মা, তুমি ক্ষমা করো সন্তানেরে। তোমার এ অধম সন্তান সীমানা পেরোতে চেয়েও পারেনি মেলাতে পারেনি সময়ের রক্তাক্ত সমীকরণ। একটা শুভ্র সকালের জন্য শুধু উন্মাদের মতো ছুটেছে কিন্তু আনতে পারেনি সেই যাচিত সকালের সোনালী হাসি। প্রকৃতি কাঁপা শীতের বরফ আস্তরণ গলিয়ে- ফোটাতে পারেনি বাসন্তী গোলাপ।
মা, আমি বলেছিলাম- শ্রমিকের প্রতি ফোটা ঘামের মূল্য এবার বুঝে নেব তোমার নাড়ী থেকে উপড়ে ফেলব রক্ত চোষা জোঁক দুষিত রক্তের বন্যা বইয়ে তোমাকে করব কলুষ মুক্ত। কিন্তু তুমি বলেছিলে, " আমি দুষিত রক্তের বিনাশ চাইনা, পরিশোধন চাই। রত্নাকর দস্যুদের দেখতে চাই মহামুনি বাল্মীকি রূপে মীরজাফরের রক্তে দেখতে চাই অসংখ্য মীর কাশিমের জন্ম।" তুমি ভালোবাসার গভীর মন্ত্রে দীক্ষা দিয়েছিলে আমায় কিন্তু আমি পারিনি- দুর্দিনের সেই মোড়ক খুলে পুরাতন ঢেলে প্রদীপ জ্বেলে আলো আঁধারের মিলন গোধূলিতে জ্যোৎস্নায় ভেজাতে পথ। অপ্রকাশের আক্ষেপে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অন্তরের বিদ্রোহগুলো অন্তরেই গুমরে গুমরে কেঁদে নিঃশেষ হয়ে গেছে শুধু চোখ দিয়ে গলে পড়েছে তরল আগুন আমি যেন এক নির্বাক অপরাধী।
তাই ক্ষমা করে এ অধম সন্তানেরে- মা, আমাকে বৈপ্লবিক মন্ত্রে দীক্ষা দাও অন্তরের ক্ষুদিরামকে দাও অশ্রুহীন ফাঁসির সাহস চেতনার মুজীবকে স্বাধীনতার স্বপ্নে ভাসায়ে আমার রক্তস্রোতে দাও দুর্ভেদ্য কৃষ্ণ-গহ্বরভেদী আন্দোলন। ৭ই মার্চের অলিখিত পাণ্ডুলিপি দাও আমার কণ্ঠে যা গণবিষ্ফোরন রচনা করে রেসকোর্সে স্বাধীনতার স্বপ্নবিভোর জনগণ মেতে ওঠে যুদ্ধের প্রলয় নেশায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Meshkat
রত্নাকর দস্যুদের দেখতে চাই মহামুনি বাল্মীকি রূপে
মীরজাফরের রক্তে দেখতে চাই অসংখ্য মীর কাশিমের জন্ম।"
এই দুটি লাইন ছিল আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দর।
তবে আমরা আপনার কাছ থেকে আর অনেক ভাল কিছু আশা করি। ভালো থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।