গেঁয়ো মানুষ আমি, কিছুটা ক্ষমতা দাপট বুঝি তবে তোমাদের ঐ কাগজের সাহিত্য বুঝি না কাগজের পাতায় আমার কলম নেতানো শিশ্ন। তবু বহু বছর পর তোমাকে লেখা দেখো বুকের মাঝে আমার পাপী ধমনী গুলোতে রক্তের চলাচল মরা নদীর মতন, তারচেয়ে তুমি বরং দেখো আমার রক্তে আর্সেনিকের মত নিরব বিষ হেসে খেলে বেড়ায় হিংসার জ্বালা নিয়ে তোমার উন্নতির খাড়া রেখা দেখে। তুমি জানবে না, জানোও না আমি এদিকে কত কবিতা আর সবিতাকে ত্রাণের কাপড় আর একমুঠো চালের দোহাইয়ে, দরদী কথায় ঋণের ফাঁসে গলা টিপে মেরেছি, পায়ের তলায় দলা পাকানো থুতুর মতন, নোংরা বীর্যের মতন ছুঁড়ে ফেলেছি , কতবার- কেউ দেখেনি, হাসতে হাসতে কত সবিতার বুক খামচে করেছি রক্তাক্ত, কুৎসিত।
তবু বুঝি তুমি আমায় বন্ধু ভাবো তবে কি তুমি আমার চেয়ে বিষাক্ত।
শুনেছি তুমি নাকি রোজ সাহিত্যের পসরা বসাও- সাহিত্যের বাজারে লেনদেন করো, ইচ্ছে মত সিন্ডিকেটের হাত ধরে সূচকের রেখা তোমার দিকে শিশ্নের মত খাড়া রাখো। তারপর তুমি প্রসন্ন চিত্তে আসর জমাও, প্রতিবাদী ভাষণ দাও, লেকচার আর গলাবাজিতে সুনামি আনো নজরুলের সাড়ে তিন হাত ভিটায়। শুনেছি তুমি নাকি নিজের নামও আজকাল পথে ঘাটে বেচতে পারো যা তোমার মরা বাপ দিয়েছিল একদিন, ফুলের মালা গলায় দিয়ে তুমি নাকি কাগজের কবিতাকে ধর্ষণ করো- যাক! বুঝলাম তুমি ধ্বজভঙ্গ নও।
এত কীর্তনের পর তোমাকে বন্ধু না বলে পারি না তাই তোমার জন্য বিলাসী মদ, স্বল্পবসনা নারীর লোলুপ্ত দেহ সাজিয়ে রেখেছি বইয়ের থাকে- তুমি প্রতিটা ভাঁজে কবিতা লিখবে। ভেবো না, তোমাকে বেশ্যার মত খালি হাতে ফেরাবো না, কথা দিলাম।
উত্তর দিও এই গেঁয়ো বন্ধু তোমার অপেক্ষায় তুমি আসলেই তোমার কাগজের কবিতাকে চিলেকোঠায় দুজন মিলে প্রতিদিন ধর্ষণ করবো।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদেলা শিশির (লাইজু মনি )
রাজার ক্ষমতা থাকলে সে যা ইচ্ছে করতে পারে . কলমের ক্ষমতা থাকলে সে যা ইচ্ছে লিখতে পারে . কন্ঠ নিঃসৃত সাবলীল ভাষার রং হয় লাল সবুজ , নয়তো চকচকে নীল . আর গরল ভাষার রং হয় ধোয়াশাপূর্ণ . কোন এক বিজ্ঞজন বলেছিলেন , বাঙালিরা নাকি মেধার অপচয়টা-ই করে বেশি .
তানভীর আহমেদ
কবিতায় অনেক কিছুই বলা যায়। বলাটা অনেকক্ষেত্রে উচিতকর্মের মধ্যেই পড়ে। তাই উচিতকর্মের প্রকাশের ভঙ্গিটা শালীন কিনা সে বিচার সাহিত্যের মানদন্ডে হতেই হবে। এ কবিতায় দ্রোহ আছে তবে ভদ্রতা নেই। শব্দের স্বাধীনতা আছে, নেই রুচিশীলতার অহংকার। আগুন দিয়ে ভাত রাধা যায়, আবার ঘরবাড়িও পুরিয়ে ফেলা যায়। তবে দ্বিতীয় কর্মটিকে সুস্থ মানুষেরা কখনই সমর্থন জানাবে না।
নাজমুল হাসান নিরো
অচলীল অচলীল! সাহিত্যিক হয়ে ওঠার নগ্ন লড়াইয়ে যারা প্যান্টলুন খুলে নেমেছে, সাহিত্য চর্চার ফাঁকে যাদের কার্যক্রম সাহিত্যে বিষ ঢালছে, বলৎকার করে চলেছে, আপাত অসাহিত্য মনে হলেও তাদের প্রতি একটা অগ্নি নিৎক্ষেপন, বিদ্রোহ ঘটুক ঘরে ঘরে, কলমে আর লেখনিতে।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।