ্বাস হৃদয়ে টেনে নিয়ে
মূহুর্মূহু প্রতীক্ষায় থেকেছি — দিন-মাসের হিসেবে একটা বছর
বড় তো নয় খুব, কেটে যাবে সময়…, নিশ্চয়!
ভেবেছি, আবার ও জীবনের ভেলায় দিব পাড়ি প্রমত্ত সাগর
ফের আমি হেঁটে হেঁটে কৃষ্ণপক্ষের রাতে
আকাশের তারা গোনে হব ক্লান্ত অনুক্ষণ, এইসব রূপ-সুধা মেখে নিয়ে
কেটে যাবে, আটপৌরে আর একটা জীবন।
আর তাই স্বপ্নবিলাসী হতে চেয়ে, ঘড়ির কাঁটার দিকে স্থানুর মত
তাকিয়ে ছিলাম, অবিরাম-নিষ্পলক¬ —
অপেক্ষায় অপেক্ষায় আমার পায়ে অশত্থের মত লতানো শেকড় গজালো,
গ্রীষ্মের খরতাপ এসে শুষে নিয়ে গেল হৃদয়ের বিরহ-যাতন
কত বর্ষা এসে ভিজিয়ে দিল আমার সারা দেহ-মন অবিরাম
শরতের নরম আলোয় হলুদ-রাঙা পাখিটি গেয়ে গেল নব-জীবনের গান
মায়াবী শীত এসে হিম-হিম করে গেল, হৃদয়ের সব বহমান ক্ষরণ
আর তাই বসন্ত এল গাছে গাছে, পত্র-মঞ্জরীর শাখে-শাখে
ফের এল নবরূপে, নব-আহবানে, জাগাতে আমায়।
প্রশান্ত-শ্বাসে ভেবেছিলাম, কেটে দেয়া গেছে, ঘড়ির কাঁটার
একটা বছর…।
গভীর স্বপন হতে চোখ খুলে এতটা দিন পর, দেখি
একি, হা্য! ফের তুমি এলে আকাশ ভরা তারা নিয়ে —
রঙধনুর সাত রঙ মেখে, হৃদয়ে মেখে বিরহের প্রগাঢ় কাজল ।
আমাকে প্রণয় সাগরে ভাসাবে বলে ফের এলে,
আর ও প্রবল জলোচ্ছ্বাস নিয়ে, আর ও রঙে রাঙাবে বলে…
বৃথাই গেল বিরহের এতটা দিন গোনা,
এই বেলা, মেনে নিলাম আমার সুতীব্র পরাজয় —
‘তোমাকে ভুলে থাকা হবে না আমার, কোনোকাল…’
০১ মার্চ - ২০১২
গল্প/কবিতা:
৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪