নবান্ন ছড়িয়ে যাক ঘরে ঘরে

নবান্ন (অক্টোবর ২০১৯)

মাইনুল ইসলাম আলিফ
  • ১৪৪
হাতে নিয়ে সময়ের ফিতেটা
কিনেছি জীবনের ভিটে।
কোদালের ফলায় কর্ষিত জমিনে
রোপিত শস্যদানায় ফলেছে সোনার ফসল।
শুকরিয়া তোমার মেহেরবান।
বাড়ছে গতি মানুষের স্রোতে
হচ্ছে ভরাট ক্ষেতের শরীর
চলছে অবাধ শিল্পায়ন।
শিল্পের বর্জ্যে বাড়ছে দুষন
ঘোলাটে পানিতে অমিত রসায়ন।
কমছে জমি বাড়ছে সড়ক
ক্ষেত খামারি কাড়ি কাড়ি,
কমছে জমি বাড়ছে বাড়ি
ক্ষেতে ক্ষেতে লাগছে মড়ক।
কমছে মাটি বাড়ছে পুকুর
ইটের ভাটায় পুড়ছে দুপুর।
কেটে কেটে বৃক্ষ সব
কাঠুরিয়া আজ থাকছে নিরব।
তাই খরতায় পুড়ছে পৃথিবী শ্যামল
অতি বৃষ্টিতে নামে পাহাড়ি ঢল।
হায়! আক্ষেপে পুড়ি, ফসলে ফসলে আর ভরে না মাঠ।
শস্যদানায় আর ভরে না উঠোন।
হারিয়ে যাচ্ছে সোনালি ফসলের সোনালি সুদিন।
তবু যে ফসলে গোলা ভরে,
যে ফসল খলায় উড়ে ,
তার কিছু যেন ছড়িয়ে যায় দূর সীমানায়
নবান্ন হাসুক পৃথিবীর সব কূল কিনারায়।
নবান্ন ছড়িয়ে যাক ঘরে ঘরে
অন্নহীন শিশুদের দুয়ারে দুয়ারে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওমর ফারুক ekta messege ar ekta bastobota tule dhorechen kobitay.nice.
মোঃ মোখলেছুর রহমান মাইনুল ভাই আপনার লেখাতো যথারীতি পড়ি, হয়তো কোন কোন সময় কমেন্ট করা হয় না।বরাবরের মত ভাল লিখেছেন।
নাজমুল হুসাইন ভালো লাগা রইলো।সেই সাথে শুভকামনা।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

নবান্ন আবহমান বাংলার একটি ঐতিহ্য।সোনালি ফসল ঘরে তোলার আনন্দের সাথে চলে পিঠা পায়েসের উৎসব ।কিন্তু আজকাল জনসংখ্যার চাপে ফসলি জমি যেমন কমে যাচ্ছে তেমনি ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট শিল্প কারখানায় ফসলি জমি ব্যপক হারে সংকোচিত হয়ে পড়ছে।যে জমিতে ফসল হবে সে জমিই যদি না থাকে কিংবা কলকারখানার বর্জ্যে রাসায়নিক বর্জ্যে যদি সেই যৎসামান্য জমি আবাদের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে তাহলে নবান্ন উৎসব হবে কি করে? প্রশ্ন রেখে গেলাম। আবার যে ফসল ফলে তাও যদি সুষম বন্টন হয় কিংবা কৃষক তার ন্যায্য পাওনা পেয়ে যায় এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের অপতৎপরতা না থাকে তাহলেও সামান্য আশার আলো চোখে পড়ে।সেই আলোর খেয়ায় ভেসেই আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি পৃথিবীর সকল কিনারায় নবান্ন হাসবে।সব ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যাবে নবান্ন উৎসবের পয়গাম আর তাতেই অন্নহীন শিশুদের দুয়ার উচ্ছল হাসি আনন্দে ভরে যাবে ইনশাআল্লাহ।

২৪ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ৩৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী